ঝাই রিচার্ডসন
ঝাই অ্যাভন রিচার্ডসন (ইংরেজি: Jhye Richardson; জন্ম: ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মারডক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পার্থ স্কর্চার্স দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলারের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করে থাকেন ঝাই রিচার্ডসন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ঝাই অ্যাভন রিচার্ডসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মারডক, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৫৮) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২২৪) | ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৮৭) | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৮ জুলাই ২০১৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬–বর্তমান | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬–বর্তমান | পার্থ স্কর্চার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ |
ঘরোয়া ক্রিকেট
১৯ বছর বয়সে ২০১৫-১৬ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একদিনের খেলায় অভিষেক ঘটে। ঐ মৌসুমের শেষদিকে শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় অভিষেক হয় তার। বিবিএল মৌসুমে ১১ উইকেট পান। চূড়ান্ত খেলায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও পান তিনি। সিডনি সিক্সার্সের মাঝারীসারিতে ভাঙ্গন ঘটিয়ে ৩/৩০ নিয়ে পার্থ স্কর্চার্সের শিরোপা জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। জাতীয় দলে খেলার প্রাক্কালে তিনি মাত্র একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন।
অক্টোবর, ২০১৫ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ও ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[১] ২১ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে লিস্ট এ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ম্যাটাডোর বিবিকিউজ ওয়ানডে কাপে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথমবারের মতো অংশ নেন তিনি।[২] ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[৩]
১৬ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে বিগ ব্যাশ লীগে পার্থ স্কর্চার্সের সদস্যরূপে টুয়েন্টি২০ খেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন।[৪] ১৫ মার্চ, ২০১৬ তারিখে শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ঝাই রিচার্ডসনের অভিষেক ঘটে।[৫]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্যে অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক দলে বিস্ময়করভাবে অন্তর্ভুক্তি ঘটে তার।[৬] ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে গিলংয়ের কার্দিনিয়া পার্কে একই দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি২০আইয়ে অভিষেক ঘটে তার।[৭]
২০১৭-১৮ মৌসুমটি চমৎকারভাবে শেষ করার পর জানুয়ারি, ২০১৮ সালে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য ঝাই রিচার্ডসনেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।[৮] ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[৯]
দক্ষিণ আফ্রিকা গমন, ২০১৭-১৮
একই মাসের শেষদিকে হল্যান্ডের সাথে তাকেও দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সদস্য করা হয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় হতাশাব্যঞ্জক টেস্ট সফরে যান। মার্চ, ২০১৮ সালে শুরুর হওয়া ঐ টেস্ট সিরিজে অবশ্য আঘাতের কারণে কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার।[১০]
এপ্রিল, ২০১৮ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক ২০১৮-১৯ মৌসুমে খেলার লক্ষ্যে অ্যালেক্স কেরি’র সাথে তাকেও জাতীয় পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ করা হয়।[১১][১২] ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে গমন করেন। আঘাতের কারণে পরবর্তী দুইটি সীমিত ওভারের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলা থেকে বিরত থাকেন। তবে, অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে শেফিল্ড শিল্ডে প্রাধান্য অব্যাহত রাখেন। ফলশ্রুতিতে, ২০১৮ সালের শেষদিকে পুনরায় অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরে আসেন।
ভারতের মুখোমুখি
জানুয়ারি, ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে নিয়ে ঝাই রিচার্ডসনকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) সিরিজের প্রথম খেলায় অংশ নিয়ে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/২৬ দাঁড় করান। তন্মধ্যে,ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এরফলে, অস্ট্রেলিয়া দল সকলে স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহস্রতম জয়ের সন্ধান পায়।[১৩] ভারতের বিপক্ষে তিনটি ওডিআইয়ে বিরাট কোহলিকে তিনবার বিদায় করেন। বলে পেস, সুইং, নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার সমালোচনা করা দুষ্কর। ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের খেলায় বল ও ব্যাট হাতে বেশ ভালো খেলেন।
একই মাসের শেষদিকে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। তিনি আঘাতপ্রাপ্ত জোশ হজলউডের স্থলাভিষিক্ত হন।[১৪] ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[১৫]
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজার মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিংকালে কাঁধে চোট পেলে নিজ দেশে তাকে ফেরৎ পাঠানো হয়। তবে, আঘাত থেকে ফিরে আসলে এপ্রিল, ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যে ১৫-সদস্যবিশিষ্ট অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্যরূপ মনোনীত হন।
খেলার ধরন
ঝাই রিচার্ডসন মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করে থাকেন। দীর্ঘদেহী ও মোটাসোটা না হওয়ায় কোচগণ ইতোঃপূর্বে তাকে পেস বোলিংয়ে নিরুৎসাহিত করে আসছিলেন।[১৬] তার উচ্চতা ১৭৮ সেন্টিমিটার ও ওজন ৭০ কিলোগ্রাম।
অস্ট্রেলিয়ার তিন সেরা ফাস্ট বোলার - প্যাট কামিন্স, জোশ হজলউড ও মিচেল স্টার্কের পর চতুর্থ সেরা বোলার হিসেবে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ঝাই রিচার্ডসনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ছোট-খাঁটো গড়নের দ্রুতগতিসম্পন্ন এ বোলার ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বলকে সুইং করানোয় দক্ষতা রয়েছে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ঝাই রিচার্ডসন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ঝাই রিচার্ডসন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)