ডুব (চলচ্চিত্র)

২০১৭-এর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত চলচ্চিত্র

ডুব হচ্ছে ২০১৭ সালের একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। ধারণা করা হচ্ছে এটি জীবনী সম্পর্কিত একটি নাট্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা করবেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবদুল আজিজ, এসকে মুভিজ এবং ইরফান খান ফিল্মসের ইরফান খান[৪] চলচ্চিত্রটির শিল্পীগন হলেন ইরফান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী এবং পার্ণো মিত্র। গল্পটি তৈরি হয়েছে পরিবারের প্রধান সদস্যের মৃত্যুর পরে দুইটি পরিবারের অটুট বন্ধনের কাহিনী নিয়ে। যেখানে একজন মধ্যবয়স্ক চলচ্চিত্র পরিচালক এক তরুনীর প্রেমে পড়েন যিনি তার মেয়ের বন্ধু। চলচ্চিত্রটির প্রধান ভাষ্য হচ্ছে যে, মৃত্যু সবসময় সব কিছু নিয়ে যায় না, অনেক সময় কিছু দিয়েও যায়।[৫][৬]

ডুব
ডুব চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকমোস্তফা সরয়ার ফারুকী
প্রযোজক
রচয়িতামোস্তফা সরয়ার ফারুকী
শ্রেষ্ঠাংশে
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকজাজ মাল্টিমিডিয়া
এসকে মুভিজ[১]
মুক্তি২৭ অক্টোবর, ২০১৭ [২][৩]
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয়১২ কোটি টাকা

কাহিনী

চলচ্চিত্রটিতে দুটি পরিবারের কর্তাব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবার দুটির অনুভূতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

অভিনয়ে

বিতর্ক

আমার আশঙ্কার কথা সেন্সর বোর্ডকে জানিয়ে অনুরোধ করেছি যাচাই-বাছাই করে দেখতে। এখানে বন্ধ করার চেষ্টা করা, আপত্তি জানানো, আটকে দেওয়া—এ ধরনের কোনো ভাষা ব্যবহার করিনি। মৌখিকভাবেও না, লিখিতভাবেও না।
আর তিনি (ফারুকী) কিন্তু একবারও কোথাও কোনো বক্তব্যে বলেননি, এই ছবির গল্পের সঙ্গে হ‌ুমায়ূন আহমেদের জীবনের কোনো মিল নেই। এটা শুনলেও আমি বিশ্বাস করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু তিনি সেটা স্পষ্ট করে বলছেন না।[৭]

— মেহের আফরোজ শাওন, ডুব চলচ্চিত্র সম্পর্কে তার আপত্তি বিষয়ে

আমার ছবি কোনো উপন্যাস, গল্প, কবিতা কিংবা জীবনীগ্রন্থ থেকে বানানো নয়। এটা একটা মৌলিক গল্প, যার প্রধান চরিত্রের নাম জাভেদ হাসান এবং এখানে মেহের আফরোজ শাওন নামে কোনো চরিত্র নেই। সেই ক্ষেত্রে এখানে তাঁর এই চিঠির কোনো আইনগত ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না।[৭]

— মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ডুব চলচ্চিত্রের ব্যাপারে তার অবস্থান জানিয়ে

আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে প্রথম জানানো হয়, ডুব ছবিতে ইরফান খান অভিনয় করছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে। অনুরূপে রোকেয়া প্রাচী হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন, কন্যা শীলার চরিত্রে তিশা এবং মেহের আফরোজ শাওনের চরিত্রে পার্ণো মিত্র অভিনয় করবেন বলে জানা যায়। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের কেউই এ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে সেখানে প্রকাশিত হয়। হুমায়ূন আহমেদের জীবনিভিত্তিক চলচ্চিত্র হলে তার পরিবারের কেউ কেন জানবে না এই নিয়েই পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে শাওন আপত্তি জানায়। এর পরপরই চলচ্চিত্রটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।[৮] কিন্তু পরিচালক জানান যে তারা কোনো জীবনীনির্ভর চলচ্চিত্র বানাচ্ছেন না।[৯]

পরবর্তীতে চলচ্চিত্রটি ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি সেন্সর বোর্ড থেকে অনাপত্তিপত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) পাওয়া সত্ত্বেও ১৬ ফেব্রুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশক্রমে সেই অনাপত্তিপত্র স্থগিত করা হয়।[১০][১১] ১৩ই ফেব্রুয়ারি শাওন সেন্সর বোর্ড বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়ে হুমায়ূন আহমেদের ভুল জীবনী নির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণের আশঙ্কা প্রকাশ করার পরপরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফারুকী জানায় এ স্থগিতাদেশের কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই।[১২] ডুব মৌলিক গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত বলেও তিনি জানান।[৭]

প্রযোজনা

চলচ্চিত্র নির্মাণ

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। বাংলাদেশে জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং ভারতে এসকে মুভিজ চলচ্চিত্রটির প্রযোজনার দায়িত্বে আছে। ইরফান খানও এতে প্রযোজনা করেছেন।[১]

চলচ্চিত্রটির মূল দৃশ্যায়ণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ এর মার্চে। চলচ্চিত্রটির মূল শ্যুটিং হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যেমন: পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ঢাকা[১৩] শ্যুটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য মার্চ ১৭,২০১৬ বলিউডহলিউড চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান খান ভারত হতে ঢাকায় আসেন। আন্তজার্তিকভাবে খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উল্লেখ করেছেন তিনি চলচ্চিত্রটিকে হারানো ও আবার ফিরে পাওয়া এই ভাষ্য নিয়ে চলচ্চিত্রটির গল্প তৈরি করেছেন।[১৪] ইরফান খান বলেছেন যখন তিনি ফারুকীর গল্পটি পড়েছেন তখন তিনি চলচ্চিত্রটির গল্পের ব্যাপারে আগ্রাহী হন। তিনি ফারুকীর পরিচালনা, স্টাইল ও কাজের ধরন দেখে বিস্মিত হয়েছেন। তার কাজ আলাদা ভাবে মানবিক দিক তুলে ধরে, যা তাকে সকলের থেকে আলাদা করেছে।[১৫][১৬]

অংশগ্রহণ

বলিউড অভিনেতা ইরফান খান নুসরাত ইমরোজ তিশা বিপক্ষে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রোকেয়া প্রাচী এবং পার্ণো মিত্র পরে চলচ্চিত্রটিতে সার্পেটিং এক্টর হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এই চলচ্চিত্রটি ইরফান খানের ১০ম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী