বাবর (ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র)
বাবর (উর্দু: بابر; মুঘল সম্রাট জহির-উদ-দীন বাবরের নামে নামকৃত), বা হাতফ ৭ হলো একটি স্বল্প পাল্লার টার্বোজেট ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। একে ভূমির পাশাপাশি পানির নিচে কোন ভ্রাম্যমাণ প্লাটফর্ম থেকেও নিক্ষেপ করা যায়। ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয় এবং ধারণা করা হয় যে ২০১০ সালে এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে আসে।[৪][৫][৬][৭][৮]
বাবর (ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র) | |
---|---|
![]() ২০০৬ সালে একটি প্রদর্শনীর জন্য মোতায়নকৃত বাবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র | |
প্রকার | মাঝারি পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র |
উদ্ভাবনকারী | পাকিস্তান |
ব্যবহার ইতিহাস | |
ব্যবহারকাল | বাবর ১: ২০১০-বর্তমান [১] |
ব্যবহারকারী | বাবর-১/বাবর-২ Army Strategic Forces Command (ASFC) বাবর-৩ Naval Strategic Forces Command (NSFC) |
উৎপাদন ইতিহাস | |
উৎপাদনকারী | জাতীয় প্রতিরক্ষা কমপ্লেক্স (এনডিসি) |
তথ্যাবলি | |
ওজন | ১,৫০০ কেজি |
দৈর্ঘ্য | ৬.২ মি [১] |
ব্যাস | ০.৫২ মি |
ওয়ারহেড | ৪৫০ - ৫০০ কেজি গতানুগতিক বা পারমাণবিক |
ইঞ্জিন | টার্বোফ্যান (উৎক্ষেপণের সময় কঠিন জ্বালানি রকেট বুস্টার) |
প্রপেল্যান্ট | কঠিন জ্বালানী (বুস্টার রকেট) তরল জ্বালানী (জেট ইঞ্জিন) |
অপারেশনাল রেঞ্জ | বাবর-১: ৭০০ কিমি[২] বাবর-২: ৭৫০ কিমি [৩] বাবর-৩: ৪৫০ কিমি |
গতিবেগ | ৮৮০ কিমি/ঘণ্টা বা ৫৫০ মাইল/ঘণ্টা (Mach ০.৮) |
নির্দেশনা পদ্ধতি | আইএনএস, টেরকম, জিপিএস |
লঞ্চ প্লাটফর্ম | পরিবহনকারী ইরেকটর উৎক্ষেপক (টিইএল) পানির নিচে ভ্রাম্যমাণ প্লাটফর্ম |
উৎপত্তি
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/ec/Babur_Cruise_Missle_at_Ideas_2008.jpg/220px-Babur_Cruise_Missle_at_Ideas_2008.jpg)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/ef/4_Babur_Cruise_Missiles_on_a_Truck_at_IDEAS_2008.jpg/220px-4_Babur_Cruise_Missiles_on_a_Truck_at_IDEAS_2008.jpg)
ভারত পাকিস্তানের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগারের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিকট হতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাকিস্তান বাবর ক্ষেপণাস্ত্রটি মোতায়ন করে।[৯] বাবর হলো পাকিস্তান কর্তৃক নকশা ও প্রস্তুতকৃত প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র।[৭] কিছু বিশ্লেষকের মতে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির সাথে চীনের ডিএইচ-১০ এবং যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের নকশার সাদৃশ্য রয়েছে।[১০][১১]
নকশা
প্রায়োগিক ইতিহাস
২০০৫ সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তান সর্বসম্মুখে ঘোষণা করে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে, যার পাল্লা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।[১২][১৩] ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি পরিবাহী ইরেকটর উৎক্ষেপক থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।[৯][১৪] পাকিস্তান এই পরীক্ষার ব্যাপারে ভারতকে কোন প্রকার অবহিতকরণ ছাড়াই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি চালায়। কারণ সেসময়ে ভারত ও পাকিস্তানের শুধুমাত্র আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পূর্বে পরস্পরকে অবহিত করার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ ছিল।
২০০৭ সালের ২২ মার্চ পাকিস্তান বাবরের আরেকটি উন্নত সংস্করণের পরীক্ষা চালায়, যার পাল্লা ছিল ৭০০ কিমি।[১৫]
২০০৯ সালের ৬ মে পাকিস্তান আরেকটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করে। তবে রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে ২০০৯ সালের ৯ মে পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি।[১৬][১৭]