বেলজিয়ামে ইসলাম
বেলজিয়ামে মুসলমানদের সংখ্যা ৩২০০০০ থেকে ৪৫০০০০ জন। যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মতো বেলজিয়ামের মুসলিম জনসংখ্যার বেশিরভাগই তরুণ । তুরস্ক এবং মরক্কোর অধিবাসীরাই এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ৩৫% হলো ১৮ বছরের কম বয়সী। বিপরীতে, বেলজিয়ামে এই বয়সের জনসংখ্যা ১৮%। কিছু কিছু অঞ্চলে যুবকদের একটি বিশাল অংশ মুসলমান। ২০০২ সালে, ব্রাসেলস অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় নামগুলো ছিল মুহাম্মদ এবং সারাহ।
৯০–১০০% |
|
৭০–৮০% | কাজাখস্তান |
৫০–৭০% | |
৩০–৫০% | উত্তর মেসেডোনিয়া |
১০–২০% |
|
৫–১০% | |
৪–৫% | |
২–৪% | |
১–২% |
|
< ১% |
|
ইতিহাস
বেলজিয়ামের ইসলামের প্রথম উপস্থিতি পাওয়া যায় ১৮২৯ সালে যা ছিল দেশটি স্বাধীনতা অর্জনের এক বছর পূর্বে অর্থ্যাৎ ১৮৩০ সালে।[২]:২২৩
মসজিদ
বেলজিয়ামে সরকারীভাবে স্বীকৃত ৭৫ টি মসজিদ রয়েছে। যেখানে সরকারীভাবে ইমামদের বেতন দেওয়া হয়। এছাড়াও বেলজিয়ামে আরো কয়েকটি মসজিদ রয়েছে। [৩]
বেলজিয়াম অধিবাসীদের ইসলামফোবিয়ার প্রতি ঘৃণা
২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের ইসলাম বিরোধী রাজনীতিবিদ গ্রেট ওয়াইল্ডার্স কে অক্টোবরে / নভেম্বর মাসে বেলজিয়ামে তার প্রস্তাবিত সফর স্থগিত করতে হয়েছিল। এর কারণ হলো ইসলামফোবিয়ার উপর ভিত্তি করে গ্রেট ওয়াইল্ডার্সের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী ও ঘৃণা বার্তা ছড়ানো। বেলজিয়ামের বুদ্ধিজীবী, লেখক, রাজনীতিবিদ এবং জনসাধারণ সাধারণত গ্রেট ওয়াইল্ডার এবং ইসলামফোবিয়ার বিরোধী। বেলজিয়াম ব্রাসালসের মেয়র ফিলিপ ক্লাউস এবং মোলেনবিকের মেয়র ফ্রাঁসোয়া শেকপম্যানস সভাবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিলেন। বিশেষত, ক্লাউস বলেছিলেন, আমরা চাই না ওয়াইল্ডাররা এই দেশে ঘৃণা বার্তা ছড়িয়ে দিক। ওয়াইল্ডার্স অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিল, ইউরোপীয় শহরগুলোতে স্বাধীনভাবে সভা সমাবেশ না করতে পারাটা দুঃখজনক। গ্রেট ওয়াইল্ডার তার সমাবেশে মুসলিম, কুরআন এবং ইসলামের নবীকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতো। সে তার দেশে কুরআন ও মসজিদ নিষিদ্ধ করার স্লোগান দিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন, তবে সে তার নিজের দেশের মানুষের কাছেও পরাজিত হয়েছিল। [৪]