ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ হচ্ছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি শাখা যা বাংলাদেশে ইংরেজি ও ব্রিটিশ শিক্ষা প্রদান করে থাকে এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অবদান রাখে। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত এবং শাখাসমূহ চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবস্থিত।[২][৩] বারবারা উইকহাম হচ্ছেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক।[৪][৫]
গঠিত | ১৯৫১ |
---|---|
সদরদপ্তর | ফুলার রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ[১] |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৩′৫১″ উত্তর ৯০°২৩′২৯″ পূর্ব / ২৩.৭৩০৭৪৬° উত্তর ৯০.৩৯১৩৩৯° পূর্ব |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
ওয়েবসাইট | ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ |
ইতিহাস
ব্রিটিশ কাউন্সিল ১৯৩৪ সালে লন্ডন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৬] এটা ১৯৫১ সালে ঢাকায় তার শাখা খুলে যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল।[২] ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের কালরাত্রিতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই কার্যালয়টিতে আক্রমণ চালায়, সেসময় এই কার্যালয়ে পাহারারত ৮জন পূর্ব পাকিস্তানি পুলিশ অফিসার প্রাণ হারায়।[৭] ২০১৩ সালে, শিক্ষাদানে উন্নয়নের লক্ষে ব্রিটিশ কাউন্সিল মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সাথে একটি স্মারকলিপিতে সই করে।[৮] ১৬ জানুয়ারি ২০১৬-তে, ব্রিটিশ কাউন্সিল উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করার জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা, চ্যাঞ্জ মেকারের সহায়তায় 'ইনোভেট, ইনকিউবেট এন্ড গ্রো (আইআইজি): একটি সামাজিক কর্মপ্রচেষ্টা সমর্থনকারী প্রোগ্রাম' চালু করে।[৯]
জুলাই ২০১৬ ঢাকা আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে, নিরাপত্তা বিধানে ব্রিটিশ কাউন্সিল সাময়িক সময়ের জন্য এর কার্যালয়সমূহ বন্ধ করে দেয়।[১০][১১] ১৯৭১ সালে প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে নিহত পুলিশ অফিসারদের স্মরণে ২০১৭-তে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।[১২][১৩]
কার্যাবলী
- ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশে ও-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষা নিয়ে থাকে।[১৪][১৫][১৬]
- যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা সংযোগে সহায়তা করে।[১৭]
- ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশে আইইএলটিএস পরীক্ষা পরিচালনা করে, যেখানে প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০হাজার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়।[১৮] ব্রিটিশ কাউন্সিল ২০১৬ সাল মোতাবেক, 'ব্রিটিশ কাউন্সিল আইইএলটিএস স্কলারশিপ প্রদান করে আসছে।[১৯]
- যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন বৃদ্ধি ও উন্নয়ন কল্পে কাজ করছে।[২০]