মারিব বাঁধ
মারিব বাঁধ (আরবি: سَدّ مَأْرِب সাদ্দ মা'রিব , বা سُدّ مَأْرِب সুদ্দ মা'রিব) ইয়েমেনের মারিব প্রদেশের বালক পাহাড়ে আধানাহ (أَذَنَة) উপত্যকায় অবস্থিত একটি আধুনিক বাঁধ। ১৯৮০-র দশকে এই বাঁধটি নির্মিত হয় এবং এটি প্রাচীন একটি বাঁধের ধ্বংসাবশেষের কাছাকাছি অবস্থিত। প্রাচীন বাঁধটি খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল।[১] এটি প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম প্রকৌশল বিস্ময় ছিল এবং মারিবের কাছে অবস্থিত সাবা ও হিময়ার রাজ্যের একটি কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল।[২]
سد مأرب | |
অবস্থান | মারিব গভর্নরেট, ইয়েমেন |
---|---|
অঞ্চল | আরব উপদ্বীপ |
স্থানাঙ্ক | ১৫°২৩′৪৭″ উত্তর ৪৫°১৪′৩৭″ পূর্ব / ১৫.৩৯৬৩৯° উত্তর ৪৫.২৪৩৬১° পূর্ব |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | ১৭৫০খ্রিষ্টপূর্ব–১৭০০খ্রিষ্টপূর্ব |
সময়কাল | প্রাচীন ইয়েমেন |
স্থান নোটসমূহ | |
এর অংশ | সাবা, মারিবের প্রাচীন রাজ্যের ল্যান্ডমার্ক |
মানদণ্ড | সাংস্কৃতিক: (iii), (iv) |
সূত্র | ১৭০০ |
তালিকাভুক্তকরণ | ২০২৩ (৪৭তম সভা) |
বিপদাপন্ন | ২০২৩–... |
ইয়েমেনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন বাঁধগুলির মধ্যে রয়েছে জুফায়না বাঁধ, খারিদ বাঁধ, আদরাআ বাঁধ, মিকরান বাঁধ এবং ইয়াথান বাঁধ। ঐতিহাসিকভাবে, ইয়েমেন এর প্রাচীন জল প্রকৌশলের মহিমার জন্য স্বীকৃত। লোহিত সাগর উপকূল থেকে শুরু করে এম্পটি কোয়ার্টার মরুভূমির সীমানা পর্যন্ত মাটি ও পাথর দিয়ে তৈরি ছোট এবং বড় অনেক বাঁধের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
২০২৩ সালে, প্রাচীন সাবা রাজ্যের অন্যান্য স্থাপনার সাথে মারিব বাঁধকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩]
প্রাচীন বাঁধ
মারিবের মহান বাঁধ, যাকে 'আরিমের বাঁধ' (আরবি: سَدّ ٱلْعَرِم, sadd al-ˁArim) নামেও ডাকা হয়, প্রাচীন মারিব শহরের উজানে (দক্ষিণ-পশ্চিমে) অবস্থিত। শহরটি একসময় প্রাচীন সাবাইয়ান রাজ্যের (সম্ভবত শিবা) রাজধানী ছিল। সাবাইয়ান রাজ্য ছিল একটি সমৃদ্ধশালী বাণিজ্য রাষ্ট্র, আরব এবং আবিসিনিয়াতে (বর্তমান ইথিওপিয়া) ধূপ ও মসলার বাণিজ্যপথ তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সাবাইয়ানরা শহরের আশেপাশের জমি সেচ দেওয়ার জন্য কাছাকাছি পাহাড়ে বর্ষাকালে যে মৌসুমি বৃষ্টি হয় তা ধরে রাখতে এই বাঁধটি নির্মাণ করেছিল। কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ১৭৫০ অব্দেও সেখানে সাধারণ মাটির বাঁধ ও খাল ব্যবস্থা নির্মিত হয়েছিল, কিন্তু সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসারে মারিবের মহান বাঁধ নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দীতে। অনেকে এটিকে প্রাচীন বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রকৌশল কীর্তির একটি বলে মনে করেন।
মধ্যযুগীয় আরব ভূগোলবিদ ইয়াকুত আল-হামাভি এটির বর্ণনা করেন এভাবে:
এটি তিনটি পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত, এবং সমস্ত বন্যার পানি একটি স্থানে প্রবাহিত হয়। এ কারণে, সেখানে পানি শুধুমাত্র একটি দিকেই বের হয়ে যেত। প্রাচীনরা সেই জায়গাটি শক্ত পাথর এবং সীসা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ঝর্ণার পানির সাথে বন্যার পানি, বাঁধের পিছনে একটি সমুদ্রের মতো জমা হতো। তারা যখনই চাইতো, জলদ্বার থেকে প্রয়োজনমতো পানি ছেড়ে সেখানকার শস্যে সেচ দিতে পারত। পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করার পর, তারা ইচ্ছামতো জলদ্বার আবার বন্ধ করে দিত।[৪]
নির্মাণ ও ইতিহাস
খ্রিস্টপূর্ব ১৭৫০ থেকে ১৭০০ অব্দের মধ্যে মা'রিবে প্রথম বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই বাঁধটি নির্মাণের সময় বা কিছু অংশের সংস্কারের পরে যাথা আমার ওয়াতার প্রথম (যাদা এল জারিহ প্রথমের পুত্র) একটি শিলালিপি স্থাপন করেছিলেন। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৭৬০ থেকে ৭৪০ অব্দ পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। এরপরের সংস্কারটি ছিলো যাদা এল বায়েন দ্বিতীয়ের সময়কালে যিনি খ্রিস্টপূর্ব ৭৪০ থেকে ৭২০ অব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। পরবর্তীতে, ধামার এল জারিহ প্রথম এবং কারাব এল বায়েন খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ থেকে ৬৮০ অব্দের মধ্যে সংস্কার কাজ করেছিলেন। সমস্ত সংস্কার ছিল সামান্য, যেমন ময়লা অপসারণ, জলের পথ পরিষ্কার করা, ফাঁক বন্ধ করা ইত্যাদি।
দ্বিতীয় ধামার এল ওয়াতারের পুত্র মাকরিব সামাহ এল ইয়ানুফ দ্বিতীয় বাঁধের সংস্কার ও সমাপ্তির চিহ্ন হিসেবে বাঁধের কিছু অংশে তার নাম খোদাই করেছিলেন।
বাঁধটি মাটি দিয়ে তৈরি ছিল, প্রস্থচ্ছেদে ত্রিভুজাকার, ৫৮০ মিটার (১,৯০০ ফুট) লম্বা এবং ৪ মিটার (১৩ ফুট) উঁচু। এটি নদীর দুই পাড়ের প্রস্তরখন্ডের মাঝে অবস্থিত ছিল এবং উল্লেখযোগ্য পাথরের কাজের মাধ্যমে এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছিল। বাঁধের অবস্থানের কারণে বাঁধের উত্তর প্রান্ত ও পশ্চিমের খাড়া পাথরের মাঝে একটি স্পিলওয়ে ও সেচ খালের মতো সুবিধা তৈরির অবকাশ ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ সালের দিকে, বাঁধের উচ্চতা ৭ মিটার (২৩ ফুট) পর্যন্ত বাড়ানো হয়, অভ্যন্তরের (পানি-মুখী) ঢালটি পাথরের আবরণ দিয়ে শক্তিশালী করা হয় এবং সেচ ব্যবস্থা উত্তর দিকের পাশাপাশি দক্ষিণ দিকেও সম্প্রসারিত করা হয়।
সাবা সাম্রাজ্যের সমাপ্তির পর, খ্রিস্টপূর্ব ১১৫ সালের দিকে হিময়ার রাজবংশ বাঁধটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করে, উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্তে পাঁচটি স্পিলওয়ে চ্যানেল, দুটি ইটের-নির্মিত জল নির্গমন পথ, একটি পানি জমার পুকুর এবং একটি বণ্টন ট্যাঙ্ক সহ ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) উঁচুর একটি বিশাল স্থাপনা তৈরি করে। এই বিস্তৃত কার্যক্রম আসলে ৩২৫ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি এবং এটি ১০০ বর্গকিলোমিটার (২৫,০০০ একর) জমিতে সেচ দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল।
রক্ষণাবেক্ষণ
মুসলিম ইতিহাসবিদ আল-ইসফাহানি (যার ইতিবৃত্ত ৯৬১ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়েছিল) দাবি করেন যে, ইসলামের উত্থানের প্রায় ৪০০ বছর আগে এই বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। অন্যদিকে, ইয়াকুত আল-হামাউই এই ঘটনাকে আবিসিনিয়ান শাসনের সময়ের ঘটনা হিসেবে নির্দেশ করেন।
প্রাচীন দক্ষিণ আরবীয় সূত্রগুলি থেকে জানা যায় যে, খ্রিস্টপূর্ব ১৪৫ সালের দিকে, রায়দানের জনগণ এবং সাবা রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধের সময় বাঁধটিতে একটি বড় ফাটল ধরে। বহু পণ্ডিত বিশ্বাস করেন যে এই ফাটলের কারণেই কুরআনে উল্লিখিত সায়ল আল-আরিম (আরবি: سَيْل ٱلْعَرِم, 'আরিমের বন্যা) ঘটেছিল। আরবীয় প্রবাদেও এর উল্লেখ আছে, যেখানে সেই সময়ে সাবা রাজ্যের অবসানের কথা বলা হয়। রায়দানিদের সাথে সাবানদের যুদ্ধ বাঁধ মেরামতের কাজে বিলম্ব ঘটায়। এর ফলে ফসল এবং ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়, এবং বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত নতুন ভূমির সন্ধানে অনেক মানুষ অন্যত্র পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়। এই বিশাল জন-অভিবাসন শুরু হয়। তবে, এই নির্দিষ্ট ফাটলের ফলেই 'আরিমের বন্যা' হয়েছিল কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। কিছু অভিবাসন অবশ্যই দ্বিতীয় বা তৃতীয় শতাব্দীতেও হয়েছিল, এবং সেগুলিও মা'রিব বাঁধ ভাঙার সাথে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হয়।
সাধারণভাবে বলতে গেলে, ইসলামের আবির্ভাবের অল্প আগে দুবার বাঁধটি মেরামত করা হয়েছিল। একবার ৪৫০ সালে শারহাবিল ইয়াফার বিন আবি কারাব ইয়াসাদ এবং ৫৪৩ সালে আবরাহার দ্বারা। বাঁধের শিলালিপিতে মেরামতের খরচ এবং জড়িত শ্রমিকদের বিপুল সংখ্যার উল্লেখ আছে।
মা'রিব বাঁধের প্রত্নতত্ত্ব প্রাচীনকালে বাঁধের পিছনে পলি জমার প্রভাব এবং জলাধারের জীবনকাল দীর্ঘায়িত করার ব্যবস্থাগুলি দেখায়। পলি জমার এই একই সমস্যা প্রাচীন বাঁধের মতো নতুন বাঁধ নির্মাণেও দেখা দেয়। উচ্চতা বাড়ানো সত্ত্বেও, বাঁধটি বারবার ফাটলের সম্মুখীন হয় (বড় ধরনের ঘটনাগুলি ৪৪৯, ৪৫০, ৫৪২ এবং ৫৪৮ সালে ঘটেছিল), ফলে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ক্রমেই কষ্টসাধ্য হতে শুরু করে। শেষ মেরামতির রেকর্ড পাওয়া যায় ৫৫৭ সালের।
শেষ ভাঙ্গন
কথিত আছে, 'ইমরান নামে একজন ভবিষ্যদ্বক্তা রাজা মারিব বাঁধের চূড়ান্ত ধ্বংসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাজার স্ত্রীও একই সতর্কবার্তা দেন। কিংবদন্তি অনুসারে, বড় বড় ইঁদুর তাদের দাঁত দিয়ে তীরে কামড় দিয়ে এবং নখ দিয়ে আঁচড় কেটে বাঁধটিকে দুর্বল করে দেয়। ৫৭০ বা ৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে, বাঁধটি আবার ভেসে যায়, কিন্তু এবার আর মেরামত করা হয়নি। মারিব বাঁধের চূড়ান্ত ধ্বংসের ইঙ্গিত কুরআনের (৩৪: ১৫-১৭) এই আয়াতগুলিতে পাওয়া যায়:
“নিশ্চয়ই সাবা (শিবা) জনপদের মানুষের জন্য তাদের বাসস্থানেই ছিল এক নিদর্শন: ডানে ও বাঁয়ে দুটি উদ্যান। (তাদেরকে বলা হয়েছিল) আহার কর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার দেয়া রুযী থেকে এবং কৃতজ্ঞ হও তাঁর প্রতি। উত্তম নগরী এবং ক্ষমাশীল পালনকর্তা! কিন্তু তারা বিমুখ হয়ে গেল। ফলে আমি তাদের উপর প্রেরণ করলাম বন্যা এবং তাদের দুই উদ্যানের স্থলে দিয়ে দিলাম তিক্ত ফলের দুই উদ্যান, কুলবেরি গাছ ও কিছু কাঁটাঝোপ।”
পরবর্তীতে সেচব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় ৫০,০০০ লোক ইয়েমেন থেকে আরব উপদ্বীপের অন্যান্য অঞ্চলে এমনকি লেভান্ট অঞ্চলেও পাড়ি জমায়।
আধুনিক বাঁধ
১৯৮০-এর দশকে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের আর্থিক অনুদানে পুরনো একটি বাঁধের অবস্থানের কাছাকাছি দোগুশ গ্রুপ নতুন একটি বাঁধ নির্মাণ করে। শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের উপজাতি ঐতিহাসিক বাঁধটি ধ্বংস হওয়ার পর, সম্ভবত ষষ্ঠ বা সপ্তদশ শতাব্দীতে মারিব থেকে তাঁর দেশে চলে আসেন। দোগুশ গ্রুপের আয়হান সাহেনক এবং শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের উপস্থিতিতে ১৯৮৬ সালের ২০শে ডিসেম্বর এই বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। ইয়েমেনের অভ্যন্তরে এবং বাইরে অনেকেই মনে করেন যে এই বাঁধটি নির্মাণের ফলে মারিব অঞ্চলের কৃষি ও অর্থনীতি ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এছাড়াও দেশটি সামগ্রিকভাবে উপকৃত হয়েছে।
বাঁধটি ৩৮ মিটার (১২৫ ফুট) উঁচু, ৭৬৩ মিটার (২৫০৩ ফুট) দীর্ঘ, এবং ওয়াদি ধানার উপর ১৫°২৩′৪৭″ উত্তর ৪৫°১৪′৩৭″ পূর্বে নির্মিত। মাটি দিয়ে তৈরি এই বাঁধের ধারণ ক্ষমতা ৩৯৮ মিলিয়ন ঘনমিটার। বাঁধের নির্মাণস্থলটি প্রাচীন ও মহান বাঁধের ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩ কিলোমিটার (১.৯ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। প্রাচীন বাঁধের মতোই মারিবের সমভূমিগুলোতে সেচের জন্য নতুন বাঁধের জল মজুদ করা হয়। তবে, নতুন বাঁধটি যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে সেখানকার ওয়াদি ৩০-৫০ মিটার (৯৮-১৬৪ ফুট) পুরু পলিমাটি এবং নুড়িপাথর দিয়ে গঠিত। এই বাঁধ থেকে যে পানি চুঁইয়ে বেরিয়ে যায় তা বাঁধের কাঠামোর জন্য হুমকি নয়, কিন্তু এর ফলে জলের অপচয় হয়। এই চুঁইয়ে বেরিয়ে যাওয়া পানি ব্যবহারের একটি উপায় হিসেবে প্রাচীন মারিব বাঁধটি পুনর্নির্মাণের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি একইসাথে কার্যকরী বাঁধ, ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে গেলে এর জটিলতা এবং কর্মপরিধির জন্য ইউনেস্কোর নেতৃত্বে একাধিক সংস্থার একত্রে কাজ করা প্রয়োজন। এছাড়া এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আর্থিক অবদানও জরুরি।
২০১৫ সালে বিমান হামলায় বাঁধটির ক্ষতি হয়। ইয়েমেনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী এই বিমান হামলার জন্য দায়ী।