ইউনুস জৌনপুরী
মুহাম্মদ ইউনূস জৌনপুরী অথবা জৈনপুরী (২ অক্টোবর ১৯৩৭-১১ জুলাই ২০১৭) একজন ভারতীয় ইসলামী হাদীস পণ্ডিত এবং সাহারপুরের মাজাহির উলূমের প্রাক্তন শায়খ আল-হাদীস। [২] তিনি মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভীর প্রবীণ ছাত্র এবং শিষ্য ছিলেন। [৩][৪]
মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস জৌনপুরী | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ২ অক্টোবর ১৯৩৭ |
মৃত্যু | ১১ জুলাই ২০১৭ | (বয়স ৭৯)
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুন্নি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস |
উল্লেখযোগ্য কাজ | নিবার আল-সীরা ইলিয়া রিয়্যুল বুখারি |
যেখানের শিক্ষার্থী | মাজাহির উলুম, সাহারানপুর |
কাজ | পণ্ডিত |
মুসলিম নেতা | |
এর শিষ্য | মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি |
যাদের প্রভাবিত করেন |
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
জৌনপুরী ১৯৩৭ সালের ২ অক্টোবর জৌনপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে সাহারানপুরের মাজাহির উলূম থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। [৫]
ব্যক্তিগত জীবন
জৌনপুরী বিয়ে করতে পছন্দ করেন নি এবং সারা জীবন অবিবাহিত ছিলেন। ফুজাইল আহমদ নাসিরি বলেন যে, তার বিবাহ না করার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ আছে, তবে জৌনপুরী নিজেকে বিয়ের জন্য যোগ্য বলে মনে করেননি এবং তাই তিনি অবিবাহিত ছিলেন। কোনও সন্তান না থাকায় তিনি অস্বস্তি ও বেদনা অনুভব করেতেন। [৬]
পেশা
জৌনপুরী সাহারানপুরের মাজাহির উলূমে হাদীসের বিভিন্ন বই পড়াতেন। তিনি ১৩৮৮ হিজরিতে জামিয়ার শায়খ আল হাদীস হিসাবে নিযুক্ত হন। [৭] তিনি প্রায় ৫০ বছর ধরে সাহারানপুরের মাজাহির উলূমে সহিহ আল-বুখারী পড়ান। [২] তার ছাত্রদের মধ্যে ইউসুফ মোতালা এবং আবদুর রহিম লিম্বদা রয়েছে।
মৃত্যুবরণ
জৌনপুরি ১১ জুলাই ২০১৭ এ মারা যান। তাঁর জানাজায় দশ লক্ষেরও বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন এবং মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভীর পুত্র তালহা কান্ধলভী মোনাজাতের নেতৃত্বে ছিলেন। আন্তর্জাতিক ইসলামী পণ্ডিত ইসমাইল ইবনে মুসা মেনক তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।[৮][৯][১০][১১] ভারতীয় কবি ও পণ্ডিত ফুজাইল আহমদ নাসিরিও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন জৌনপুরী হাদিসের অনুকরণীয় পণ্ডিত ছিলেন। [৬]
সাহিত্যকর্ম
জৌনপুরীর বইগুলির মধ্যে রয়েছে:[১২]