লক্ষ্মী নারায়ণ (১৯৫১-এর চলচ্চিত্র)

হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র

লক্ষ্মী নারায়ণ হল হিন্দি ভাষায় নির্মিত ১৯৫১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দু পৌরাণিক চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেন নানাভাই ভট্ট। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন মীনা কুমারী ও মহীপাল।[১][২] শিশুশিল্পী হিসাবে কর্মজীবন শেষ করার পর মীনা কুমারী প্রথমে পৌরাণিক ও রূপকথা-ভিত্তিক ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতেন। এই ছবিটিও সেই ধরনের একটি ছবি। এরপর ১৯৫২ সালে বৈজু বাওরা ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি মূলধারার চলচ্চিত্রে কর্মজীবন শুরু করেন।[৩]

লক্ষ্মী নারায়ণ
পরিচালকনানাভাই ভট্ট
শ্রেষ্ঠাংশেমীনা কুমারী, মহীপাল
সুরকারএস. এন. ত্রিপাঠী
পরিবেশকবসন্ত পিকচার্স
মুক্তি১৯৫১
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

কাহিনি-সারাংশ

দানবরাজ অরিষ্টনেমি নিজের সুখের জন্য পৃথিবীকে নিপীড়ণ করে চলেছিলেন। তিনি নদীর জল দুষিত করে তুলেছিলেন। সকল রত্ন সাগরে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল এবং পৃথিবীর সর্বত্র দুঃখকষ্টের চিহ্ন প্রকট হয়ে উঠেছিল। সেই সময় ঋষি ভৃগুর কন্যা ভুবনমোহিনী যৌবনে পদার্পণ করেছিলেন। অনেক রাজা ও দেবতারা তাঁকে বিবাহ করতে উৎসুক ছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র ও অরিষ্টনেমি ছিলেন তাঁর দুই পাণিপ্রার্থী। কিন্তু নারদের মুখে নারায়ণের গুণগান শুনে ভুবনমোহিনী নারায়ণকেই নিজের স্বামী হিসাবে গ্রহণে ইচ্ছুক হন। ইন্দ্র ভুবনমোহিনীর অনিচ্ছাতেই বলপূর্বক তাঁকে হরণ করেন। এমতাবস্থায় অরিষ্টনেমি ভৃগুকে পুরোহিত করে এক যজ্ঞের আয়োজন করলেন। সেই যজ্ঞের আগুন থেকে উদ্ভূত হলেন বৃত্রাসুর। তাঁর সাহায্যে অরিষ্টনেমি স্বর্গলোক জয় করলেন। সেখানে ভুবনমোহিনীর সন্ধান করতে গিয়ে অরিষ্টনেমি জানতে পারলেন যে, তিনি ইন্দ্রের প্রাসাদ ত্যাগ করে কোনও এক পর্বতচূড়ায় বসে নারায়ণের কাছে প্রার্থনা করছেন তাঁকে উদ্ধার করতে আসার জন্য। রাজ্য হারিয়ে ইন্দ্র শঙ্করের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলেন। শঙ্কর বললেন, একমাত্র ঋষি দধীচীর অস্থি দ্বারা নির্মিত অস্ত্রেই ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে বধ করতে সক্ষম হবে। ইন্দ্র দধীচীর কাছে গিয়ে তাঁকে পূজা করলেন। কিন্তু ক্ষমতার লোভে উন্মাদ অরিষ্টনেমি ঋষিকে আক্রমণ করে বসলেন। তাই দধীচী তাঁকে ভস্ম করে দিলেন এবং ইন্দ্রকে নিজের অস্থি দান করলেন। ইন্দ্র সেই অস্থি দ্বারা নির্মিত বজ্র নিয়ে বৃত্রাসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন এবং তাঁকে বধ করতে সক্ষম হলেন। তারপর ইন্দ্র বের হলেন ভুবনমোহিনীর অনুসন্ধানে। কিন্তু ইন্দ্রের কাছে আত্মসমর্পণে অনিচ্ছুক ভুবনমোহিনী ঝাঁপ দিলেন সমুদ্রে। সেই কথা শুনে ভৃগু নারায়ণের কাছে এসে দেখলেন তিনি নিদ্রিত। ভৃগু নারায়ণের বুকে লাথি মেরে তাঁকে জাগরিত করলেন এবং ক্রোধে চিৎকার করে বলে উঠলেন, “আমার কন্যা যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দিল, তখন তুমি কী করে ঘুমিয়ে থাকতে পারো?” নারায়ণ বললেন, “হে ঋষি, সময় হলেই তিনি আমার কাছে আসবেন। আসুন আমি আপনার পদসেবা করি। আমাকে আঘাত করতে গিয়ে আপনিও নিশ্চয় আঘাত পেয়েছেন।” পরে দেবতা ও অসুরেরা যখন সমুদ্রমন্থন শুরু করেন, তখন ভুবনমোহিনী লক্ষ্মী রূপে উত্থিতা হয়ে নারায়ণকে স্বামী রূপে বরণ করেন।

কলাকুশলী

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী