লিসা রে
লিসা রানী রে (জন্ম: ৪ঠা এপ্রিল ১৯৭২) হলেন একজন ভারতীয় এবং কানাডীয় অভিনেত্রী, লেখিকা, কলাম লেখিকা, মডেল, সমাজসেবী, টেলিভিশন এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে লিসা তাঁর মডেলিং জীবন শুরু করেছিলেন, অতঃপর তিনি বোম্বে ডাইং এবং ল্যাকমের মতো শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের পণ্যের একজন মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। এর পাশাপাশি, তিনি ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নেতাজী নামক একটি তামিল ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেছিলেন। তিনি ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, একটু অন্যরকম স্বাদের রোমাঞ্চকর প্রেমমূলক চলচ্চিত্র কসুর-এ অভিনয় মধ্য দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক করেছিলেন।[৩] তাঁর অভিনয় জীবনে লিসা সমস্যা ভিত্তিক কাহিনী বর্ণনার দিকে রুচি দেখিয়েছেন, যার মধ্যে ২০০৫ সালে একাডেমি পুরস্কার মনোনীত কানাডীয় চলচ্চিত্র ওয়াটার এবং পুরস্কার প্রাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকার চলচ্চিত্র দ্য ওয়ার্ল্ড আনসীন অন্যতম, যাকে একজন পর্যালোচক "বিগত বছরের সেরা ধারণার মধ্যে একটি" হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।[৪]
লিসা রে | |
---|---|
![]() ২০১২ সালে লিসা রে | |
জন্ম | লিসা রানী রে ৪ এপ্রিল ১৯৭২ |
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল |
কর্মজীবন | ২০০১—বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেসন ডেহনি (বি. ২০১২) |
সন্তান | ২ |
ওয়েবসাইট | lisaraniray |
কর্মজীবন
২০১১ সালে, লিসা ডিসকভারি চ্যানেল ভারতের ভ্রমণ বিষয়ক একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৫] এর পাশাপাশি তিনি ফুড নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ মান প্রাপ্ত অনুষ্ঠান টপ শেফ কানাডা-র উপস্থাপনা করার পাশাপাশি বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৬]
২০১৬ সালে, লিসা কাব্যের প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন।[৭] ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, লিসা কানাডা রিডসের ২০১৯ সংস্করণে প্যানেলস্ট হিসাবে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ডেভিড চারিয়ান্ডির পুরস্কার প্রাপ্ত দ্বিতীয় উপন্যাস, ব্রাদার-এ কাজ করেছিলেন।[৮]
২০১৯ সালের মে মাসে, রায়ের প্রথম বই, ক্লোজ টু দ্য বোন হার্পারকলিন্স ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে, লিসা তাঁর প্রকাশক হার্পার কলিন্সের সাথে আরও তিনটি বই লেখার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। [৯]
২০২০ সালে, লিসাকে উচ্চ প্রত্যাশিত মিউজিকাল ৯৯ সং-এ দেখা যাবার কথা, যেটি এ আর রহমান দ্বারা রচিত ও প্রযোজিত।[১০] তিনি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও-এর ওয়েব সিরিজ ফোর মোর শট প্লিজ!-এর ২য় আসরেও অভিনয় করছেন।[১১]
লিসার অসুস্থতা
২০০৯ সালে, লিসা মজ্জাকোষার্বুদ (যা রক্তের ক্যান্সারের এক অসাধ্য রূপ)-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন।[১২] তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ব্লগ ইয়েলো ডায়রিস লেখা শুরু করেছিলেন। তাঁর লেখা এবং কলামগুলো তখন থেকে নিয়মিতভাবে একাধিক বড় বড় প্রকাশনা প্রকাশ করে আসছিল।[১৩][১৪] লিসা মাতৃকোষ পরিবর্তন চিকিৎসার (স্টেম সেল ট্রান্স্প্লান্ট থেরাপি) পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন[১৫] এবং এরপর তিনি বেশ কয়েকটি সফল অর্থ সংগ্রহকারী এবং ক্যান্সারের সচেতনতামূলক প্রচারে অংশ নিয়েছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
লিসা রায় ১৯৭২ সালের ৪ঠা এপ্রিল তারিখে কানাডার অন্টারিওর টরন্টোর এক বাঙালি বাবা এবং পোলীয় মা-এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[১৬]