সাহারানপুর জেলা

উত্তর প্রদেশের একটি জেলা

সাহারানপুর জেলা হল ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের, উত্তরতম জেলা। হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড এই তিনটি রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত, এবং শিবালিক পাহাড়ের পাদদেশে, এটি দোয়াব অঞ্চলের উত্তর অংশে অবস্থিত। এটি মূলত একটি কৃষিক্ষেত্র।

সাহারানপুর জেলা
উত্তর প্রদেশের জেলা
উত্তর প্রদেশে সাহারানপুর জেলার অবস্থান
উত্তর প্রদেশে সাহারানপুর জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগসাহারানপুর
সদর দপ্তরসাহারানপুর
সরকার
 • লোকসভা কেন্দ্রসাহারানপুর
 •  বিধানসভা কেন্দ্রগুলিগঙ্গো ও নাকুড়
আয়তন
 • মোট৩,৮৬০ বর্গকিমি (১,৪৯০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩৪,৬৪,২২৮
 • জনঘনত্ব৯০০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল)
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • সাক্ষরতা৬২.৬১[১]
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
ওয়েবসাইটhttp://saharanpur.nic.in/

জেলা সদর শহর হল সাহারানপুর শহর এবং এটি সাহারানপুর বিভাগের অন্তর্গত। অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল বেহাত, দেওবন্দ, গাঙ্গো এবং রামপুর মণিহরন।

ইতিহাস

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১৭,২৮,৬০১—    
১৯১১৬,৮৭,৬২০−০.৫৮%
১৯২১৬,৫৩,৪৬০−০.৫১%
১৯৩১৭,২৭,৭৩১+১.০৮%
১৯৪১৮,২২,২৩১+১.২৩%
১৯৫১৯,৪২,৮৪৯+১.৩৮%
১৯৬১১১,৩২,৫৩৭+১.৮৫%
১৯৭১১৪,১৪,২৩১+২.২৫%
১৯৮১১৮,২১,৫৪৩+২.৫৬%
১৯৯১২৩,০৯,০২৯+২.৪%
২০০১২৮,৯৬,৮৬৩+২.২৯%
২০১১৩৪,৬৬,৩৮২+১.৮১%
সূত্র:[২]

মধ্যযুগীয় সময়কাল

শামসুদ্দীন ইলতুৎমিশের রাজত্বকালে (১২১১–৩৬), অঞ্চলটি দিল্লির সুলতানি সাম্রাজ্যের একটি অংশে পরিণত হয়েছিল। তখন বেশিরভাগ অঞ্চল বন এবং জলাভূমিতে আবৃত ছিল, যার মধ্য দিয়ে পাওনধোই, ধামোলা এবং গন্ডা নালা নদী প্রবাহিত হত। জলবায়ু আর্দ্র ছিল এবং প্রায়ই ম্যালেরিয়া দেখা দিত। দিল্লির সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক (১৩২৫-১৩৫১), ১৩৪০ সালে শিবালিক রাজাদের বিদ্রোহ দমন করতে উত্তরের দোয়াব অঞ্চলে একটি অভিযান চালিয়েছিলেন, স্থানীয় ঐতিহ্য অনুসারে, তিনি পাওনধোই নদীর তীরে একজন সুফি সাধুর উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। সাধুকে দেখার পরে, তিনি আদেশ দিয়েছিলেন যে তার পর থেকে ওই অঞ্চলটি সুফি সাধু শাহ হারুন চিশতী এর নামে শাহ-হারুনপুর নামে পরিচিত হবে।[৩] এই সাধকের সাধারণ তবে সু-সংরক্ষিত সমাধিটি সাহারানপুর শহরের প্রাচীনতম অংশে মালি গেট/বাজার দিনানাথ এবং হালওয়াই হাট্টার মধ্যে অবস্থিত। ১৪শ শতকের শেষে, সুলতানি শক্তি হ্রাস পেয়েছিল এবং মধ্য এশিয়ার সম্রাট তৈমুর (১৩৩৬-১৪০৫) এই অঞ্চল আক্রমণ করেছিলেন। ১৩৯৯ সালে দিল্লি দখল করার জন্য তৈমুর সাহারানপুর অঞ্চল দিয়ে যাত্রা করেছিলেন এবং এই অঞ্চলের মানুষ তাঁর সেনাবাহিনীকে লড়াই করে পরাস্ত করতে পারেনি। দুর্বল সুলতানি সাম্রাজ্যকে পরবর্তীকালে মধ্য এশীয় মুঘল রাজা বাবর (১৪৩৮-১৫৩১) পরাস্ত করেন।

মুঘল আমল

ষোড়শ শতাব্দীতে, ফারগানা উপত্যকা (এখন উজবেকিস্তান) থেকে তৈমুর এবং চেঙ্গিস খানের তিমুরিদ বংশধর বাবর, খাইবার পাস দিয়ে ঢুকে আক্রমণ করেছিলেন এবং মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সাম্রাজ্য আধুনিক কালের আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সহ ভারতে বিস্তৃত ছিল।[৪] মুঘলদের উদ্ভব মধ্য এশীয়ার পারস্যীয় তুর্কী (উল্লেখযোগ্য মঙ্গোল মিশ্রণ সহ) থেকে।

মুঘল আমলে, আকবরের (১৫৪২-১৬০৫) সময়, সাহারানপুর দিল্লি প্রদেশের অধীনে প্রশাসনিক দপ্তরে পরিণত হয়। আকবর, সাহারানপুরের জগির মুঘলের কোষাধ্যক্ষ সামন্ত সাহ রণবীর সিংকে দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন হিন্দু রোহিলা, যিনি সেনাবাহিনীর সেনানিবাসের জায়গায় বর্তমান শহরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তখনকার দিনে নিকটতম বসতিগুলি ছিল শেখরপুরা এবং মালিপুরে। সাহারানপুর ছিল একটি প্রাচীরযুক্ত শহর, যার চারটি দ্বার ছিল: সরাই দ্বার, মালি দ্বার, বুড়িয়া দ্বার এবং লক্ষী দ্বার। শহরটি নকসা বাজার, শাহ বেহলোল, রানী বাজার এবং লক্ষী দ্বার নামে আশেপাশে বিভক্ত ছিল। সাহ রণবীর সিংহের পুরানো দুর্গের ধ্বংসাবশেষ এখনও সাহারানপুরের চৌধুরিয়ান অঞ্চলে দেখা যায়, সুপরিচিত 'বড়া-ইমাম-বাড়া' থেকে খুব দূরে নয়। তিনি মহল্লা / টোলি চৌধুরিয়ানে একটি বৃহ্ৎ জৈন মন্দিরও নির্মাণ করেছিলেন,[৫] এটি এখন 'দিগম্বর-জৈন পুঞ্চায়তি মন্দির' নামে পরিচিত।

তথ্যসূত্র


🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী