হাদিস শাস্ত্র (আরবী: علم الحديث ইলমুল হাদিস বা "হাদিস বিজ্ঞান", উলুমুল হাদিস বা হাদিসের বিদ্যা বা হাদিস চর্চা বা হাদিস সমালোচনার বিজ্ঞান) হল মুসলিম মুহাদ্দিসদের বিজ্ঞ বিদ্বানদের দ্বারা ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বিদ্যার শাখা নিয়ে গঠিত শাস্ত্র ।
হাদিস বিশেষজ্ঞ জালাল উদ্দীন সুয়ুতী বর্ণনা করেছেন, যে বিদ্যার মূলনীতিগুলির দ্বারা সনদ তথা বর্ণনার সূত্র পরম্পরা এবং মতন যা হাদিসের মূলপাঠ, উভয়ের অবস্থা জানা যায় তা-ই ইলমুল হাদিস বা হাদিস বিজ্ঞান হিসেবে পরিচিত ।
এই বিজ্ঞানটি সনদ এবং মতন-এর সাথে সম্পর্কিত , তার উদ্দেশ্যটি হলো সহিহ তথা বিশুদ্ধ আর প্রামান্যটিকে অন্যটি থেকে আলাদা করা । ইবনে হাজার আল আসকালানী বলেছেন, পছন্দসই সংজ্ঞাটি হ'ল: যে মূলনীতিগুলির দ্বারা বর্ণনাকারী এবং বর্ণনার অবস্থা নির্ধারিত হয় তার জ্ঞানকে উলুমুল হাদিস (হাদিসশাস্ত্র) বলে । [১]
পণ্ডিত ইসমাইল লুতফির মতে , হাদিস বিজ্ঞানের নির্দিষ্ট ব্যবহারবিধিমূলক কিছু শাখা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে : [২]
ইসলামের নবি মুহাম্মদের মৃত্যুর পরে তার উক্তি লিখিত ও মুখস্থ উভয় আকারে সংরক্ষণ করা হয়েছিল ।[৩]
ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে, দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব সকল হাদিসকে সংগ্রহ করে একত্রিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন । তবে "কুরআন মুসলমানদের দ্বারা অবহেলিত হবে" এই আশঙ্কায় প্রচেষ্টা ছেড়ে দিয়েছিলেন (মুহাম্মদ যুবায়ের সিদ্দিকীর মতে)।[৩]
ঐতিহ্যগত "দুটি প্রাঙ্গণ" এর উপর ভিত্তি করে হাদিসের সত্যতা নির্ধারণ করার জন্য হাদিসের পণ্ডিতগণ দ্বারা একটি উন্নয়নমূলক বিস্তৃত পদ্ধতি গৃহীত হয় :
সহিহ (বিশুদ্ধ) পর্যায়ের হাদিস হতে হলে, একটি ভিন্ন হাদিসকে (মুতাওয়াতির নয় এমন হাদিস) যাচাই কল্পে "অবশ্যই পাঁচটি পরীক্ষা নিরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে":
প্রাথমিক সংকলন |
| ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দ্বিতীয় পর্যায়ের সংকলন |
| ||||||||||||||
প্রকারভেদ |
| ||||||||||||||
ব্যাখ্যা |
| ||||||||||||||
হাদিসের পরিভাষা এবং হাদিস অধ্যয়ন |
| ||||||||||||||
ইলম আল রিজাল |