১৯৬৮–৬৯ বুন্দেসলিগা
১৯৬৮–৬৯ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৬ষ্ঠ মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৬৮ সালের ১৭ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৬৯ সালের ৬ই জুলাই তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] আলেমানিয়া আখেনের জার্মান মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আরভিন হারমান্ডুং এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
মৌসুম | ১৯৬৮–৬৯ |
---|---|
তারিখ | ১৭ আগস্ট ১৯৬৮ – ৭ জুন ১৯৬৯ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ২য় জার্মান শিরোপা |
অবনমন | নুর্নবার্গ কিকার্স অফেনবাখ |
ইউরোপীয় কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | শালকে |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৭৩ (ম্যাচ প্রতি ২.৮৫টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | গের্ড মুলার (৩০টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ৬–০ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন (২৯ মার্চ ১৯৬৯) |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | ১৮৬০ মিউনিখ ০–৪ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন ৬–৫ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ (৭ জুন ১৯৬৯) |
← ১৯৬৭–৬৮ ১৯৬৯–৭০ → |
নুর্নবার্গ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৬৭–৬৮ মৌসুমে ৪৭ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১ম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৪৬ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২য় বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় গের্ড মুলার ৩০ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরন
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুটি করে ম্যাচ খেলেছিল, একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো একটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক দল সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান গড় গোল দ্বারা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুটি ক্লাব তাদের নিজ নিজ আঞ্চলিক লিগে অবনমিত হয়েছিল।
দল
১৯৬৭–৬৮ মৌসুম শেষে বরুসিয়া নয়কির্খেন এবং কার্লস্রুহার মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে হের্টা এবং কিকার্স অফেনবাখ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | মাঠ[৩] | ধারণক্ষমতা[৩] |
---|---|---|
আলেমানিয়া আখেন | পুরান টিভোলি | ৩০,০০০ |
হের্টা | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ১,০০,০০০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ৩৮,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | রোটে আর্ডে স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
ডুসবুর্গ | ভেডাউস্টাডিওন | ৩৮,৫০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৮৭,০০০ |
হামবুর্গার | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৮০,০০০ |
হানোফার ৯৬ | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৮৬,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | বেৎসেনবার্গ স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
১৮৬০ মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | গ্রুনভাল্ডার স্টেডিয়াম | ৪৪,৩০০ |
নুর্নবার্গ | স্টাটিশেস স্টেডিয়াম | ৬৪,২৩৮ |
কিকার্স অফেনবাখ | বিবারার বার্গ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
শালকে | গ্লুকাউফ-কাম্পবান | ৩৫,০০০ |
স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৫৩,০০০ |
পয়েন্ট তালিকা
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোঅ | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ১৮ | ১০ | ৬ | ৬১ | ৩১ | ১.৯৬৮ | ৪৬ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | আলেমানিয়া আখেন | ৩৪ | ১৬ | ৬ | ১২ | ৫৭ | ৫১ | ১.১১৮ | ৩৮ | |
৩ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৬১ | ৪৬ | ১.৩২৬ | ৩৭ | |
৪ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৪৬ | ৪৩ | ১.০৭০ | ৩৭ | |
৫ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৪ | ৮ | ১২ | ৬০ | ৫৪ | ১.১১১ | ৩৬ | আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ |
৬ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৩ | ১০ | ১১ | ৫৫ | ৫৫ | ১.০০০ | ৩৬ | |
৭ | শালকে | ৩৪ | ১৪ | ৭ | ১৩ | ৪৫ | ৪০ | ১.১২৫ | ৩৫ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৮ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৩ | ৮ | ১৩ | ৪৬ | ৪৩ | ১.০৭০ | ৩৪ | |
৯ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৪ | ৬ | ১৪ | ৫৯ | ৫৯ | ১.০০০ | ৩৪ | |
১০ | ১৮৬০ মিউনিখ | ৩৪ | ১৫ | ৪ | ১৫ | ৪৪ | ৫৯ | ০.৭৪৬ | ৩৪ | আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ |
১১ | হানোফার ৯৬ | ৩৪ | ৯ | ১৪ | ১১ | ৪৭ | ৪৫ | ১.০৪৪ | ৩২ | |
১২ | ডুসবুর্গ | ৩৪ | ৮ | ১৬ | ১০ | ৩৩ | ৩৭ | ০.৮৯২ | ৩২ | |
১৩ | কলন | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৪৭ | ৫৬ | ০.৮৩৯ | ৩২ | |
১৪ | হের্টা | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৩১ | ৩৯ | ০.৭৯৫ | ৩২ | আন্তঃনগর ফেয়ার্স কাপে উত্তীর্ণ |
১৫ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১২ | ৬ | ১৬ | ৪৫ | ৪৭ | ০.৯৫৭ | ৩০ | |
১৬ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৪৯ | ৫৪ | ০.৯০৭ | ৩০ | |
১৭ | নুর্নবার্গ (R) | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৪৫ | ৫৫ | ০.৮১৮ | ২৯ | রেগিওনাললিগায় অবনমিত |
১৮ | কিকার্স অফেনবাখ (R) | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৪২ | ৫৯ | ০.৭১২ | ২৮ |
ফলাফল
শীর্ষ গোলদাতা
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | গের্ড মুলার | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩০ |
২ | উভে জেলার | হামবুর্গার | ২৩ |
৩ | ইয়োসিপ স্কোবলার | হানোফার ৯৬ | ১৭ |
৪ | ভেয়ার্নার গোরৎস | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৫ |
৫ | হারবার্ট লোমেন | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | |
৬ | হার্টমুট ভাইস | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | |
৭ | কার্ল-হাইনৎস রুহল | কলন | ১৪ |
৮ | বার্ন্ড রুপ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৩ |
৯ | হাইনৎস-ডিটার হাসেব্রিঙ্ক | কাইজারস্লাউটার্ন | ১২ |
১০ | হাইনৎস-গের্ড ক্লস্টারমান | আলেমানিয়া আখেন |
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৬৮–৬৯ বুন্দেসলিগা (জার্মান)