দারুল উলুম হাটহাজারীর শিক্ষার্থীদের তালিকা

উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ

আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম বা হাটহাজারী মাদ্রাসা বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ কওমী মাদ্রাসা। এটিকে বেসরকারি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ও বলা হয়। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা সমূহের মা বা উম্মুল মাদারিস নামে খ্যাত যা বাংলাদেশে দেওবন্দ আন্দোলনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র।

আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম
স্থাপিত১৮৯৬ (১২৮ বছর আগে) (1896)
প্রতিষ্ঠাতাগণ
অবস্থান
সংক্ষিপ্ত নামহাটহাজারী মাদ্রাসা

তালিকা

নামভূমিকাতথ্যসূত্র
শাহ আবদুল ওয়াহহাবতিনি বঙ্গ অঞ্চলে আশরাফ আলী থানভীর প্রধান শিষ্য ও দারুল উলুম হাটহাজারীর ২য় মহাপরিচালক ছিলেন।[১]
মুফতি ফয়জুল্লাহতিনি মুফতিয়ে আজম বা বাংলাদেশের গ্র্যান্ড মুফতি ছিলেন। তিনি দীর্ঘকাল দারুল উলুম হাটহাজারীর প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জামিয়া ইসলামিয়া হামিউস-সুন্নাহ, একটি ব্যতিক্রমী ইসলামি শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২]
ছিদ্দিক আহমদখতিবে আজম হিসেবে খ্যাত, তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদিস, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব এবং পূর্ব বাংলা আইনসভার সদস্য ছিলেন।[৩]
মুহাম্মদ ইউনুসশায়খুল আরব ওয়াল আজম খ্যাত আন্তর্জাতিক ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার ২য় মহাপরিচালক ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।[৪]
হারুন বাবুনগরীতিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ছিলেন।[৫]
শাহ আহমদ হাসানতিনি দারুল উলুম হাটহাজারীর একেবারে প্রথম দিকের ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় কওমি মাদ্রাসা আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি প্রতিষ্ঠা করেন।[৬]
আব্দুর রহমানফকিহুল মিল্লাত নামে পরিচিত, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার জনক। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগের প্রথম ছাত্র ছিলেন। মুফতি হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিত ছিল। তার ফতোয়া সমূহ ১২ খণ্ডে ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত নামে প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ সহ অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।[৭]
শাহ আহমদ শফীশায়খুল ইসলাম নামে প্রসিদ্ধ, একজন বিপ্লবী ইসলামি আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সংস্কার করেছিলেন। তার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি ও দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক ছিলেন।[৮]
জমির উদ্দিন নানুপুরীআধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরের ২য় মহাপরিচালক।[৯]
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীএকজন সংস্কারপন্থী ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশে দেওবন্দ আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত হন। নাস্তিক, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির।[১০]
জুনায়েদ বাবুনগরীকায়েদে মিল্লাত নামে খ্যাত, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও দারুল উলুম হাটহাজারীর শায়খুল হাদিস ছিলেন।[১১]
মিজানুর রহমান সাঈদবাংলাদেশি মুফতি, শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক।[১২]
জিয়া উদ্দিনতিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশআযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম বাংলাদেশের সভাপতি এবং জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরের মহাপরিচালক।[১৩]
মুশতাক আহমদতিনি জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সহ-সভাপতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপ-পরিচালক এবং জামিয়া শায়খ যাকারিয়্যা কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক।[১৪]
তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জীতিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এবং জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগরের মহাপরিচালক ছিলেন।[১৫]
নুরুল ইসলাম জিহাদীতিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস।[১৬]
ইজহারুল ইসলামতিনি নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি।
আশরাফ আলী বিশ্বনাথীতিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি ও জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, বিশ্বনাথ, মাদানিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসা এবং সাহিত্য সাময়িকী মাসিক আল ফারুকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[১৭]
ইয়াহইয়া আলমপুরীতিনি দারুল উলুম হাটহাজারীর বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১৮]
জাফরুল্লাহ খানতিনি বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের একাংশের আমির ছিলেন।[১৯]
সাজিদুর রহমানতিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শায়খুল হাদিস ও জামিয়া দারুল আরকাম আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।[২০]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

উদ্ধৃতি

গ্রন্থপঞ্জি

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী