সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের গামা প্রকারণ

সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের গামা প্রকারণ বা পি.১ বংশ (Lineage P.1) করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) সৃষ্টিকারী সার্স-কোভি-২ ভাইরসের একটি প্রকারণ।[২] এটি ২০জে/৫০১ওয়াই.ভি৩ (20J/501Y.V3) এবং উদ্বেগজনক প্রকারণ ২০২১০১/০২ (Variant of Concern 202101/02 সংক্ষেপে VOC-202101/02) নামেও পরিচিত।[৩] এছাড়া এটিকে বি.১.১.২৮.১ নামেও কেউ কেউ ডাকতে পারে,[৪] কিন্তু প্যাংগো বংশ পদ্ধতি অনুযায়ী বংশের নামে সর্বোচ্চ তিনটি উপস্তর অনুমোদিত, তাই এটিকে পি.১ নামেই ডাকা শ্রেয়।[৫][৬][১][৭]

যেসব দেহের পি.১ প্রকারণের নিশ্চিত সংক্রমণ ঘটেছে (২০২১ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত)।[১]
ব্যাখ্যা:
  স্থানীয় সংক্রমণ
  বহিরাগত সংক্রমণ
  অজ্ঞাত পদ্ধতিতে সংক্রমণ

এই প্রকারণটিতে ভাইরাসটির ভেতরের ১৭টি অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০টি এটির কীলকাকার প্রোটিনে ঘটেছে, যাদের মধ্যে তিনটি পরিবর্তন বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে: এন৫০১ওয়াই, ই৪৮৪কে এবং কে৪১৭টি।[৭][৮] ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি জাপানের জাতীয় সংক্রামক রোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো চারজন ব্যক্তির দেহে এই প্রকারণটি শনাক্ত করে, যারা এর চার দিন পূর্বে ব্রাজিলের আমাজোনাস রাজ্য পরিদর্শন শেষ করে টোকিওতে প্রত্যাবর্তন করেছিল।[৭][৯] পরবর্তীতে এই প্রকারণটি ব্রাজিলে ছড়িয়ে পড়ছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।[৭]

এই প্রকারণটি ২০২১ সালের প্রারম্ভে ব্রাজিলের আমাজোনাস রাজ্যের রাজধানী মানাউশ নগরীতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে নগরীটিতে এরকম ব্যাপক হারে সংক্রমণ ঘটেছিল[১০] এবং একটি গবেষণা অনুযায়ী[১১] এবং সেসময় সার্স-কোভি-২-এর বিরুদ্ধে রক্তরসে প্রতিরক্ষিকা বা অ্যান্টিবডির উচ্চ প্রাদুর্ভাব দৃষ্ট হয়েছিল।[১২] পি.১ প্রকারণটির উপরে পরিচালিত প্রাথমিক গবেষণাগুলি থেকে (যেগুলি এখনও সহকর্মীদের দ্বারা পর্যালোচিত হয়নি) বেরিয়ে আসে যে (২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী) পি.১ প্রকারণটির সংক্রমণের ফলে ব্যক্তির দেহে স্বাভাবিক কোভিড-১৯ রোগীর তুলনায় প্রায় ১০গুণ বেশি পরিমাণে ভাইরাস কণা উৎপাদিত হয় এবং এটি ১,৪-২,২ গুণ বেশি হারে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া এটি পুরুষ-স্ত্রী লিঙ্গ নির্বিশেষে অপেক্ষাকৃত তরুণ ব্যক্তিদেরকে আক্রান্ত করতে অধিকতর সফল, ১০-৮০% বেশি মারণঘাতী এবং অতীতে ইতিমধ্যে আক্রান্ত করোনা রোগীদের অনাক্রম্যতা বা প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতে ২৫-৬১% বেশি সক্ষম, ফলে এটির দ্বারা পুনঃসংক্রমিত হবার সম্ভাবনা বেশি। কিছু কিছু টিকা এই প্রকারণটির বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম কার্যকর বলে জানতে পারা গেছে।

পি.১ দুইটি উপপ্রকারণ ২৮-এএম-১ এবং ২৮-এএম-২ নিয়ে গঠিত, যেগুলির দুইটিই কে৪১৭টি, ই৪৮৪কে ও এন৫০১ওয়াই পরিব্যক্তিগুলি বহন করে এবং দুইটিই একে অপরের থেকে স্বাধীনভাবে ব্রাজিলের আমাজোনাস অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছিল।[১৩]

পি.১ ব্রাজিলের আরেকটি বংশ পি,২ অপেক্ষা বেশ ভিন্নরকম।[১৪] পি,২ প্রকারণটিকে ভিইউআই-২০২১০১/০১ নাম দেওয়া হয়েছে; এটি ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরু রাজ্যে উৎপত্তিলাভ করেছিল। আরও বিশেষভাবে বলতে গেলে পি,২ প্রকারণটিতে শুধুমাত্র ই৪৮৪কে পরিব্যক্তিটি সংঘটিত হয়েছে, কিন্তু এন৫০১ওয়াই ও কে৪১৭টি পরিব্যক্তিগুলি সংঘটিত হয়নি।[১৩][৮]

প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলিতে দাবী করা হয় যে পি.১ এবং পি.২ ব্রাজিলীয় বি.১.১.২৪৮ প্রকারণটির দুইটি পৃথক ও ভিন্ন বংশধর।[১৫][১৬] তবে বি.১.১.২৪৮ পরবর্তীতে একটি স্বতন্ত্র প্রকারণ হিসেবে মর্যাদা হারায় এবং এটিকে বি.১.১.২৮ হিসেবে পুনরায় শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।[১৭]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন