পোর্তু (পর্তুগিজ: Porto), যা স্থানীয় পর্তুগিজ ভাষায় ওপোর্তু নামেও পরিচিত, পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, এবং আইবেরীয় উপদ্বীপের অন্যতম প্রধান গ্রামীণ অঞ্চল। এর প্রশাসনিক আয়তন ৪১.৬৬ বর্গ কিলোমিটার বা ১৬ বর্গ মাইল, এবং জনসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার। পোর্তুর গ্রামীণ অঞ্চলের (যা এর প্রশাসনিক সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে) জনসংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ,[২][৩] এবং এর আয়তন হচ্ছে ৩৮৯ কিমি২ (১৫০ মা২),[২] যা একে পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রামীণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। পোর্তু মেট্রোপলিটান এলাকায় প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ বাস করে[৪][৫][৬] এবং গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড সিটিজ স্টাডিস গ্রুপ অনুযায়ী এটি গামা-শ্রেণীর একটি গ্লোবাল শহর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এটি আইবেরীয় উপদ্বীপের চারটি গামা শহরের একটি। অপর তিনটি শহর হচ্ছে, মাদ্রিদ, লিসবন, এবং বার্সেলোনা।
পোর্তু শহর পর্তুগালের উত্তরে দোরু নদীর মোহনায় অবস্থিত। পোর্তু ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন একটি শহর, এবং ১৯৯৬ সালে এটি ইউনেস্কো কর্তৃক একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। বেশ কয়েক শতক আগে এই শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। পূর্বে এটি ছিলো তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যের অংশ, এবং তখন এর নাম ছিলো ‘পোর্তুস ক্যাল’।[৭] ধারণা করা হয় এই নামটি থেকেই পরবর্তীকালে অনুবাদ ও উচ্চারণগত বিবর্তনের মাধ্যমে ‘পর্তুগাল’ শব্দটির আবির্ভাব। পর্তুগিজ ভাষায় ‘পোর্তু’ শব্দটি লেখার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট নির্দেশকপদ যোগের দ্বারা o Porto ("বন্দরটি") আকারে সুনির্দিষ্টি করে লেখা হয়। যার উচ্চারণ অনেকটা ‘ওপোর্তু’-এর মতো। এর ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট উচ্চারণের কারণে আধুনিক সাহিত্যের অনেক ভাষাভাষীর মানুষেরা এটিকে ওপোর্তু নামে জানেন।
পর্তুগালের অন্যতম বিখ্যাত একটি রপ্তানি পণ্য, পোর্ট দ্রাক্ষাসুরার নাম পোর্তু-র নামে নামকরণ করা হয়েছে। কারণ আজকের পোর্তু মহানগরী ও ভিলা নোভা দি গায়ার মদের কুঠুরিগুলো ছিলো এ অঞ্চলের মদ তৈরি ও রপ্তানির মূল কেন্দ্র।[৮] বর্তমানেও পোর্তুর অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্যটি হচ্ছে এই পোর্ট দ্রাক্ষাসুরা।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে পোর্তু সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।