কুলাশেখরপত্তনম মহাকাশ বন্দর
কুলাশেখরপত্তনম মহাকাশ বন্দর হল ভারতের নির্মাণাধীন একটি মহাকাশ বন্দর। এটি ইসরোর দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর হিসাবে নির্মিত হচ্ছে।[১][২]
অবস্থান | কুলাশেখরপত্তনম, থুতুকুড়ি জেলা, তামিলনাড়ু, ভারত | ||||
---|---|---|---|---|---|
পরিচালনাকারী | ইসরো | ||||
উৎক্ষেপণ মঞ্চ | ১ টি | ||||
|
মহাকাশবন্দরটি ২,৩৫০ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে। প্রায় ১৯৫০ একর (প্রায় ৮৩%) জমি ২০২২ সালের জুলাই মাসের মধ্যে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।[১][৩]
অবস্থান
মহাকাশ বন্দরটি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কুলাশেখরপত্তনমে[৪] অবস্থিত।[৫][৬]
পটভূমি
ইসরোর শ্রীহরিকোটা মহাকাশ বন্দর (এসএইচএআর) ভারী রকেট উৎক্ষেপণের জন্য আদর্শ, তবে ছোট রকেট উৎক্ষেপণের সময় একটি সমস্যা তৈরি করে। শ্রীহরিকোটা একটি হুমকি তৈরি করে যখন রকেটগুলি মেরু কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করা হয় (মেরুর উপরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে)। শ্রীহরিকোটা মহাকাশ বন্দর থেকে একটি রকেট দক্ষিণ মেরুর দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রা পথে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার রয়েছে। একটি দেশের উপর দিয়ে উড়ে রকেট যাওয়ার বিশাল ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে, রকেটটি সরলরেখায় উড়ার পরিবর্তে একটি বাঁকা পথ অনুসরণ করে যাত্রা করে। সুতরাং, ভারতের রকেটগুলি শ্রীলঙ্কার ভূমিভাগ এড়াতে অধিক পথ অতিক্রম করে। এই কৌশলটি সম্পাদন করার জন্য, রকেটকে অধিক পরিমাণে জ্বালানী পোড়াতে হয়। যদিও বড় রকেটগুলি রকেটের পেলোড বহন ক্ষমতার উপর খুব বেশি প্রভাব ছাড়াই এই কৌশলটি সম্পাদন করতে পারে, তবে এসএসএলভি-এর মতো ছোট রকেটগুলি প্রচুর জ্বালানী খরচ করতে বাধ্য হয়। বাঁকা পথ অনুসরণ করে যাত্রা করার জন্য জ্বালানী খরচের অর্থ হল রকেটের পেলোড বহন ক্ষমতা কমে যাওয়া।[৭] তাই, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) কুলাশেখরপত্তনম মহাকাশ বন্দর নির্মাণ উদ্যোগী হয়েছে, যেখান থেকে শ্রীলঙ্কার ভূমিভাগ অতিক্রম করার ঝুঁকি ছাড়াই সরলরেখায় ছোট রকেটগুলি উৎক্ষেপণ করা ও জ্বালানী খরচ হ্রাস করা সম্ভব হবে।[৩][৮]
উদ্দেশ্য
এই বন্দরটি মূলত ইসরো দ্বারা ছোট পেলোড উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হবে।[৮]