ঘাটশিলা
ঘাটশিলা (ইংরেজি: Ghatshila বা Ghatsila), হচ্ছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার একটি শহর। এই শহরটি সুবর্ণরেখা নদীর তীরে এবং এটি বনভূমি এলাকায় অবস্থিত। এখানে একটি রেলওয়ে স্টেশন আছে যেটি দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের অন্তর্ভুক্ত। ঘাটশিলা অতীতে ধলভূম রাজ্যের সদরদপ্তর ছিলো। এখানে তামার খনিটি বহু পুরোনো।
ঘাটশিলা Ghatshila | |
---|---|
শহর | |
ঝাড়খণ্ডের মানচিত্রে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৭′ উত্তর ৮৬°২৯′ পূর্ব / ২২.৬২° উত্তর ৮৬.৪৯° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | ঝাড়খণ্ড |
জেলা | পূর্ব সিংভূম |
উচ্চতা | ১০৩ মিটার (৩৩৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৩৭,৮৫০ |
• ক্রম | Class III |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা, হিন্দি, সাঁওতালি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৮৩২৩০৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | JH |
জনসংখ্যা
২০১১ সনের আদমশুমারি অনুসারে[১] ঘাটশিলার জনসংখ্যা ৩৭,৮৫০ জন; এদের মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%। ঘাটশিলার গড় স্বাক্ষরতার হার ৭৩%; যা জাতীয় গড় ৫৯.৫% থেকে বেশি। এখানকার পুরুষদের স্বাক্ষরতার হার ৭৯% এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৬৫%। ঘাটশিলায় ৬ বছর বয়সী শিশুর হার ১১%।
পর্যটন
ঘাটশিলা ঝাড়খণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত। সুবর্ণরেখা নদীর তীরে বিচ্ছিন্ন পাহাড় ও অরণ্য পরিবৃত এই শহরটির পরিবেশ মনোরম। অতীতে আবহাওয়া বদল করতে বাঙালিরা ঘাটশিলা আসতেন। ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত হলেও স্থানীয় অধিবাসীদের বৃহৎ অংশ বাংলা ভাষাভাষী। ভীষণা দেবী রংকিনীর মন্দির, সুবর্ণরেখা নদী, ফুলডুংরি, গালুডি, কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি, বুরুডি লেক এবং তামার খনি ঘাটশিলার দ্রষ্টব্য স্থান।[২]
যোগাযোগ
হাওড়া মুম্বাই রেলপথের ওপর, খড়গপুর- টাটানগর বিভাগে ঘাটশিলা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। ঘাটশিলা, রেল ও বাসযোগে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অন্যান্য শহরের সাথে যুক্ত। নিকটবর্তী বৃহৎ শহর ও শিল্পাঞ্চল হল জামশেদপুর। ঘাটশিলা রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে দৈনিক একাধিক এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন যাতায়াত করে থাকে।