বিষয়বস্তুতে চলুন

চীন–নামিবিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাইনো–নামিবিয়ান সম্পর্ক
মানচিত্র China এবং Namibia অবস্থান নির্দেশ করছে

চীন

নামিবিয়া
নামিবিয়ার উইন্ডহোয়েকে চীনা দূতাবাস।

চীন–নামিবিয়া সম্পর্ক হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং নামিবিয়া রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। নামিবিয়ার স্বাধীনতা পরদিনই সরকারিভাবে এ দুই রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপিত হয়, তবে ১৯৬০-এর দিকে নামিবিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়েও চীনের সহায়তা বজায় ছিল।[১]

স্বাধীনতা আন্দোলনে চীনের সমর্থন

১৯৬০-এর শুরুর দিকে নামিবিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় চীন নামিবিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে সাউথ ওয়েস্ট আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন (সোয়ানু) এবং পরবর্তীতে সাউথ আফ্রিকা পিপলস অর্গানাইজেশন (সোয়াপো) কে "মানসিক এবং বস্তুগত সহায়তা" প্রদান করে।[২]

নামিবিয়ার স্বাধীনতা থেকে চীন

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং নামিবিয়া ১৯৯০ সালের ২২শে মার্চ, নামিবিয়ার স্বাধীনতা লাএর পরের দিনই সরকারিভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে।[১] নামিবিয়া সরকার ওয়ান চায়না পলিসির সাথে ঐক্যবদ্ধ।[৩]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক

চীন এবং নামিবিয়া ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্কে যুক্ত। ২০০৩-২০০৫ সালের মধ্যে দুই রাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।

নামিবিয়ার উন্নায়ন ফান্ডে চীনের সহায়তা

২০০০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রায় ৬৪টি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গৃহীত হয়েছে।[৪] ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক সফরে চীনের রাষ্ট্রপতি হু জিন্তাও নামিবিয়াকে এক বিলিয়ন আরএমবি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেইসাথে রপ্তানি খাতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সুবিধা, ৩০ মিলিয়ন ইয়ানের অনুদান এবং ৩০ মিলিয়ন আরএমবি সুদমুখ হিসেবে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।[১] ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি হিফিকেপুনে পোহামা এবং চীনের পল্যুটব্যুরোর সদস্য লি চ্যাং চুনের উপস্থিতিতে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়নার সাহায্যে ২৫০ মিলিয়ন ইয়ানের সহায়তামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই অর্থ ব্যয় হবে রেলের ইঞ্জিন এবং ট্রেন কেনার জন্য, যা উত্তর নামিবিয়ার নির্মাণাধীন রেলপথের জন্য ব্যবহৃত হবে।[৫]

অভিবাসন

নামিবিয়ার স্বাধীনতার যুদ্ধের পর থেকে অনেক চীনাই নামিবিয়ার আবাস গেড়েছেন বলে জানা যায়। ২০০৬ সালে তার অনুমিত সংখ্যা ছিল প্রায় চল্লিশ হাজার।[৬]

এন ইউ জিয়াং বিতর্ক

২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে এন ইউ জিয়াং নামের একটি অস্ত্রবাহী জাহাজ চীন থেকে জিম্বাবুয়ের অভিমুখে যাত্রা করে। অস্ত্র এবং এক মাস আগে অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে চলমান বিতর্কের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় জাহাজটিকে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। জাহাজটির গন্তব্য নির্ধারণ নিয়ে গুজব রটে যে জাহাজটি নামিবিয়ার উপকূলবর্তী ওয়ালভিস উপসাগরে এসে থামবে। ২৪শে এপ্রিল, ২০০৮ সালে নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোয়েকে আন্দোলন করা হয়। এতে প্রায় দুই শতাধিক আন্দোলনরত কর্মী নেমে আসে, যারা জু পার্ক থেকে চীনের দূতাবাস পর্যন্ত মার্চ করে।[৭] আন্দোলনকর্মীদের মধ্যে বিশপ এবং সোয়াপো রাজনীতিবিদ জেফানিয়া কামিতা এবং লিগাল অ্যাসিসটেন্স সেন্টার অন্যতম ছিলেন।[৭] ফলশ্রুতিতে জাহাজটি আর নামিবিয়ার ভেড়েনি।

আরো দেখুন

  • সাইনো—আফ্রিকা সম্পর্ক
  • নামিবিয়ায় বসবাসরক চীনা নাগরিক

গ্রন্থপঞ্জি

  • Cardenal, Juan Pablo; Araújo, Heriberto (২০১১)। La silenciosa conquista china (স্পেনীয় ভাষায়)। Barcelona: Crítica। পৃষ্ঠা ২৮২–২৮৩। 

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:চীনের বৈদেশিক সম্পর্কটেমপ্লেট:নামিবিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন