মাধবদেব

ভারতীয় লেখক

মাধবদেব বা মহাপুরুষ মাধবদেব (ইংরেজি: Madhavdev; অসমীয়া: মাধৱদেৱ) অসমের নববৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম প্রচারক ছিলেন। তিনি মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের অন্যতম শিষ্য । গুরুভক্তির জন্য তিনি বিখ্যাত । তাকে শংকরদেবের উত্তরাধিকারী হিসেবে গন্য করা হয়। মাধবদেব বৈরাগী ছিলেন যদিও জীবনের প্রতি তিনি বিমুখী ছিলেননা। জীবনের প্রতি আস্থা ছিল ও সমগ্র জীবন জ্ঞানাম্বেষনে অতিবাহিত করার জন্য প্রচেষ্টা করেন। তিনি তার শিষ্যকে কৃষি বা বাণিজ্যে সাবলম্বী হওয়ার জন্য উপদেশ দিয়েছিলেন। তিনি কোচ রাজার অনুরোধে সাহিত্য ও ধর্ম চর্চা করেন। নামঘোষা ও ভক্তিরত্নাবলী মাধবদেবের অনুপম সৃষ্টি।

মাধবদেব
জন্ম১৪৮৯ সাল
মৃত্যু১৫৯৬ সাল
অন্যান্য নামবঢ়ার পো
উল্লেখযোগ্য কর্ম
বরগীত, ভক্তি-রত্নাবলী, নামঘোষা

জন্ম ও পূর্বপুরুষ

১৪৮৯ সালে অসমের নারায়নপুর নামক স্থানের লেটেকু পুকুর পারে মাধবদেবের জন্ম হয়েছিল। তার পিতার নাম বরকনাগরি (গোবিন্দগিরি ভূঞা) । তিনি হরিভূঞার বংশধর ছিলেন। কছারিদের উপদ্রব সহ্য করিতে না পেরে গোবিন্দগিরি ভূঞা নিজ পত্নি মনোরমা সহ ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর পাড়ে এসে আশ্রয় নেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ তাদের সব সম্পত্তি চুরি হয়। এই অসহায় অবস্থায় অসমের উজির হরিশিঙা গিরি তাদেরকে নিজ গৃহে আশ্রয় দেন। হরিশিঙা গিরির গৃহে মাধবদেবের জন্ম হয়। মাধবদেবের ভাতৃর নাম দামোদর ও বোনের নাম উর্বশী। উর্বশীর স্বামীর নাম রামদাস।

মনি-কাঞ্চন সংযোগ

মহাপুরুষ শংকরদেবের সান্নিধ্যে আসার পূর্বে মাধবদেব শাক্ত ধর্মের অনুসারী ছিলেন। একবার মাধবদেবের মাতা অসুস্থ হন। মাধবদেব মায়ের আরোগ্য কামনা করে দেবীকে ১জোড়া ছাগল বলি দেওয়ার মনস্থ করেন। মায়ের আরোগ্য লাভের পর তিনি নিজ পত্নীর বোনকে ছাগল আনার জন্য আদেশ করেন। কিন্তু তার পত্নীর বোন (শ্যালিকা) বলীপ্রথার বিরোধিতা করে বললেন, বলীপ্রথা অপ্রয়োজনীয় বিধান, এর কোন সুফল নাই। তিনি মাধবদেবকে মহাপুরুষ শংকরদেবের শরণ নেওয়ার জন্য উপদেশ দেন। বলীপ্রথা সমন্ধে শংকরদেব ও মাধবদেবের সহিত যুক্তি তর্কের সৃষ্টি হয়। অবশেষে মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেবের যুক্তি তর্কে মাধবদেব নিজের ভুল উপলব্ধি করেন ও শংকরদেবের প্রবর্তিত নববৈষ্ণব ধর্মের দীক্ষা নেন। দীক্ষা নিয়ে তিনি শংকরদেবের সহিত মিলিতভাবে নববৈষ্ণব ধর্ম প্রচারে ব্রতী হন। শংকরদেব ও মাধবদেবের এই মহান মিলনকে মনি-কাঞ্চন যোগ বলা হয়।[১]

সাহিত্য রচনা

মহাপুরুষ শ্রীমন্ত মাধবদেব একাধিক বরগীত, ভটিমা, নাট(ঝুমুরা) রচনা করেছেন।[২] প্রবাদমতে তিনি ২৪০টি বরগীত রচনা করেছিলেন কিন্তু বর্ত্তমানে ১৮০টি গীত উপলদ্ধ। অবশ্যে এখানে কয়েকটি অঙ্কীয়া নাটের গীত সন্নিবিশ্ট করা হয়েছে। তিনি তার জীবনকালে সর্বমোট ১৫৭টি বরগীত রচনা করেছেন। তিনি রচনা করা একটি উল্লেখযোগ্য বরগীত হল: তেজরে কমলাপতি।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপকাজী নজরুল ইসলামবাংলাদেশ ডাক বিভাগশেখ মুজিবুর রহমানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশছয় দফা আন্দোলনক্লিওপেট্রাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪আবহাওয়ামুহাম্মাদব্লু হোয়েল (খেলা)বাংলা ভাষাইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাভারতভূমি পরিমাপবাংলা ভাষা আন্দোলনমহাত্মা গান্ধীমিয়া খলিফামৌলিক পদার্থের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপহেলা বৈশাখপদ্মা সেতুলোকসভা কেন্দ্রের তালিকামাইকেল মধুসূদন দত্তসুনীল ছেত্রীবাংলাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তালিকাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহআসসালামু আলাইকুমপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহশেখ হাসিনাবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীজয়নুল আবেদিন