ছাগল

গৃহপালিত পশু, যা দুধ এবং মাংসের জন্য পালন করা হয়।

ছাগল (Capra aegagrus hircus) হল C. aegagrus domesticated-এর উপপ্রজাতি, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের বন্য ছাগল থেকে আগত । ছাগল প্রাণীদের বোভিডি পরিবার এবং ক্যাপ্রিনি উপপরিবারের সদস্য, মানে প্রাণীটি ভেড়ার সাথে সম্পর্কিত । প্রায় ৩০০ প্রজাতিরও বেশি ছাগল রয়েছে। এটা গৃহপালিত প্রাচীনতম প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে একটি, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ অনুসারে প্রাথমিক কালের ক্যালিবার্টেড ক্যালেন্ডারের ১০,০০০ বছর আগে ইরানে ছাগল গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে।[১]

ছাগল
সময়গত পরিসীমা: ০.০১–০কোটি
কা
পা
ক্রি
প্যা
নব্যপ্রস্তরযুগ– বর্তমান
গাছের কাটা অংশের উপর একটি পিগমি ছাগল
পোষ মানা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস e
জগৎ/রাজ্য:অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব:কর্ডাটা
শ্রেণি:স্তন্যপায়ী (ম্যামেলিয়া)
বর্গ:আর্টিওড্যাকটিলা (Artiodactyla)
পরিবার:বোভিডি (Bovidae)
উপপরিবার:Caprinae
গোত্র:Caprini
গণ:Capra
প্রজাতি:ক. aegagrus
উপপ্রজাতি:ক. a. hircus
ত্রিপদী নাম
ক্যাপ্রা aegagrus hircus
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
প্রতিশব্দ

Capra hircus লিনিয়াস, ১৭৫৮
Capra depressa লিনিয়াস, ১৭৫৮
Capra mambrica লিনিয়াস, ১৭৫৮
Capra reversa লিনিয়াস, ১৭৫৮

ছাগল-পালন প্রাচীন ঐতিহ্য যা এখনো মিশরের মতো জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ।

ছাগলের দুধ, ছাগলের মাংস, চামড়া, লোম বিশ্বের অনেক স্থানে ব্যবহার হয়ে থাকে। [২] ছাগল থেকে প্রাপ্ত দুধ দিয়ে ছাগল পনির পাওয়া যায়।

নারী ছাগল ডোজ বা ন্যানইজ, প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ছাগলকে বুকস বা বিলিস এবং উভয় লিঙ্গের কিশোর ছাগলকে বাচ্চা বলা হয়।খাসি ছাগল পুরুষদের ওয়েদার বলা হয়। যদিও হেয়ারকেইন এবং ক্যাপ্রিন শব্দ দুটি ছাগলের মতো গুণমানকে বোঝায়, তবে ঘরের ছাগলের স্বতন্ত্র গন্ধ দূর করার জন্য খাসি ছাগল প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা অনুসারে ২০১১ সালে, গোটা বিশ্বে প্রায় ৯২৪ মিলিয়ন ছাগলের বেশি রয়েছে। [৩]

সংখ্যা

জাতিসংঘের খাদ্যকৃষি সংস্থা অনুসারে ২০১১ সালে, গোটা বিশ্বে প্রায় ৯২৪ মিলিয়ন ছাগলের বেশি রয়েছে।

উৎপত্তি

ছাগল মানুষের গৃহপালিত অনেক পুরাতন প্রাণী। সম্প্রতিক জেনেটিক বিশ্লেষণে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণে নিশ্চিত হয়েছে জাগ্রোস পর্বতমালার বন্য বেজার ইবেক্স সম্ভবত সমস্ত গৃহপালিত ছাগলের মূল পূর্বপুরুষ। নব্য-প্রস্তরযুগে কৃষকরা বুনো ছাগল পালন করতে শুরু করেছিল।

স্পেনে ছাগল লালন-পালন করা হচ্ছে

ইতিহাস

অটলিট ইয়ামের নিওলিথিক গ্রাম থেকে প্রাপ্ত সিং
কঙ্কাল ( Capra hircus)

ছাগল মানুষের গৃহপালিত অনেক পুরাতন প্রাণী। [৪] সম্প্রতিক জেনেটিক বিশ্লেষণে [৫] প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণে নিশ্চিত হয়েছে জাগ্রোস পর্বতমালার বন্য বেজার ইবেক্স সম্ভবত সমস্ত গৃহপালিত ছাগলের মূল পূর্বপুরুষ।[৪]

নব্য-প্রস্তরযুগে কৃষকরা বুনো ছাগল পালন করতে শুরু করেছিল। ছাগল পালনের জন্য মূলত দুধ এবং মাংসের সহজলভ্য ছিল, পাশাপাশি সহজলভ্য ছিল তাদের মল, যা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং তাদের হাড়, চুল এবং মাংসপেশি দিয়ে পোশাক, বাড়ি নির্মাণ এবং হাতিয়ার তৈরি করা হত। আজ থেকে ১০,০০০ বছর পূর্বে পোষা ছাগলের অবশিষ্টাংশ ইরানের গঞ্জ দারেহে পাওয়া যায়। জেরিকো, চোগা মামী,[৬] জিজিটুন এবং আইয়ানো-র প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলিতে ছাগলের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। পশ্চিম এশিয়ায় ৮,০০০ থেকে ৯,০০০ বছর আগে ছাগলের পোষ্যপালনের কথা বলা বলা হয়। [৪]

ডিএনএ অধ্যয়নে প্রাপ্ত প্রমাণ নির্দেশ করে ১০,০০০ বছর পূর্বে গৃহে ছাগল লালন-পালন শুরুর সময়। [৫]

ঐতিহাসিকগতভাবে,ছাগলের চামড়া ভ্রমণের সময় মাদক দ্রব্য ও পানি উভয়ের বোতল হিসেবে এবং মদ বিক্রি করে পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয় । এটা আরো ব্যবহার করা হয় চামড়া উৎপাদনে ।

শরীর ও স্বাস্থ্য

প্রতিটি স্বীকৃত জাতের ছাগলের নির্দিষ্ট ওজনের সীমা রয়েছে, যা খুব বেশি হলে বোয়ারের মতো বৃহত জাতের পুরুষ ছাগল ১৪০ কেজি (৩০০ পা) হয়ে থাকে এবং ছোট ডোজেজ ছাগল ২০ থেকে ২৭ কেজি (৪৫ থেকে ৬০ পা) হয়ে থাকে । [৭] প্রতিটি জাতের মধ্যে, বিভিন্ন স্ট্রেন বা ব্লাডলাইনের বিভিন্ন স্বীকৃত আকার থাকতে পারে। আকারের সীমার নীচে হল আফ্রিকান পিগমি ছাগলের মতো ক্ষুদ্র প্রজাতি, যাদের প্রাপ্তবয়স্কদের কাঁধ ৪১ থেকে ৫৮ সেমি (১৬ থেকে ২৩ ইঞ্চি) পর্যন্ত হয়ে থাকে। [৮]

শিং

শিংসহ একটি সাদা আইরিশ ছাগল

প্রাকৃতিকভাবে বেশিরভাগ ছাগলের দুইটি শিং থাকে,প্রজাতির উপর নির্ভর করে শিং-এর আকার ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। [৯] এখানে পলিক্যারেট ছাগলের অধিক শিং (সম্ভবত আটটি শিং) থাকে, তাদের প্রাপ্ত শিং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত একটি জেনেটিক বিরলতা। ছাগল গবাদিপশুর মতো নয়, তাই ছাগল পোলড হলে সফল এবং নির্ভরযোগ্যভাবে প্রজনন করতে পারেনা, সেক্স নির্ধারণ জিন এবং শিং নির্ধারণ জিন খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। দুইটি জেনেটিকভাবে পোলড ছাগলের প্রজননের ফলে বহু সংখ্যক উভলিঙ্গ ছাগল জন্মাতে পারে, যাকে ধরণগতভাবে বন্ধ্যা বলে । [৯] ছাগলের শিং তৈরিতে সজীব অস্থি কেরাটিন এবং অন্যান্য প্রোটিন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে এবং প্রতিরক্ষা, আধিপত্য এবং আঞ্চলিকত্ব ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। [১০]

পরিপাক এবং দুগ্ধক্ষরণ

ছাগল রোমন্থক প্রাণী। এদের রমেন, রেটিকুলাম, ওমাসাম এবং আবোমাসামের সমন্বয়ে গঠিত একটি চতুষ্পদ পাকস্থলী রয়েছে। [১১][১২][১৩]

চোখ

ছাগলের আনুভুমিক, ফাটল-আকৃতির পিউপিল আছে। ব্যবহারিকভাবে ছাগলের কণীনিকা পাণ্ডুর , তাদের বিপরীত ধরনের পিউপিল খুব বেশি দেখা যায় গবাদিপশু, হরিণ, অধিকাংশ ঘোড়া এবং কিছু ভেড়াতে, যাদের চোখের আইরিশ মিলিতভাবে অনুভূমিক পিউপিল গাঢ় আইরিশ এবং স্কেলেরা দ্বারা মিশ্রিত।

চোখের সাথে অনুভূমিক পিউপিউ

প্রজনন

পুরুষ এবং নারী উভয় ছাগলেই প্রজনন হয় এবং কিছু ধরনের ছাগল ওয়াডেল হয়ে থাকে। [১৪]


প্রজনন

ছাগল শাবক
ক্যাপুইডের মাঠে একটি দুই-মাসের ছাগল শাবক

বংশবৃদ্ধি এবং পুষ্টির স্থিতির উপর নির্ভর করে ছাগল তিন থেকে ১৫ মাস বয়সের মধ্যে যৌবনে পৌঁছে। অনেক প্রজনকারী নারী ছাগল প্রাপ্তবয়স্ক ওজনের ৭০% না পৌঁছানো পর্যন্ত প্রজনন স্থগিত রাখে। যাইহোক, এই ধরনের ঘটনা ব্যাপকভাবে পরিচালিত, উন্মুক্ত পরিধির মধ্যে খুব কমই তা সম্ভব। [১৫]

তাপমাত্রাপ্রবন এলাকার এবং সুইস জাতের ছাগলগুলি প্রজননকালের কিছু দিনের মধ্যেই প্রজনন শুরু করে, বসন্তের শুরুতে বা একটু পরে প্রজনন শেষ করে।

বিষুবীয় অঞ্চলের ছাগলগুলো বছরের যেকোনো সময় প্রজননের জন্য সক্ষম।

আচার-আচরণ

কখনও জীবন-জীবিকার তাগিদে লতা-পাতার সন্ধানে বৃক্ষে আরোহণ করছে ছাগল।

ছাগল স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহলী প্রাণী। তারা চটপটে এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে খাদ্য আরোহণ এবং ভারসাম্য রক্ষার দক্ষতার জন্য সুপরিচিত। এমনকি সটান গাছে উঠে যাচ্ছে ছাগল। কখনও জীবিকার তাগিদে লতা-পাতার সন্ধানে, আবার কখনও নিতান্তই শখে।এরা খুবই নম্র ও ভদ্র স্বভাবের প্রাণী।এরা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ