মীরসরাই উপজেলা
মীরসরাই উপজেলা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি দুইটি থানা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
মীরসরাই | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে মীরসরাই উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৬′৪১″ উত্তর ৯১°৩৪′১৪″ পূর্ব / ২২.৭৭৮০৬° উত্তর ৯১.৫৭০৫৬° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৫ জুলাই, ১৯১৭ |
সংসদীয় আসন | ২৭৮ চট্টগ্রাম-১ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | মাহবুব রহমান রুহেল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) |
• চেয়ারম্যান | এনায়েত হোসেন নয়ন |
আয়তন | |
• মোট | ৪৮২.৮৯ বর্গকিমি (১৮৬.৪৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,৯৮,৭১৬ |
• জনঘনত্ব | ৮৩০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৫.১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৩২০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৫ ৫৩ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
১৩৩৮ সালের ১লা জানুয়ারি সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ এর নেতৃত্বে বাংলা স্বাধীন সালতানাদ দিল্লি সালতানাদ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৩৩৮সালে তিনি ফেনী ও চট্টগ্রাম অধিকার করে এ অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তার বংশধর সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ, তার ছেলে নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ ও গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের আমলে পরাগল খাঁ ও তার ছোট ভাই ছুটি খাঁ এ অঞ্চলের শাসনকর্তা ছিলেন। এর পরে সুরি সম্রাট শেরশাহের ভাই নিজাম শাহ এখানকার শাসনকর্তা ছিলেন। তাঁর নামানুসারে নিজামপুর পরগণার নামকরণ হয় এবং সমগ্র মীরসরাই এলাকা, ছাগলনাইয়া এলাকা ও ফেনী এলাকা নিজামপুর পরগণার অন্তর্ভুক্ত হয়। ষোড়শ শতকের শুরু থেকে এই অঞ্চল বাংলা সাহিত্যচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিলো। ১৫৮০ থেকে ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত অধিকাংশ সময় এই অঞ্চল আরাকানীদের শাসনে ছিলো। সুবেদার শায়েস্তা খাঁ এর পুত্র বুজুর্গ উমেদ খাঁ ফেনী নদী পার হয়ে বর্তমান মীরসরাই থানার যে স্থানে সৈন্যদল নিয়ে অবতরণ করেন, সে স্থানের নামকরণ হয় বুজুর্গ উমেদনগর। তাঁর চট্টগ্রাম বিজয়ের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চল স্থায়ীভাবে মুঘলদের শাসনে চলে যায়। ইংরেজ শাসনামলের শেষ দিকে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের তৎপরতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল মীরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ও করেরহাট এলাকা।
- মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল ক্যাপ্টেন অলি আহমদের নেতৃত্বে মীরসরাই সদরের দক্ষিণে ফেনাফুনি ব্রিজের পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর প্রচণ্ড লড়াই হয়। যুদ্ধে পাকবাহিনীর প্রায় ১০০ সৈন্য নিহত হয়। এছাড়াও শুভপুর সেতু, হিঙ্গুলী সেতু, অছি মিয়ার সেতু ও মস্তাননগরসহ গোটা এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল লড়াই সংঘটিত হয়।[১]
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন[১]
- বধ্যভূমি: ৫টি (মীরসরাই ওয়ারলেস, তালবাড়িয়া, লোহারপুল, মস্তাননগর হাসপাতাল ও ঝুলন্ত ব্রিজ)
- গণকবর: ১টি (করেরহাট বাজার)
- স্মৃতিস্তম্ভ: ১টি (হিজুলী ব্রিজ)
নামকরণ
বর্তমান মীরসরাই এলাকায় মোগল আমলে একটি সামরিক ঘাঁটি ছিল। ঘাঁটিটি মেহমান সরাই নামে পরিচিত। সেখানে মীর সাহেব নামে এক মুসলিম সৈনিক মারা যায়। তাঁর নামে এই থানার নামকরণ মীরের সরাই বা মীরসরাই করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।[২]
অবস্থান ও আয়তন
মীরসরাই উপজেলার আয়তন ৪৮২.৮৯ বর্গ কিলোমিটার (১,১৯,৩২৪ একর)।[৩] চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে[৪] ২২°৩৯´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°২৭´ থেকে ৯১°৩৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে এ উপজেলার অবস্থান।[১] মুহুরি নদী ফেনী জেলা থেকে এটিকে আলাদা করেছে। একে চট্টগ্রাম এর প্রবেশদ্বার বলা যায়। এর উত্তরে ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলা, ছাগলনাইয়া উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ফটিকছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেল ও সন্দ্বীপ উপজেলা, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা। ভৌগলিকগত কারণে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় মীরসরাই এর জনসাধারণের আঞ্চলিক ভাষা নোয়াখাইল্লা উপভাষার অনেকাংশে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রশাসনিক এলাকা
চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানা ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মীরসরাই থানার কার্যক্রম চালু হয়।[৫] মীরসরাই থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে এবং উপজেলা কার্যক্রম শুরু হয় ঐ বছরেরই ৬ অক্টোবর।[২]
বর্তমানে মীরসরাই উপজেলায় ২টি থানা এবং থানাদ্বয়ের আওতাধীন ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন রয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার আওতাধীন ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন।
মীরসরাই থানার আওতাধীন ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন।
ভাষা ও সংস্কৃতি
মীরসরাইয়ের দারাইল্লা জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজস্ব ভাষায় কথা বলে। তবে এখানদার আদি চট্টগ্রামী জনগোষ্ঠী চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মীরসরাই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,৯৮,৭১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৮৭,৩২৩ জন এবং মহিলা ২,১১,৩৯৩ জন। মোট পরিবার ৭৯,৫৪৫টি।[৩]মোট জনসংখ্যার ৮৫% মুসলিম, ১৩% হিন্দু এবং ২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[১]
শিক্ষা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মীরসরাই উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫৫.১%; পুরুষ ৫৭.১%, মহিলা ৫৩.৩%।[৩] এ উপজেলায় ৫টি কলেজ (সহপাঠ), ১টি গার্লস কলেজ, ১টি কামিল মাদ্রাসা, ৪টি ফাজিল মাদ্রাসা, ২টি আলিম মাদ্রাসা, ২০টি দাখিল মাদ্রাসা, ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সহশিক্ষা), ৬টি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৮টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৪]
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
যোগাযোগ ব্যবস্থা
মীরসরাই উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। এছাড়া উপজেলায় ২৩০ কিলোমিটার পাকারাস্তা, ১১৯ কিলোমিটার আধা-পাকারাস্তা, ১৪৩৫ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা, ১৬ কিলোমিটার রেলপথ, ৪টি রেলস্টেশন ও ১১ নটিক্যাল মাইল নৌপথ রয়েছে।[১]
কৃষি
মীরসরাই উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৪৪,৫৬৭ হেক্টর। এর মধ্যে ফসলী জমি ২৫,৯১১ হেক্টর।[৪] ধান এই অঞ্চলের প্রধান ফসল। এই স্থান কৃষি কাজ করার জন্য উৎকৃষ্ট। এছাড়া অন্যান্য কৃষি ফসলের মধ্যে রয়েছে ডাল, আলু, বেগুন, শাকসবজি ইত্যাদি।
অর্থনীতি
একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে উঠে। ইছাখালী, মঘাদিয়া, ও সাহেরখালী ইউনিয়নের সাগর সংলগ্ন চরে এবং আরো জমি নিয়ে সর্বমোট ৩৫ হাজার একর জায়গার উপর দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পনগর গড়ে তোলা হচ্ছে যা "মীরসরাই ইকোনমি জোন" বর্তমানে "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর" নামে পরিচিত।
ব্যাংক
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জীবনীশক্তি হলো ব্যাংক এবং এই ব্যাংকগুলো দেশের মুদ্রাবাজারকে রাখে গতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে করে পরিশীলিত। মীরসরাই উপজেলায় অবস্থিত ব্যাংকসমূহের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক্রম নং | ব্যাংকের ধরন | ব্যাংকের নাম | শাখা | ব্যাংকিং পদ্ধতি | ঠিকানা |
---|---|---|---|---|---|
০১ | রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক | অগ্রণী ব্যাংক | দুর্গাপুর শাখা[৭] | সাধারণ | ৯নং ওয়ার্ড, দুর্গাপুর ভর্দ্বাজ চৌধুরী হাট |
০২ | বড় দারোগার হাট শাখা[৮] | বড় দারোগার হাট, ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড | |||
০৩ | বারৈয়ারহাট শাখা[৯] | মসজিদ রোড, হিঙ্গুলী | |||
০৪ | মীরসরাই শাখা[১০] | চৌধুরী টাওয়ার (১ম তলা), কলেজ রোড, মীরসরাই | |||
০৫ | জনতা ব্যাংক | কমর আলী বাজার শাখা[১১] | কমর আলী বাজার, মীরসরাই | ||
০৬ | করেরহাট শাখা[১২] | করেরহাট, মীরসরাই | |||
০৭ | জোরারগঞ্জ শাখা[১৩] | জোরারগঞ্জ, মীরসরাই | |||
০৮ | মীরসরাই শাখা[১৪] | মীরসরাই | |||
০৯ | সাহেরখালী শাখা[১৫] | সাহেরখালী, মীরসরাই | |||
১০ | রূপালী ব্যাংক | আবু তোরাব বাজার শাখা[১৬] | কে ডি এস ভবন, আবু তোরাব বাজার, মীরসরাই | ||
১১ | শান্তিরহাট শাখা[১৭] | রহমান শপিং সেন্টার, শান্তিরহাট, মীরসরাই | |||
১২ | সোনালী ব্যাংক | নিজামপুর শাখা[১৮] | নিজামপুর, মীরসরাই | ||
১৩ | মীরসরাই শাখা[১৯] | মীরসরাই, চট্টগ্রাম | |||
১৪ | বেসিক ব্যাংক | জোরারগঞ্জ শাখা[২০] | বিশেষায়িত | গোপীনাথপুর, জোরারগঞ্জ, মীরসরাই | |
১৫ | বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক | আইএফআইসি ব্যাংক | বারৈয়ারহাট উপশাখা[২১] | সাধারণ | হাজী ছালেহ আহমদ ভবন, বাসা নং ৩১৯, কামার গলি, বারৈয়ারহাট পৌরসভা, চট্টগ্রাম |
১৬ | ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক | বারৈয়ারহাট শাখা[২২] | মীর কমপ্লেক্স, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে, ২নং ওয়ার্ড, বারৈয়ারহাট পৌরসভা, চট্টগ্রাম | ||
১৭ | করেরহাট উপশাখা[২৩] | করেরহাট শপিং কমপ্লেক্স, করেরহাট, মীরসরাই, চট্টগ্রাম | |||
১৮ | ইস্টার্ন ব্যাংক | মীরসরাই উপশাখা[২৪] | হাজী রেনু মিয়া মাস্টার শপিং কমপ্লেক্স, বাসা নং ১৮৩-০০৬৯, ২নং ওয়ার্ড, মীরসরাই পৌরসভা, চট্টগ্রাম | ||
১৯ | উত্তরা ব্যাংক | বারৈয়ারহাট শাখা[২৫] | ৪৭, হাওয়া ভবন, বারৈয়ারহাট পৌরসভা, চট্টগ্রাম | ||
২০ | এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক | জোরারগঞ্জ রেজিঃ উপশাখা[২৬] | জোরারগঞ্জ ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস, জোরারগঞ্জ, চট্টগ্রাম | ||
২১ | মীরসরাই রেজিঃ উপশাখা[২৭] | মীরসরাই ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস, মীরসরাই, চট্টগ্রাম | |||
২২ | ইউনিয়ন ব্যাংক | জোরারগঞ্জ শাখা[২৮] | ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিক | যুবরাজ বিতান (১ম তলা), জোরারগঞ্জ, মীরসরাই, চট্টগ্রাম | |
২৩ | ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ | বারৈয়ারহাট শাখা[২৯] | মিয়াজী মার্কেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, বারৈয়ারহাট, চট্টগ্রাম | ||
২৪ | মীরসরাই এসএমই/কৃষি শাখা[৩০] | মা টাওয়ার, মীরসরাই, চট্টগ্রাম | |||
২৫ | ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক | করেরহাট শাখা[৩১] | মিয়া কমপ্লেক্স, করেরহাট, মীরসরাই, চট্টগ্রাম | ||
২৬ | বড়তাকিয়া শাখা[৩২] | আবু সুফিয়ান শপিং কমপ্লেক্স, মায়ানী, মীরসরাই, চট্টগ্রাম | |||
২৭ | বারৈয়ারহাট উপশাখা[৩৩] | আবু উসামা মার্কেট, বারৈয়ারহাট, চট্টগ্রাম | |||
২৮ | শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক | মীরসরাই শাখা[৩৪] | লাকী রোজী মার্কেট, বাসা নং এনএইচবি ৮৮, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, মীরসরাই, চট্টগ্রাম |
নদ-নদী
মীরসরাই উপজেলার প্রধান নদী ফেনী নদী ও মুহুরী নদী।[৩৫] উপজেলার পশ্চিমে রয়েছে সন্দ্বীপ চ্যানেল এবং অভ্যন্তরে বয়ে চলেছে ইছাখালী, মহামায়া, ডোমখালি, হিঙ্গুলী ও মায়ানী খাল।
দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থান
দর্শনীয় স্থান
মীরসরাই উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:[৩৬]
- মহামায়া হ্রদ ও সেচ প্রকল্প–(দুর্গাপুর ইউনিয়ন)
- উপকূলীয় বনাঞ্চল–(সাহেরখালী ইউনিয়ন)
- মুহুরী সেচ প্রকল্প–(ইছাখালী ইউনিয়ন)
- করেরহাট বনাঞ্চল–(করেরহাট ইউনিয়ন)
- বাওয়াছড়া সেচ প্রকল্প–(ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন)
- খৈয়াছড়া ঝর্ণা–(খৈয়াছড়া ইউনিয়ন)
- ধুমের শিলা পাথর–(শান্তিরহাট)
- ছুটি খাঁ মসজিদ–(জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন)
- পরাগল খাঁ দীঘি
- নয়দুয়ারী মসজিদ
- জগন্নাথ ধাম–(আবুতোরাব)
- কালীমন্দির–(করেরহাট ইউনিয়ন)
- শান্তিনিকেতন বিহার
- অভয়শরণ বিহার–(দমদমা, হাইতকান্দি ইউনিয়ন)
- মঘাদিয়া জমিদার বাড়ি–(মঘাদিয়া ইউনিয়ন)
- মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল
ঐতিহাসিক স্থান
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
- মোশাররফ হোসেন–রাজনীতিবিদ।
- মাহবুব রহমান রুহেল–রাজনীতিবিদ।
- কনক কান্তি বড়ুয়া–অধ্যাপক ও স্নায়ুশল্যচিকিৎসক।
- ওবায়দুল হক খোন্দকার–বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ।
- কবির আহম্মদ–বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- কাজী মোরশেদ–চলচ্চিত্র পরিচালক।
- দিলীপ বড়ুয়া–রাজনীতিবিদ।
- মোজাহার উল্লাহ–বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মুহম্মদ কবির–মধ্যযুগের কবি।
- মোজাম্মেল হক–বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোহাম্মদ নূরুল হক–বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- যোবায়দা হান্নান–চিকিৎসক ও সমাজসেবী।
- সিরাজুল হক–বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ–একুশে পদক প্রাপ্ত।
- ইসমাইল খান–উপাচার্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা | সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৭৮ চট্টগ্রাম-১ | মীরসরাই উপজেলা | মাহবুব উর রহমান[৩৭] | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
- সংসদ সদস্যগণের তালিকা
ক্রম নং | নির্বাচন সন | নির্বাচিত সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১ম | ১৯৭৩ | ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন | বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদের প্রথম নির্বাচিত সংসদ সদস্য |
২য় | ১৯৭৯ | ওবাইদুল হক খোন্দকার | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৩য় | ১৯৮৬ | ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৪র্থ | ১৯৮৮ | আবু ছালেক | জাতীয় পার্টি |
৫ম | ১৯৯১ | মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৬ষ্ঠ | ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) | ওবায়দুল হক খোন্দকার | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৭ম | ১৯৯৬ (জুন) | ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
৮ম | ২০০১ | মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৯ম | ২০০৮ | ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১০ম | ২০১৪ | ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১শ | ২০১৮ | ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১২শ | ২০২৪ | মাহবুব উর রহমান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
ক্রম নং. | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা চেয়ারম্যান | এনায়েত হোসেন নয়ন[৩৮][৩৯] |
০২ | ভাইস চেয়ারম্যান | সাইফুল ইসলাম[৩৯] |
০৩ | মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান | উম্মে কুলছুম কলি[৩৯] |
০৪ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা | জনাব মাহফুজা জেরিন[৪০] |
- উপজেলা চেয়ারম্যানগণের তালিকা[৪১]
ক্রম নং. | উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম | মেয়াদকাল |
---|---|---|
০১ | মোহাম্মদ আবু তাহের | ১৯৮৫ – ১৯৮৬ |
০২ | আবুল বাশার ভূঁইয়া | ১৯৮৬ – ১৯৯১ |
০৩ | মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন | ২০০৯ – ২০১৪ |
০৪ | নুরুল আমিন | ২০১৪ – ২০১৯ |
০৫ | জসিম উদ্দিন | ২০১৯ – ২০২৪ |
০৬ | এনায়েত হোসেন নয়ন[৩৮][৩৯] | ২০২৪ – বর্তমান |