হেনরি গুইন জেফ্রিস মোসলে (ইংরেজি: Henry Gwyn Jeffreys Moseley; জন্ম ২৩ নভেম্বর১৮৮৭ - মৃত্যু ১০ আগস্ট ১৯১৫), একজন ইংরেজ পদার্থবিদ। তিনি আণবিক সংখ্যার পূর্ববর্তী তত্ত্বীয় এবং রাসায়নিক ধারণার উন্নতি সাধনে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। এরই হাত ধরে এক্সরে বর্ণালীতে মোসলে সূত্রের আবির্ভাব ঘটে। মোসলে সূত্রানুসারে পর্যায় সারণীর অনেক মৌলকে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
পূর্ব ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উৎপাত শুরু হলে মোসলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ফেলে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর রাজকীয় প্রকৌশলীদের সাহায্য করতে ছুটে যান। মোসলে ব্রিটিশ সৈন্যদের সাথে টেলিকমিউনিকেশান কর্মকর্তা হিসেবে ১৯১৫ সালের এপ্রিল মাসে তুরস্কের গাল্লিপলিতে যান। ১৯১৫ সালের ১০ আগস্ট গাল্লিপলির যুদ্ধে মোসলে নিহত হন। তখন তার বয়স ছিলো সাতাশ বছর। কয়েকজন লেখকের লেখনী থেকে জানা যায় যুদ্ধে শহীদ না হলে ১৯১৬ সালে মোসলে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার[১][২] অর্জন করতেন।
জীবনী
মোসলে ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত ওয়েমাউথ, ডরসেটে ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মোসলের পিতা হেনরি নট্টিজ মোসলে একজন জীববিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ছিলেন। [৩] মোসলে তরুন বয়সেই পিতাকে হারান। মোসলের মায়ের নাম আমাবেল জি. জে. মোসলে। মোসলের বাবার মৃত্যুর পরে আমাবেল অক্সফোর্ডের প্রাণীবিজ্ঞানের অধ্যা[পক উইলিয়াম জনসন সোল্লাসকে বিয়ে করেন।
মোসলে স্কুলে খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি এটন মহাবিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য রাজা বৃত্তি লাভ করেন।[৪] ১৯০৬ সালে তিনি এটনে রসায়ন এবং পদার্থ পুরস্কার অর্জন করেন।[৫] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১০ সালে স্নাতক পাশ করার পরে মোসলে স্যার আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের তত্ত্বাবধানে ডেমোনস্ট্রাটর পদে ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।[৬]