ব্যাকরণ শাস্ত্রে, কর্ম কারক বলতে বোঝায় যাকে আশ্রয় করে কর্তাক্রিয়া সম্পন্ন করে। "কী", "কাকে" দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে কর্ম কারক পাওয়া যায়[১]যাকে আশ্রয় করে কর্তা-ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কর্ম কারক বলে।
কর্ম
কর্ম দুই প্রকার: মুখ্য কর্ম ও গৌণ কর্ম।
মুখ্য কর্ম
একটি বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়াকে 'কী' দিয়ে প্রশ্ন করলে যা উত্তর পাওয়া যায়, তা হল মুখ্য কর্ম।
উদাহরণ — 'বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন।' এই বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া হল 'কিনে দিয়েছেন'। সমাপিকা ক্রিয়াকে 'কী' দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় 'কলম'। তাই, এই বাক্যে মুখ্য কর্ম হল 'কলম'।
সাধারণত গৌণ কর্ম বস্তুবাচক হয়। মুখ্য কর্মে হয় না। এছাড়াও, সাধারণত কর্ম কারকের মুখ্য কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয় না।
গৌণ কর্ম
একটি বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়াকে 'কাকে' দিয়ে প্রশ্ন করলে যা উত্তর পাওয়া যায়, তা হল গৌণ কর্ম।
উদাহরণ — 'বাবা আমাকে একটি কলম কিনে দিয়েছেন।' সমাপিকা ক্রিয়াকে 'কাকে' দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যায় 'আমাকে। তাই, এই বাক্যে মুখ্য কর্ম হল 'আমাকে'।
সাধারণত গৌণ কর্ম প্রাণিবাচক হয়ে থাকে। এছাড়াও, সাধারণত গৌণ কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয়।
প্রকারভেদ
কর্ম কারক ৪ প্রকার:
সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম: নাসিমা ফুল তুলছে।
প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম: ছেলেটিকে বিছানায় শোয়াও।
সমধাতুজ কর্ম: ক্রিয়াটি যে ধাতু নিষ্পন্ন, কর্মটিও সেই ধাতুনিষ্পন্ন হলে, তাকে সমধাতুজ কর্ম বলে। যেমন:- খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
উদ্দেশ্য ও বিধেয় কর্ম: দ্বিকর্মক ক্রিয়ার দুটি দুটি পরস্পর অপেক্ষিত কর্মপদ থাকলে প্রধান কর্মপদটিকে বলা হয় উদ্দেশ্য কর্ম এবং অপেক্ষিত কর্মটিকে বলা হয় বিধেয় কর্ম। যেমন: