অগ্নি নির্বাপণ

অগ্নি নির্বাপণ বলতে ভবন, যানবাহন ও বনভূমিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ও তাৎপর্যপূর্ণ অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভানো ও সেটির বিস্তার রোধ করার কাজটিকে বোঝানো হয়। সাধারণত বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের বাহিনী (দমকল বাহিনী) এই কাজটি সম্পাদন করে। অগ্নিনির্বাপণ কর্মী বা দমকল কর্মীরা অগ্নি নির্বাপণ করে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন এবং সম্পত্তি ও পরিবেশ রক্ষা করেন।[১]

২০০৭ সালে কানাডার একটি বৃহৎ অগ্নিকাণ্ডে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের বাহিনীর অভিযান
কামান কে-ম্যাক্স হেলিকপ্টার দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের একট দাবানল প্রতিরোধের প্রচেষ্টা

অগ্নি-নির্বাপণ কর্মীরা সাধারণত উচ্চমানের কারিগরি প্রশিক্ষণ লাভ করেন।[১][২] এর মধ্যে ভবন ও স্থাপনায় অগ্নিনির্বাপণ ও বন্যভূমিতে অগ্নিনির্বাপণ অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের মধ্যে বিমান বা উড়োযানে অগ্নিনির্বাপণ, জাহাজের অগ্নিনির্বাপণ, আকাশ থেকে অগ্নিনির্বাপণ, সামুদ্রিক অগ্নিনির্বাপণ ও নিকটাঞ্চলিক অগ্নিনির্বাপণ উল্লেখ্য।

অগ্নি নির্বাপণের সাথে সংশ্লিষ্ট মূল বিপদ বা ঝুঁকিগুলির মধ্যে অন্যতম হল দাহ্য উপাদানগুলির দহনের ফলে সৃষ্ট বিষাক্ত পরিবেশ। চারটি প্রধান ঝুঁকি হল ধোঁয়া, অক্সিজেন-স্বল্পতা, উচ্চ তাপমাত্রা ও বিষাক্ত বাতাস।[৩] এই ঝুঁকিগুলি প্রতিরোধ করতে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শ্বাসযন্ত্র বহন করে থাকেন। অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে আছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া, ভবন বা স্থাপনা ধসে পড়া, ইত্যাদি যেগুলি বিষাক্ত পরিবেশে যে সমস্যাগুলির মোকাবেলা করতে হয়, সেগুলিকে আরও অবনতি ঘটাতে পারে।

একটি অগ্নিনির্বাপণ অভিযানের প্রথম ধাপ হল আগুনের উৎস বের করতে অনুসন্ধান চালনা করা ও বিশেষ বিশেষ ঝুঁকি চিহ্নিত করা। তারা যত দ্রুত সম্ভব বিশেষ সরঞ্জামবিশিষ্ট যানে করে অগ্নিকাণ্ডের অবস্থানে গমন করেন। বেশির ভাগ পৌর এলাকাতে দমকল বাহিনীর কার্যালয় থাকে। এগুলি এমন সব জায়গায় থাকে, যাতে একটি বিপদ সংকেত পাবার সাথে সাথে কয়েক মিনিটের মধ্যে তারা অকুস্থলে পৌঁছে যেতে পারেন। সাধারণত একটি অভিযানে পানি উত্তোলন করে ছেটানোর কলবাহী যান, মইবাহী যান ও উদ্ধারযান পাঠানো হয়। দরকার হলে একাধিক দলকে পাঠানো হতে পারে।

আগুনকে নেভানোর জন্য পানি বা জল প্রয়োগ করা হতে পারে, জ্বালানি বা জারণীয় পদার্থ অপসারণ করা হতে পারে, বা রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে আগুনের শিখা দমন কর হতে পারে। তবে যেহেতু আগুনকে সংশ্লিষ্ট পদার্থের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা হয় যেমন চর্বি, কাগজ, বৈদ্যুতিক, ইত্যাদি, তাই এগুলির জন্য নির্দিষ্ট প্রকারের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।

তথ্যসূত্র


বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ