অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস
অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস বা এপিআই হচ্ছে এক গুচ্ছ ফাংশনের সমষ্টি। এটি একটি ইন্টারফেস যা কোন কম্পিউটার, লাইব্রেরি অথবা অ্যাপলিকেশন অন্য অ্যাপ্লিকেশনকে বিভিন্ন সার্ভিস দেয়ার লক্ষ্যে বা ডাটা বিনিময়ের জন্য প্রদান করে থাকে। সাধারণত সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক কোম্পানি এটি তৈরি করে। অন্য কোনো প্রোগ্রাম ঐ সফটওয়্যারকে নিজেদের সাথে একীভূত করতে চাইলে এপিআই এর মাধ্যমে সফটওয়্যারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।[১]
বর্ণনা
কোন অ্যাপ্লিকেশনের এ.পি.আই. -এর প্রধান কাজ হল কীভাবে একটি কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বা একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের কাছে ঐ অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন ফাংশনের এক্সেস পদ্ধতিকে বর্ণনা করা। এর জন্য ঐ অ্যাপ্লিকেশনের ফাংশনের উৎস কোডে প্রবেশ করার বা উৎস কোডের পূর্ণ ব্যাখ্যা জানার প্রয়োজন পড়ে না। এ.পি.আই. একটি এবস্ট্রাক্ট ধারণা, যেহেতু এটি একটি ইন্টারফেস।
ব্যবহার
কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা প্রায় অপারেটিং সিস্টেমের এ.পি.আইকে মেমরি বণ্টন এবং ফাইল প্রবেশে ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সিস্টেম ও অ্যাপ্লিকেশন এ.পি.আই-এর সুবিধা দেয়। এদের মধ্যে গ্রাফিক্স সিস্টেম, ডাটাবেজ, নেটওর্য়াক, ওয়েব সার্ভিস এমনকি কম্পিউটার গেমও রয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রেই এ.পি.আই. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিটের সংক্ষেপে এস.ডি.কে-এর, অংশ হিসাবে থাকে। কিন্তু একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি কিট এ. পি. আই ছাড়াও অন্যান্য টুল, এমনকি হার্ডওয়্যারও থাকে। তাই এস.ডি.কে এবং এ.পি.আই.কে আক্ষরিক অর্থে পরস্পর বিনিময় যোগ্য নয়।
এ.পি.আই-এর জন্য বিভিন্ন ডিজাইন মডেল আছে। মূলত ফাংশন, প্রসিডিউর, ভেরিয়েবল এবং ডাটা স্ট্রাকচার নিয়ে গঠিত একটি সেটের দ্রুত কাজ সম্পাদনের অভিপ্রায়ে ইন্টারফেসের ব্যবহার। এ.পি.আই কীভাবে বিভিন্ন ফাংশনকে কাজ করায় তা প্রোগ্রামারের জানার প্রয়োজন হয় না। এতে এ.পি.আই.-এর কোডকে না ভেঙ্গেও বিভিন্ন ফাংশনের উন্নতি সাধন করা সম্ভব।
উদাহরণ
- পিসি বা ওস কল ইন্টারফেস
- সিঙ্গেল উনিক্স স্পেসিফিকেশন
- মাইক্রোসফট ইউন ৩২ এ. পি. আই
- জাভা প্লাটফোর্ম , এন্টারপ্রাইজ এডিশন এ. পি. আই
- মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ডাইরেক্ট এক্স
- গুগল ম্যাপ এ. পি. আই
- ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ারক্রাফ্ট এ. পি. আই