ইথিওপিয়া–সোমালিয়া যুদ্ধ

ইথিওপিয়া–সোমালিয়া যুদ্ধ বা ওগাদেন যুদ্ধ ছিল ১৯৭৭ সালের জুলাই থেকে ১৯৭৮ সালের মার্চ পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ ওগাদেন অঞ্চল নিয়ে ইথিওপিয়াসোমালিয়ার মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধ। সোমালিয়া কর্তৃক ইথিওপিয়া আক্রমণের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল[১৯]

ইথিওপিয়া–সোমালিয়া যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: ইথিওপিয়া–সোমালিয়া দ্বন্দ্ব এবং স্নায়ুযুদ্ধ
তারিখ১৩ জুলাই ১৯৭৭[১] – ১৫ মার্চ ১৯৭৮
অবস্থান
সোমালি অঞ্চল (প্রাক্তন ওগাদেন প্রদেশ), ইথিওপিয়া
ফলাফল

ইথিওপীয় বিজয়[২][৩]

  • ইথিওপিয়ায় সোভিয়েত ও কিউবান সৈন্য মোতায়েন করা হয়[৪]
  • সোমালিয়া চীনরুমানিয়া ব্যতীত দ্বিতীয় বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে[৫]
বিবাদমান পক্ষ

ইথিওপিয়া
সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েত ইউনিয়ন
কিউবা কিউবা
গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী ইয়েমেন দক্ষিণ ইয়েমেন

সমর্থনকারী রাষ্ট্র:
উত্তর কোরিয়া উত্তর কোরিয়া
পূর্ব জার্মানি পূর্ব জার্মানি

সোমালিয়া সোমালিয়া
ডব্লিউএসএলএফ

সমর্থনকারী রাষ্ট্র:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
মেঙ্গিস্তু হাইলে মরিয়ম[৬]
আবেরা হাইলে মরিয়ম[৭]
ডেমিসি বাল্টো[৬]
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্যাসিলি পেত্রোভ[৮]
কিউবা আর্নাল্ডে ওকোয়া[৯]
সালিম রুবাই আলী
সোমালিয়া সাঈদ বারী
সোমালিয়া মুহাম্মাদ আলী সামাতার
সোমালিয়া আব্দাল্লা মোহামেদ ফাদিল
সোমালিয়া আব্দুল্রাহি ইউসুফ আহমেদ
ইউসুফ সালহান
সোমালিয়া মোহামেদ নূর গালাল
সোমালিয়া আব্দুল্লাহি আহমেদ ইররো
সোমালিয়া আলী হুসেইন
সোমালিয়া ফারাহ হান্দুল্লে
সোমালিয়া আহমেদ হাজী হাসান
সোমালিয়া আলী ইসমাইল
সোমালিয়া আব্দুলরহমান আরে
শক্তি
৬৭,০০০ সৈন্য (যুদ্ধের শুরুতে)[১০]
৭৫,০০০ সৈন্য (যুদ্ধের শেষে)[১১]
সোভিয়েত ইউনিয়ন ১,৫০০ সামরিক উপদেষ্টা
কিউবা ১২,০০০[১২]–১৮,০০০ সৈন্য[৯]
সোমালিয়া ২৫,০০০ সৈন্য (যুদ্ধের শুরুতে)[১০]
৬৩,২০০ সৈন্য (যুদ্ধের শেষে)[১৩]
১৫,০০০ যোদ্ধা
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
৬,১৩৩ সৈন্য নিহত[১৪]
১০,৫৬৩ সৈন্য আহত[১৪]
৩,৮৬৭ সৈন্য যুদ্ধবন্দি অথবা নিখোঁজ (১,৩৬২ দলত্যাগীসহ)[১৪][১৫]
১৩৯টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
১০৮টি এপিসি ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
১,৩৯৯টি গাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
২৩টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
সোভিয়েত ইউনিয়ন ৩৩ উপদেষ্টা নিহত অথবা নিখোঁজ[১৬]
কিউবা ৪০০ সৈন্য নিহত[১৫]
গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী ইয়েমেন ১০০ সৈন্য নিহত[১৫]
সোমালিয়া ৬,৪৫৩ সৈন্য নিহত[১৪]
২,৪০৯ সৈন্য আহত[১৪]
২৭৫ সৈন্য যুদ্ধবন্দি অথবা নিখোঁজ[১৪]
৭২টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
৩০টি এপিসি ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
৯০টি গাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
২৮টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসপ্রাপ্ত[১৪]
১,০০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত
৫,০০,০০০ বেসামরিক নাগরিক উদ্বাস্তু[১৭][১৮]

সোভিয়েত ইউনিয়ন সোমালি আক্রমণের বিরোধিতা করে এবং ইথিওপিয়াকে সমর্থন করতে শুরু করে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইথিওপিয়াকে সমর্থন দেয়া থেকে বিরত থেকে সোমালিয়াকে সহায়তা করতে থাকে। যুদ্ধের প্রথম দিকে ইথিওপিয়া শোচনীয় পরাজয় বরণ করার সম্মুখীন হয়। তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ইথিওপিয়াকে নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আকাশপথে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের সামরিক সহায়তা প্রদান করে। তদুপরি ১,৫০০ সোভিয়েত সামরিক উপদেষ্টা, ১৬,০০০ কিউবান সৈন্য এবং ২ ব্রিগেড দক্ষিণ ইয়েমেনি সৈন্য ইথিওপীয় বাহিনীর সঙ্গে একত্রে সোমালি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ১৯৭৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়। তবে তা সত্ত্বেও ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ওগাদেনের অধিকাংশ সোমালিয়ার দখলে থেকে যায়[১৯]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ