উচ্চারণ
উচ্চারণ (সং. উৎ + √ চারি + অন) হল কথা বলার রীতি বা ভঙ্গী। নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের ভাষায় একটি শব্দ বা কথা বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আওয়াজের যে (সম্মতি বা শর্তাধীনে অধিষ্ঠিত / agreed-upon) অনুক্রম বা পরম্পরা তাকে উচ্চারণ (“সঠিক উচ্চারণ”) বলা যেতে পারে অথবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেভাবে কথা বলেন সহজ কথায় তাই উচ্চারণ।
কোন শব্দের বানান ঐ শব্দকে নির্দেশ করলেও তা শব্দটির উচ্চারণকে নির্ধারণ করে না। বিতর্কিত বা ব্যাপকহারে ভুল উচ্চারিত শব্দসমূহের উচ্চারণ তাদের উৎস থেকে যাচাই করে নেওয়া হয়। যেমন:- সম্প্রতি গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরমেটের (GIF) আবিষ্কারক Gifকে Jif উচ্চারণ করতে বলেছেন।[১]
শৈশবে সাংস্কৃতিক উন্মেষের ব্যপ্তিকাল, বক্তার বর্তমান আবাসস্থল, কন্ঠস্বর বা বাকযন্ত্রের অসঙ্গতি-অসুখ[২] , বক্তার সামাজিক শ্রেণী, নৃগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষার[৩] ন্যায় বহু কারণভেদে দল বা ব্যক্তি বিশেষে একই শব্দ বিভিন্নভাবে বলা হয়ে থাকতে পারে।
ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪]সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- উইকিঅভিধানে উচ্চারণ-এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।