আ. স. ম. আবদুর রব

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ
(এ. এস. এম. আব্দুর রব থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আবু সায়েদ মোহাম্মদ আব্দুর রব (জন্ম: ২ জানুয়ারি ১৯৪৫) যিনি আ স ম আবদুর রব নামেই পরিচিত; একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক। ছিলেন ডাকসুর ভিপি। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জনতা বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা সর্ব প্রথম উত্তোলন করেন।[১][২]

আ. স. ম আব্দুর রব
নৌপরিবহন মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৯ জুন ১৯৯৬ – ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ১৫ জুলাই ২০০১
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৯৮০
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১২ জুন ১৯৯৬ – ১৫ জুলাই ২০০১
পূর্বসূরীআব্দুর রব চৌধুরী
উত্তরসূরীআশরাফ উদ্দিন নিজাম
কাজের মেয়াদ
৩ মার্চ ১৯৮৮ – ৩ মার্চ ১৯৮৮
পূর্বসূরীপদ সৃষ্টি
উত্তরসূরীমোশাররফ হোসেন
ঢাকা-১০ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০
পূর্বসূরীশেখ হাসিনা
উত্তরসূরীআবদুল মান্নান
ডাকসুর ভিপি
কাজের মেয়াদ
১৯৭০ – ১৯৭১
পূর্বসূরীতোফায়েল আহমেদ
উত্তরসূরীমুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মআবু সায়েদ মোহাম্মদ আব্দুর রব
(1945-01-02) ২ জানুয়ারি ১৯৪৫ (বয়স ৭৯)
চরবাদামে, রামগতি, লক্ষ্মীপুর
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলজাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব)
দাম্পত্য সঙ্গীতানিয়া রব
সন্তান৩ ছেলে
পিতামাতাআলী আজ্জম (পিতা),
মাজেদা খাতুন (মাতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যে জন্য পরিচিতপতাকা উত্তোলন,
ডাকসুর ভিপি,
"জাতির জনক" উপাধি প্রদান,

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ তিনি পল্টন ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে "জাতির জনক" উপাধি প্রদান করেন।[৩]

প্রাথমিক জীবন

আবদুর রব ২ জানুয়ারি ১৯৪৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরবাদামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত আলী আজ্জম  এবং মাতার নাম মৃত মাজেদা খাতুন।

শিক্ষা জীবন

আবু সায়েদ মোহাম্মদ আব্দুর রব প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর, তিনি নোয়াখালির কল্যাণ হাই স্কুলে থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে তিনি ভর্তি হন চৌমুহনী কলেজে। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

রাজনৈতিক জীবন

আ স ম আব্দুর রব ১৯৫৮ সালে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।

তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক। ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, আ. স. ম. আবদুর রব ও শাজাহান সিরাজের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উদ্বোধন করেন আ স ম আবদুর রব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেন আ স ম আবদুর রব এবং শেখ মুজিবুর রহমান কে ''বঙ্গবন্ধু'' ও "জাতির জনক" নামে ভূষিত করেন।

তিনি ১৯৭০-১৯৭১ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) ভিপি ছিলেন।[৪][৫]

তিনি ১৭ মার্চ ১৯৭৪ তারিখে রমনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে জাতীয় রক্ষী বাহিনীর নেতৃত্বে জনতার উপর গুলি চালানোর মধ্যে সমাবেশের নেতৃত্ব দেন। রব ১৯৭৪ সালের রমনা হত্যাকাণ্ডের একজন জীবিত ব্যক্তি।

৩ নভেম্বর ১৯৭৫-এ বাংলাদেশে অভ্যুত্থানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, এম. এ. জলিল ও রবকে ক্ষমতা গ্রহণের পর মুক্তি দেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন

আ.স.ম. আব্দুর রব ও শাজাহান সিরাজের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠিত হয়। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে দলের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে মেজর জলিল সভাপতি, আ.স.ম. আব্দুর রব সাধারণ সম্পাদক এবং শাজাহান সিরাজ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি হাসানুল হক ইনু নির্বাচিত হন। জাসদের জন্ম হয়েছিল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে ও বিপ্লবী পথে।[৬]

জনপ্রতিনিধি

আ স ম আব্দুর রব ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৭]

তিনি ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চতুর্থ জাতীয় সংসদের তিনি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন।[৮]

তিনি ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৯]

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাসদ আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়। ফলশ্রুতিতে তিনি শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি ২৯ জুন ১৯৯৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ সাল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১০][১১]

১৯৯১ সালের পঞ্চম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে পরাজিত হন।[১২]

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন

আ স ম আব্দুর রব একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা।

পারিবারিক জীবন

আ স ম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব। এই দম্পতীর তিন ছেলে। বড় ছেলে স্ত্রীসহ যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে থাকেন। মেজ ছেলে থাকেন নিউইয়র্কে আর ছোট ছেলে থাকেন থাইল্যান্ডের ব্যাংককে।

তথ্যসূত্র

পূর্বসূরী:
শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রী
২৩ জুন ১৯৯৬ – ২৯ জুন ১৯৯৬
উত্তরসূরী:
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী
🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ