কিম সু হিয়ন
কিম সু হিয়ন (কোরীয়: 김수현; হাঞ্জা: 金秀賢; জন্মঃ ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯৮৮) একজন দক্ষিণ কোরিয়ান অভিনেতা যিনি টেলিভিশন ড্রামা সিরিজ ড্রিম হাই (২০১১),[১][২]মুন এমব্রেসিং দ্য সান (২০১২), মাই লাভ ফ্রম দ্য স্টার (২০১৩), দ্য প্রডিউসার (২০১৫) এবং চলচ্চিত্র দ্য থিভ্স (২০১২) এবং সিক্রেটলি, গ্রেটলি (২০১৩)[৩][৪] ইত্যাদি নাটকে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত। টিভি নাটকে তার অনবদ্য সাফল্য সমগ্র এশিয়া জুড়ে তাকে হালিয়ু তারকা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
কিম সু হিয়ন | |
---|---|
জন্ম | |
শিক্ষা | নাট্য এবং চলচ্চিত্র |
মাতৃশিক্ষায়তন | চুং-আং ইউনিভার্সিটি |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ২০০৭-বর্তমান |
প্রতিনিধি | কিইস্ট (২০১০-বর্তমান) |
ওয়েবসাইট | সু-হিয়ন.কম |
স্বাক্ষর | |
প্রাথমিক এবং ব্যক্তিগত জীবন
কিম তার মায়ের উৎসাহে ও নিজের অন্তর্মুখী স্বভাব কাটিয়ে উঠতে হাইস্কুলে পড়াকালে অভিনয়ের ক্লাসে অংশ নিতেন। তার বাবা কিম ছং হুন আশির দশকে সেভেন ডলফিন ব্যান্ডের দলনেতা গায়ক ছিলেন কিন্তু তিনি সু-হিয়নের ছোটবেলাতেই পরিবার ত্যাগ করেন।[৫][৬] কিম ২০০৯ সালে জুং-আং বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও নাট্যকলা বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৫ সালে গণমাধ্যমে প্রথম প্রকাশ পায় যে, কিম জু না নামে কিম সু হিয়নের একটি সৎ বোন আছে। কিম জু না ২০১৬ সালে সংগীত প্রতিযোগিতা প্রোডিউস ১০১ এ অংশগ্রহণ করেছিল।[৭]
পেশা জীবন
কিম সু হিয়ন ২০০৭ সালে কিমচি চিজ স্মাইল নাটকে সহ-অভিনেতা হিসেবে টেলিভিশনে পদার্পণ করেন। এবং ২০০৮ সালে মূল ভূমিকায় “জঙ্গল ফিস” নাটকে। যেটি সত্য ঘটনার উপর নির্মিত হয়েছিল, এটি তুলে ধরেছিল গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোকে যার মধ্যে ছিল বিদ্যালয়গুলোতে প্রতরণা, বিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতার মান এবং মিথষ্ক্রিয় ব্লগিং নব উপায়ে। নাটকটি অসংখ্য পুরস্কার লাভ করে।[৮][৯]
২০০৯ সালে কিম অভিনয় করেন সল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “ওর্স্ট ফ্রেন্ডস” এ যেটি সেরা সামাজিক নাটক পুরস্কার জিতে মিসে এন সিন শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল এ।[১০][১১][১২] কিমকে আরো উপরে নিয়ে যায় উইল ইট স্নো ফর ক্রিসমাস? এবং জায়ান্ট নাটকে তার পুরুষ মূল ভূমিকাইয়।[১৩][১৪] যেটি তাকে পরবর্তিতে তার প্রথম অভিনেতা পুরস্কার এনে দেয়। পুরস্কার নেয়ার সময় তিনি জনপ্রিয় “১০ বছরের প্রতিজ্ঞা” স্বীকৃত বক্তৃতা দেন এবং বলেন “অনুগ্রহ করে আমাকে ভালমত দেখাশুনা করুন আগামী দশ বছর আমার প্রতি আরো দৃষ্টি দিয়ে, আমি সত্যিকারের অভিনেতা হয়ে উঠব।” কিম একটি পারিবারিক নাম হয়ে যান ২০১১ সালে একটি দেশীয় ভাঁড় ভূমিকায় অভিনয় করে কৈশোর নাটক “ড্রিম হাই” এ অভিনয় করে[১৫][১৬] । কিমের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয় যখন সে “মুন এম্ব্রাসিং দা সান”[১৭][১৮] নাটকে অভিনয় করে রাজা লি হিওন এর তরুণ ভূমিকায়। নাটকটি সেসময়কার সেরা নাটক হয় এবং জাতীয় নাটক খেতাব পায়।[১৯]
২০১২ সালে কিম বড় পর্দায় পদার্পণ করেন “দা থিবস” ছবির মাধ্যমে যেটি ছিল অসিন ইলেভেন এর কোরিয়ান ভার্সন।[২০][২১] ছবিটি ১২.৯ মিলিয়নের বেশি টিকেট বিক্রি করে কোরিয়ার চলচ্চিত্র ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যাবসাসফল ছবি হয়ে উঠে।[২২]
২০১৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কিম অভিনয় করেন এসবিএস এর ধারাবাহিক নাটক মাই লাভ ফ্রম দা স্টার এ।[২৩] কিম একজন ভীনগ্রহীর ভূমিকায় অভিনয় করেন যে পৃথিবীতে অবতরণ করেছে জসিয়ন রাজবংশের সময় এবং চারশ বছর পর হালয়ু তারকা চয়িং সং-ই এর প্রেমে পড়ে। নাটকটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।[২৪][২৫] ৭ম কোরিয়ান ড্রামা এওয়ার্ড এ কিম লাভ করেন দায়সুং(মুখ্য পুরস্কার) যেটি কোরিয়ার টেলিভিশনে সর্বোচ্চ পুরস্কার।
চলচ্চিত্রসমূহ
নাটক
- কিমচি চিজ স্মাইল (২০০৭)
- জঙ্গল ফিস(২০০৮)
- সেভেন ইয়ারস অব লাভ(২০০৯)
- উইল ইট স্নো ফর ক্রিসমা(২০০৯)
- ফাদার’স হাউজ (২০০৯)
- জায়ান্ট (২০১০)
- ড্রিম হাই (২০১১)
- মুন এম্ব্রাসিং দা সান (২০১২)
- ড্রিম হাই ২ (২০১২)
- মাই লাভ ফ্রম দা স্টার (২০১৩-২০১৪)
- দা প্রডিউসার (২০১৫)
- হোটেল দেল লুনা (২০১৯)
- ক্র্যাশ ল্যান্ডিং অন ইউ (২০২০)
- ইটস ওকে টু নট বি ওকে (২০২০)
- ওয়ান অর্ডিনারি ডে (২০২১)[২৬]
- কুইন অফ টিয়ারস (২০২৪)[২৭]
ছায়াছবি
- চেরি ব্লুসম (সল্প দৈর্ঘ্য) (২০০৮)
- ওর্স্ট ফ্রেন্ডস (সল্প দৈর্ঘ্য) (২০০৯)
- দা থিবস (২০১২)
- সিক্রেটলি গ্রেইটলি (২০১৩)
- মিস গ্রানী (২০১৪)
- রিয়েল (২০১৭)[২৮]