গান্ধীনগর জেলা

গুজরাটের একটি জেলা

গান্ধীনগর জেলা ভারতের গুজরাত রাজ্যের একটি জেলা এবং এটি গুজরাতের প্রশাসনিক বিভাগ। এর সদর দপ্তর গান্ধীনগরে, যেটি এই রাজ্যের রাজধানী। এটি ১৯৬৪ সালে সংগঠিত হয়েছিল।এটি ৬৪৯ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জড়ে বিস্তৃত এবং এখানকার জনসংখ্যা ১,৩৯১,৭৫৩, যার মধ্যে ৩৫.০২% শহরের বাসিন্দা (২০০১ আদমশুমারি)।[১] জেলায় গান্ধীনগরসহ তিনটি শহরতলি রয়েছে, বাকি দুটি হল মোতেরা এবং আদালাজ। জেলার চারটি তহশিল হল - গান্ধীনগর, কালোল আইএনএ, দহেগাম এবং মনসা। এখানে ২১৬টি গ্রাম রয়েছে। গান্ধীনগর জেলার উত্তর-পূর্বে আছে সবরকাণ্ঠা ও আরাবল্লি জেলা, দক্ষিণ-পূর্বে খেদা জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে আহমেদাবাদ জেলা এবং উত্তর-পশ্চিমে মেহসানাজেলা।

গান্ধীনগর জেলা
জেলা
চামুণ্ডা-দেবী মন্দির
চামুণ্ডা-দেবী মন্দির
গুজরাতে গান্ধীনগর জেলার অবস্থান
গুজরাতে গান্ধীনগর জেলার অবস্থান
দেশ ভারত
রাজ্যগুজরাত
সদর দপ্তরগান্ধীনগর
আয়তন
 • মোট২,১৬৩ বর্গকিমি (৮৩৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১৩,৯১,৭৫৩
ভাষা সমূহ
 • সরকারিগুজরাতি, হিন্দি, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন৩৮২ ০XX
যানবাহন নিবন্ধনজিজে ১৮
ওয়েবসাইটgujaratindia.com

গান্ধীনগর শহরটি সরখেজ-গান্ধীনগর মহাসড়ক দিয়ে আহমেদাবাদের সাথে এবং আহমেদাবাদ - বড়োদরা মহাসড়ক পথে বড়োদরার সাথে সংযুক্ত। এই তিনটি শহর গুজরাত ও পশ্চিম ভারতে জনসংখ্যায় শীর্ষে আছে এবং এরা বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল গঠন করেছে।

গান্ধীনগর শহর হল চণ্ডীগড় (হরিয়ানা ও পাঞ্জাব, ভারতের রাজ্য রাজধানী) শহরের মতো একটি সুপরিকল্পিত শহর। এখানে ৩০টি সেক্টর রয়েছে যার প্রতিটি দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে ১  কিলোমিটার করে। প্রতিটি সেক্টরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মেডিকেল চিকিৎসালয়, একটি কেনাকাটার কেন্দ্র (শপিং সেন্টার) এবং একটি রক্ষণাবেক্ষণ অফিস রয়েছে।

গান্ধীনগরে নিকটস্থ তথ্যপ্রযুক্তি শহর (ইনফোসিটি) রয়েছে যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) সংস্থাগুলির কর্মক্ষেত্র রয়েছে। টিসিএস, সাইবাজ ইত্যাদির মতো অনেক বড় আইটি সংস্থা ইনফোসিটিতে রয়েছে, পিসিএস জিআইডিসি এলাকায় অবস্থিত। আরও অনেক সংস্থা ইনফোসিটিতে আসার পরিকল্পনা করছে। গুজরাতের অন্যতম প্রধান বিপিও সংস্থা ইটেক, ইনকর্পোরেশনও এখানে থেকে বড়োদরা এবং টেক্সাসের মধ্যে কাজ করছে।[২]

অক্ষরধাম গান্ধীনগর সেক্টর-২০ তে অবস্থিত। এটি গুজরাতের অন্যতম প্রধান হিন্দু মন্দির প্রাঙ্গণ।

গান্ধীনগরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন ধীরুভাই অম্বানী আইসিটি ইনস্টিটিউট, ইডিআই, ভারতীয় প্লাজমা গবেষণা ইনস্টিটিউট,এবং গুজরাত আইন বিশ্ববিদ্যালয়। গান্ধীনগরের শিক্ষার স্তর গুজরাত জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ, ৮৭.১১% পুরো গুজরাতে, তাই গান্ধীনগর হল গুজরাতের সবচেয়ে জনপ্রিয় শহর এবং একে বলা হয় "দ্য হার্ট" (হৃদয়)।

জনসংখ্যার উপাত্ত

গান্ধীনগর জেলায় ধর্ম
ধর্মশতাংশ
হিন্দু
  
৯৪.৮১%
মুসলমান
  
০৪.১২%

২০১১ জনগণনা অনুসারে গান্ধীনগর জেলার জনসংখ্যা ১,৩৯১,৭৫৩ জন,[৩] সোয়াজিল্যান্ড[৪] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই এর জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৩][৫] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৬০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৭০০ জন/বর্গমাইল) ।[৩] এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১২.১৫% ছিল।[৩] গান্ধীনগরে প্রতি এক হাজার পুরুষের জন্য ৯২০ জন মহিলা (যৌন অনুপাত) রয়েছে।[৩] এর সাক্ষরতার হার ২০০১ সালে ছিল ৭৬.৫%, যা ২০১১ সালে ১০ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে সাক্ষরতার হার হয়েছে ৮৫.৭৮%।।[৩]

২০১১ সালে ভারতের আদমশুমারি অনুসারে, জেলার জনসংখ্যার ৯৩.৯৪% মূলত গুজরাতিকে এবং ৪.৫৬% হিন্দিকে তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে ব্যবহার করে।[৬]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১২,২২,৫২৭—    
১৯১১২,২৫,৫৯২+০.১৪%
১৯২১২,৪২,৮১৫+০.৭৪%
১৯৩১২,৬৮,৮০১+১.০২%
১৯৪১৩,২৭,৪৯৩+১.৯৯%
১৯৫১৪,০১,৮১৫+২.০৭%
১৯৬১৪,৭৮,৬১১+১.৭৬%
১৯৭১৬,৪৮,৬৬৬+৩.০৯%
১৯৮১৮,৩৫,৩৩৭+২.৫৬%
১৯৯১১০,১৬,৩৩৯+১.৯৮%
২০০১১২,৩৭,১৬৮+১.৯৯%
২০১১১৩,৯১,৭৫৩+১.১৮%
সূত্র:[৭]

তথ্যসূত্র


🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী