জয় (২০১৫-এর চলচ্চিত্র)
জয় ডেভিড ও. রাসেল রচিত ও পরিচালিত ২০১৫ সালের মার্কিন জীবনীনির্ভর হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র।[৪] এতে নাম চরিত্র জয় ম্যাংগ্যানোর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেনিফার লরেন্স। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রবার্ট ডি নিরো, ব্র্যাডলি কুপার, এডগার রামিরেজ ও ডায়ান ল্যাড।
জয় | |
---|---|
Joy | |
পরিচালক | ডেভিড ও. রাসেল |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার | ডেভিড ও. রাসেল |
কাহিনিকার |
|
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার |
|
চিত্রগ্রাহক | লিনাস স্যান্ডগ্রেন |
সম্পাদক |
|
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১২৪ মিনিট[১] |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৬০ মিলিয়ন[২] |
আয় | $১০১.১ মিলিয়ন[৩] |
জয় চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের পরিবেশনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র পর্যালোচনা অর্জন করে, তারা লরেন্সের অভিনয়ের প্রশংসা করেন তবে চলচ্চিত্রটির লেখনী ও এর গতির সমালোচনা করেন। লরেন্স শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া জয় চলচ্চিত্রটি সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়নসহ একাধিক পুরস্কার ও মনোনয়ন লাভ করে।
কুশীলব
- জেনিফার লরেন্স - জয় ম্যাংগ্যানো, মিরাকল মপের উদ্ভাবক।
- ইসাবেলা ক্রোভেত্তি-ক্র্যাম্প - কিশোরী জয় ম্যাংগ্যানো
- রবার্ট ডি নিরো - রুডি ম্যাংগ্যানো, পেগি ও জয়ের পিতা
- ব্র্যাডলি কুপার - নিল ওয়াকার, কিউভিসির নির্বাহী
- এডগার রামিরেজ - টনি মিরেন, জয়ের প্রাক্তন স্বামী
- ডায়ান ল্যাড - মিমি, পেগি ও জয়ের দাদী[৫]
- দাশা পোলাঙ্কো - জ্যাকি, জয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু[৬]
- এমিলি নুনেজ - কিশোর জ্যাকি
- এলিজাবেথ রোম - পেগি ম্যাংগ্যানো, জয়ের সৎবোন
- অন্ড্রেয়া ও জিয়া গ্যাডসবি - ক্রিস্টি, জয়ের কন্যা
- মেলিসা রিভার্স - জোন রিভার্স[৭]
- ডোনা মিলস - প্রিসিলা[৮]
- সুজান লুচ্চি - ডানিকা[৯]
- মরিস বেনার্ড - জ্যারেড
- লরা রাইট - ক্লারিন্ডা
- আলেকজান্ডার কুক - বার্থোলোমিউ
- জিমি জিন-লুইস - তুসাঁ
- ড্রেনা ডি নিরো - সিন্ডি
মূল্যায়ন
বক্স অফিস
জয় $৬০ মিলিয়ন নির্মাণব্যয়ের বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় $৫৬.৪ মিলিয়ন এবং অন্যান্য দেশে $৪৪.৭ মিলিয়নসহ বিশ্বব্যাপী মোট $১০১.১ মিলিয়ন আয় করে।[৩]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালের ২৫শে ডিসেম্বর পয়েন্ট ব্রেক, ড্যাডিস হোম ও কনকাশন চলচ্চিত্রের সাথে একত্রে এবং দ্য বিগ শর্ট চলচ্চিত্রের বৃহৎ পরিসরে মুক্তির সাথে মুক্তি পায়। প্রথম সপ্তাহান্তে ২,৮৯৬ প্রেক্ষাগৃহ থেকে এর প্রত্যাশিত আয় ছিল $১৩-১৫ মিলিয়ন।[১০] তবে প্রথম সপ্তাহান্তে এটি $১৭ মিলিয়ন আয় করে এবং স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়েকেন্স ($১৪৯.২ মিলিয়ন) ও ড্যাডিস হোম ($৩৮.৭ মিলিয়ন) এর পর তৃতীয় স্থান লাভ করে।[১১]
সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া
জয় চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র পর্যালোচনা লাভ করে।[১২] পর্যালোচনা সংগ্রাহক ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোসে চলচ্চিত্রটি ২৬৬টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৬.২৯/১০ গড় রেটিঙে ৬১% রেটিং লাভ করে। ওয়েবসাইটটির ঐকমত্যে লেখা হয়, "জেনিফার লরেন্সের তুখোড় অভিনয় জয় চলচ্চিত্রটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে, তবে পরিচালক ডেভিড ও. রাসেলের মন্ত্রমুদ্ধ বাস্তবভিত্তিক গল্পের অনিশ্চিত কৌশল কেবল বিক্ষিপ্তভাবে অনুভূতিকে উস্কে দিয়েছে।"[১৩] মেটাক্রিটিকে ৪৮ জন সমালোচকের পর্যালোচনার ভিত্তিতে চলচ্চিত্রটির গড় স্কোর ১০০ এ ৫৬, যা "মিশ্র বা গড় পর্যালোচনা"র ইঙ্গিত দেয়।[১৪] সিনেমাস্কোরের দর্শকদের ভোটে চলচ্চিত্রটি এ+ থেকে এফ স্কেলে গড়ে "বি+" গ্রেড লাভ করে।[১১]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জয় (ইংরেজি)
- টিসিএম চলচ্চিত্র ডেটাবেজে জয়
- বক্স অফিস মোজোতে জয় (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে জয় (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে জয় (ইংরেজি)