জাপানী রন্ধনশৈলী
জাপানী রন্ধনশৈলী জাপানের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ঐতিহ্যগত খাবারের রান্নার প্রণালী নিয়ে গড়ে উঠেছে। যা শত বছরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে উন্নত হয়েছে। জাপানের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনপ্রণালী 和食 বা ওয়াশোকু চালের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়। এখানে মৌসুমী উপাদানগুলোর বেশ প্রভাব আছে। খাবারে সহযোগী পদে প্রায়ই মাছ, শাকসব্জীর আচার এবং ঝোলওয়ালা শাকসব্জির তরকারি থাকে। তেমপুরার মত পাতলা গোলায় মাখিয়ে সামুদ্রিক খাবার এবং শাকসব্জি প্রায়ই কড়া ভাজা করা হয়। সামুদ্রিক খাবার প্রায়ই ভাজা হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে সাশিমি হিসেবে কাঁচা বা সুশীতে পরিবেশিত হয়। ভাত ছাড়াও নুডলস যেমন সোবা ও উডন ইত্যাদি প্রধান খাবার হিসেবে পরিবেশিত হয়। জাপানে অনেক মজাদার খাবার রয়েছে যেমন মাছের ঝোল ওডেন এবং সুকিয়াকি ও নিকুঞ্জাগায় গোমাংস। বৈদেশিক খাদ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত খাবার - বিশেষ করে চীনা খাবার যেমন র্যামেন, ফ্রাইং ডাম্পলিংস এবং গয়জা জাপানে গৃহীত হয়েছে। তবে জাপানী স্বাদ ও উপাদান ব্যবহৃত হয়ে এগুলোতেও আলাদা বৈচিত্র এসেছে। ঐতিহাসিকভাবে জাপানীরা কম মাংস গ্রহণ করতো। কিন্তু আধুনিকীকরণের ফলে ১৮৮০ সালের দিকে জাপানে টোংকাটসুর মত মাংসের পদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জাপানী রন্ধনশৈলী বিশেষ করে সুশী সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০১১ সালে জাপান ফ্রান্সকে অতিক্রম করে মিচেলিয়ান-তারকাচিত রেস্তোরাঁ অর্জন করে এবং শিরোনামটি এখনো ধরে রেখেছে।
খাদ্যাভ্যাস
মাংস
জাপান হচ্ছে একটি দ্বীপদেশ যা মহাসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। এখানকার মানুষ সবসময় প্রচুর সীফুড খাওয়ার সুবিধা গ্রহণ করেছে।.[১] এটি কিছু খাদ্যবিদদের মতামত যে জাপানি খাদ্য সর্বদা উপর নির্ভর করে প্রধানত শষ্যের উপর সাথে থাকে শাকসব্জি বা সামুদ্রিক আগাছা, দ্বিতীয়ত পাখিজাত মাংস এবং সামান্য পরিমাণ লাল মাংস। বৌদ্ধধর্ম প্রসার লাভের আগ থেকেই জাপানে মাংস গ্রহণের এই অনীহা ভাব ছিলো[২]। ইদো যুগে]].[৩] ইয়োতসুশি বা চারপেয়ে জন্তু খাওয়া নিষিদ্ধ ছিলো[৪]। এই সত্ত্বেও জাপানে লাল মাংস ভোজন সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়নি। গৃহপালিত পশুদের বিপরীতে বন্য খেলা খাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছিলো। বিশেষ করে ফাঁদ পেতে খরগোশ শিকারের জন্য এমন শব্দ (ওয়া) ব্যবহার হতো যা সাধারণত একটি পাখির জন্য সংরক্ষিত শব্দ।
সাধারণ খাদ্যদ্রব্যগুলির ক্রমবর্ধমান খরচের কারণে জাপানী পরিবারের প্রক্রিয়াকৃত খাবারগুলি র ব্যবহার আরও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। [৫] য কিয়োটো সবজি বা কিয়াইয়াই জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং বিভিন্ন ধরনের কিয়োটো সবজির ব্যবহার আবারো ফিরে আসছে।[৬]