জিয়া কারাঞ্জি
জিয়া মারি কারাঞ্জি (ইংরেজি: Gia Marie Carangi) (২৯ জানুয়ারি, ১৯৬০ – ১৮ নভেম্বর, ১৯৮৬) একজন মার্কিন ফ্যাশন মডেল। তার কাজের সময় ছিলো ১৯৭০-এর দশকের শেষ থেকে ১৯৮০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত। তার বাবা ছিলেন ইতালীয় আমেরিকান ও মা ছিলেন ওয়েলস বংশদ্ভূত আইরিশ আমেরিকান। কারো কারো মতে কারাঞ্জিকে বিশ্বের প্রথম সুপারমডেল হিসেবে ধরা হয়।[১][২] যদিও এই উপাধিটি আরো যে সকল মডেলকে দেওয়া হয়েছিলো, তাদের মধ্যে আছেন, জেনিস ডিকিনসন,[৩] ডোরিয়া লি,[৪] এবং সিন্ডি ক্রফোর্ড; যাঁদের সবাইকে সেসময়ের ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোর প্রচ্ছদে দেখা যেতো, কিন্তু পরবর্তীতে জিয়ার সাদৃশ্যতা অবলম্বন করায় তাদের সবাইকে ‘শিশু জিয়া’ (‘Baby Gia’) নামে অভিহিত করা হয়।
জিয়া কারাঞ্জি | |
---|---|
জন্ম | জিয়া মারি কারাঞ্জি |
মডেলিং তথ্য | |
উচ্চতা | ৫'৭" (১৭০ সে.মি.) |
চুলের রঙ | বাদামী |
চোখের রঙ | বাদামী |
কারাঞ্জিকে বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ-এর একাধিক সংখ্যাসহ (ভোগ ১ এপ্রিল, ১৯৭৯; ভোগ প্যারিস এপ্রিল, ১৯৭৯; অ্যামেরিকান ভোগ আগস্ট ১৯৮০; ভোগ প্যারিস আগস্ট ১৯৮০; ইতালীয় ভোগ জানুয়ারি ১৯৮১) কসমোপলিটান ম্যাগাজিনেরও ১৯৮২-৮২ সালের একাধিক সংখ্যার প্রচ্ছদে দেখা গেছে।
হিরোইনে আসক্ত হবার পর কারাঞ্জির পেশাজীবনে অধঃপতন শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি এইচআইভি দ্বারা সংক্রমিত হন, ও এইডসে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সে এই ফ্যাশন মডেলের জীবনাবসান ঘটে। তার মৃত্যুর খবর ভালোভাবে প্রকাশিত হয় নি, এবং শুধুমাত্র ফ্যাশন শিল্পের সাথে জড়িত কয়েকজন মানুষ তার মৃত্যুর খবর জানতেন। বিখ্যাত নারীদের মধ্যে এইডস-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার ঘটনাগুলোর মধ্যেও কারাঞ্জিরটা অন্যতম।[১] তার জীবন ও মৃত্যুর উপর ভিত্তি করে জিয়া নামের চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ছবিটি ১৯৯৮ সালে এইচবিও-তে প্রচারিত হয়।
মৃত্যু
কারাঞ্জি এইডসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা ছিলো সে সময়ের নতুন প্রচারণা পাওয়া একটি রোগ। যখন তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে তখন তাকে ফিলাডেলফিয়ার হ্যানিম্যান ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়। তার মা দিন-রাত কারাঞ্জির সাথে থাকতেন, সেখানে কোনো দর্শকের প্রবেশের অনুমতি ছিলো না।[৫]
১৯৮৬ সালের ১৮ নভেম্বর, সকাল দশটায় কারাঞ্জি এইডস সংক্রান্ত জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন। তখন তার বয়স ছিলো ২৬ বছর।[৬] ২১ নভেম্বর, ফিলাডেলফিয়ার বাড়িতে দেহবশেষ সহকারে তার অন্তেষ্ট্রিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। অন্তেষ্টিক্রিয়া পরিচালক তার মাকে এইডস-এর ধ্বংসকামনায় এভাবে অন্তেষ্টিক্রিয়া করার পরামর্শ দেন। ফ্যাশন বিশ্বের কেউ সেখানে যোগ দেন নি,[২] যদিও সপ্তাহ কয়েক পরে স্ক্যাভুলো মৃত্যুর খবর পেয়ে কারাঞ্জির মা'কে একটি ম্যাস কার্ড পাঠিয়েছিলেন।[৭]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- কার্লিতে জিয়া কারাঞ্জি (ইংরেজি)
- জিয়া কারাঞ্জি - ফ্যাশন মডেল ডিরেক্টরি
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে জিয়া কারাঞ্জি (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে জিয়া কারাঞ্জি (ইংরেজি)