ডেস্কটপ কম্পিউটার

দৈনন্দিন ব্যবহারের ব্যক্তিগত কম্পিউটার যেগুলো একটি টেবিল বা ডেস্কে রাখা যায়

একটি "ডেস্কটপ কম্পিউটার" হল একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা দৈনন্দিন কাজে একটি মাত্র জায়গায় (সাধারণত ডেস্ক বা টেবিল) রেখে ব্যবহার করা যায় এমন কম্পিউটার। এর আকার এবং বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজনীয়তার কারণে এটি ল্যাপটপ কম্পিউটারের ঠিক বিপরীত। ডেস্কটপ কম্পিউটারে সাধারণত মনিটর, কিবোর্ড, মাউস এবং একটি বাক্স থাকে। বাক্সে কম্পিউটারের মূল অংশগুলো থাকে যেমন: পাওয়ার সরবরাহকারী, মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, অপটিক্যাল ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভ ইত্যাদি। বাক্সটির আকার সাধারণত ঊর্ধ্বমুখী খাড়া টাওয়ারের মত হয় তবে আনুভূমিকও দেখা যায়। আবার কতকগুলো হয় ছোট আকৃতির। বর্তমানে একের-মধ্যে-সব এমন কম্পিউটারগুলোতে মনিটর এবং পিসির সব উপাদানগুলো একসাথে একটি মাত্র বাক্সে পাওয়া যায়। এগুলোকে ডেস্কটপ হিসেবে গন্য করা হয়, বিশেষভাবে তখন, যখন এগুলো চালানোর জন্য বাহিরের বৈদ্যুতিক সংযোগ ও আলাদা কিবোর্ড, মাউস লাগে। ডেস্কটপ কম্পিউটারের শ্রেণিতে হোম কম্পিউটার এবং ওয়ার্কস্টেশন গুলোকেও ধরা হয়।

প্রাথমিক ডেস্কটপ কম্পিউটার সিস্টেম

ইতিহাস

উৎপত্তি

একটি পরিশীলিত প্রোগ্রাম করা যায় এমন ক্যালকুলেটর, প্রথমদিকের এইচপি ৯৮৩০এ ডেস্কটপ কম্পিউটারগুলো ছিল আসলে প্রিন্টারসহ ডেস্কটপ কম্পিউটার

মাইক্রোপ্রসেসরের বহুল ব্যবহারের পূর্বে, একটি কম্পিউটার যখন ছোট বলা হত বা একটি কম্পিউটার একটি ডেস্কে বসানো যেত আসলে সেগুলো ছিল মিনিকম্পিউটার। সেগুলো একেকটাই ডেস্কের সমান বড় ছিল। প্রথম দিকের কম্পিউটারগুলো একটি কক্ষের সমান বড় ছিল। সে তুলনায় তখনকার মিনিকম্পিউটার সাধারণ ফ্রিজের মত র‍্যাকের পরিমাণ জায়গা নিত কয়েকটি ।

একেবারে প্রথম "প্রোগ্রাম করা যায় এমন ক্যালকুলেটর/কম্পিউটারের" বাজারজাত করা হয় ১৯৬০ দশকের দ্বিতীয়ভাগে। শুরু হয়েছিল ইতালীয় যান্ত্রিক প্রোগামা ১০১ (১৯৬৫) যার আকার ছিল একটি টাইপরাইটারের সমান।[১] ১৯৭১ সালে আরও ডেস্কটপের মডেল বাজারে আসে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭২ সালে, বাজারে বেসিক দিয়ে প্রোগ্রামিং করা যায় এমন একটি মডেল আসে[২]। এই মডেলটিতে মিনিকম্পিউটারের ছোট আকৃতি দেখা যায়। এতে রম, ছোট আকারের এক লাইনের এলইডি (বর্ন ও সংখ্যা দেখার জন্য) ছিল। প্লটারের সাহায্যে এগুলো কম্পিউটারে প্রস্তুতকৃত গ্রাফিক্স বের করা যেত।[২]

সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন

জনপ্রিয়তা

১৯৮০ এবং ১৯৯০ দশকে ডেস্কটপ কম্পিউটার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল আইবিএমের পিসি এবং এটির কৃত্রিমগুলো। তারপরে ছিল এ্যপলের মেকিনটোস[৩] এবং তারপর ছিল কমোডোর এমিগা। কমোডোর ১৯৮০ দশকের মধ্যভাগে জনপ্রিয়তা পায় এবং ১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।

প্রথম দিকের কম্পিউটারগুলো, যেমন আইবিএমের কম্পিউটারগুলো, সাজানো হত একটি অনুভূমিক বাক্সের উপর মনিটর বসিয়ে। সেসময় সিআরটি মনিটরগুলোর ব্যাপক ব্যবহার ছিল। আর বাক্সটি খুব শক্ত ধাঁচের ছিল যাতে সেটি মনিটরের ভার বহন করতে পারে। বাক্সগুলো অনুভূমিক বসানোর আরেকটি কারণ ব্যবহারকারীর জায়গা বাঁচানো। নব্বই দশকেই অনুভূমিক বাক্সটির ব্যবহার কমে আসতে শুরু করে। তখন উর্ধমুখি বাক্সের প্রচলন শুরু হয় যা ডেস্কের পাশেই মেঝেতে রাখা যেত। এই বাক্সগুলোতে পরবর্তী সময়ে আরও যন্ত্রাংশ লাগানোর মত অনেক জায়গা ছিল। এতে করে আরও একটি সুবিধা হল মনিটরের রাখার জন্য কারণ মনিটরগুলো বছরকে বছর বড় আর ভারি হচ্ছিল। বাণিজ্যিক, যৌথ মালিকানাধীন এবং ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেস্কটপের উর্ধমুখি বাক্সগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তখন কিছু কিছু ডেস্কটপের বাক্স উভয়ভাবে ব্যবহার করা যেত যেমন, কোয়াড্রা ৭০০।

সেসময়ে জনপ্রিয় কিছু গেম যেমন ডুম এবং কোয়াকের কারণে গেমপ্রেমী ও বিলাসী ক্রেতারা দ্রুত সিপিইউ এবং গ্রাফিক্স কার্ড বারবার বদলাতে থাকে। নতুন নতুন সিপিইউ আর গ্রাফিক্স কার্ড তাদের লক্ষ্যে পরিনত হয়। তবে ২০০০ সালের শুরুর দিকে এ স্রোতে ভাটা পড়ে। কারণ তখন ইন্টেল ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স গেম তৈরী করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে ভাবতে দেয়।

হ্রাস

পিসির জন্য ডেস্কটপই সাধারণত বেছে নেয়া হত[৪][৪] মধ্য-২০০০ এ ডেস্কটপথেকে আগ্রহ ল্যাপটপের দিকে ধাবিত হয়। [৫] কিন্তু এই ধারা কমে যায় যখন ২০০০ দশকের মধ্যভাগে ল্যাপটপের প্রতি মানুষের ঝোঁক বৃদ্ধি পায়। উল্লেখযোগ্যভাবে যখন বেশিরভাগ ডেস্কটপ প্রস্তুত হত আমেরিকায়, সেখানে ল্যাপটপের উৎপাদন বেশি হত চায়না ভিত্তিক, এতে করে ২০১০ সাল নাগাদ আমেরিকার অনেক ডেস্কটপ উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। অন্য আরেকটি প্রবণতা হল, ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী ডেস্কটপ কেনা এবং ব্যবহার। যেমন ডেল তাদের বিল্ড-টু-অর্ডার ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ডেস্কটপ তৈরী করে নিতে পারত।[৬]

১৯৮৬ সালে, ব্যাটারির মাধ্যমে চলে এমন পোর্টবল বা বহনযোগ্য কম্পিউটারের সংখ্যা ছিল পুরো কম্পিউটার বাজারের ২ ভাগ মাত্র[৭]। কিন্তু ল্যাপটপ ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় ক্ষেত্রে[৭] However, laptops have become increasingly popular, both for business and personal use.[৮]। ২০০৭ সালে প্রায় ১০৯ মিলিয়ন নোটবুক পিসি সারা বিশ্বে ছাড়া হয়। ২০০৬ সালের তুলনায় যা ৩৩ ভাগ বেশি[৯]। ২০০৮ সালে ১৪৫.৯ মিলিয়ন নোটবুক বিক্রি হবে বলে ধারণা করা হয়। এবং ২০০৯ সালে তা বেড়ে ১৭৭.৭ মিলিয়ন হবে বলে ধারণা করা হয়[১০]। ২০০৮ সালের মোট বছরের চতুর্থাংশের মধ্যে তৃতীয় ভাগেই বিশ্বব্যাপি নোটবুক পিসি ডেস্কটপকে ছাড়িয়ে যায়। যার পরিমাণ ছিল ৩৮.৬ মিলিয়ন আর ডেস্কটপ ছিল ৩৮.৫ মিলিয়ন।[৮][১১][১২][১৩]

এ্যপল কোম্পানির ডেস্কটপ ম্যাকের বিক্রয় তথ্য বিশ্লেষন করে দেখা যায়, ডেস্কটপের বিক্রয় নোটবুকের থেকে কম হয়েছে। ২০০৯ সালে ১০টির মধ্যে ৭টিই ছিল ম্যাকবুক। ২০১০ সালে এটি ৪:৩ হবে বলে ধারণা করা হয়। এই ধরনের বিক্রয়ের কারণ হিসেবে বলা হয় আকৃতিগত কারণসহ আরও কয়েকটি কারণ দায়ি যেমন আইম্যাক জি৩ থেকে আইম্যাক জি৪ এ আসা, একই সাথে একের-মধ্যে-সব বাজারে ছাড়া ইত্যাদি।

বেশিরভাগ মানুষই ইতোমধ্যে ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করছে যা তাদের চাহিদা মেটাচ্ছে এবং এতে করে নতুন কেনার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে না। এখানে উল্লেখ্য যে, আগের উইন্ডোজের ভার্সনগুলো, ১৯৯০ দশকের সময়, চালাতে গেলে পিসির পরিবর্তন করতে হত বা পরিবর্তন ক্রেতারা করতে চাইত কিন্তু উইন্ডোজ ভিসতা ২০০০ দশকে এক্সপির পর চালু করলে তা কমে যায়। সাম্প্রতিক বিশ্লেষনে, বিশ্লেষকরা বলেছেন উইন্ডোজ ৮ পিসির বিক্রয়কে ব্যহত করছে[১৪], কারণ বেশিরভাগই উইন্ডোজ ৭ বেছে নিচ্ছেন, উইন্ডোজ ৮ এ যাবার বদলে। কেউ কেউ বলেছেন যে মাইক্রোসফট ইচ্ছা করে ডেস্কটপের এই মৃত্যু ডেকে এনেছেন, কারণ উইন্ডোজ ৮ খুব কম যান্ত্রিক উন্নয়ের সুযোগ রেখেছে, উইন্ডোজ ৭ থেকে। তাছাড়া এটি মোবাইলের পরিবেশকে মাথায় রেখে তৈরী করা হয়েছে। তাই সুযোগ সুবিধাগুলো বেশিরভাগই মোবাইলের দিকে।[১৫]

পিসির পরবর্তি প্রবণতা থেকে দেখা যায় ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের বিক্রয়ে ক্রমশ অবনতি ঘটছে।[১৪][১৬] এই অবনতির কারণ হিসেবে কম্পিউটিং যন্ত্রাংশের বিকল্প শক্তিশালী ও ব্যবহারিক যন্ত্রাংশ যেমন র্স্মাটফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার আসার ফলে হয়।[১৭] যদিও এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় সাধারণ কাজ কর্ম যেমন সামাজিক যোগাযোগ, অবসরে গেমিং ও যোগাযোগের কাজে। এই যন্ত্রাংশগুলো না থাকলে হয়ত কোন দ্বিতীয় বা তৃতীয় পিসি এগুলোর জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভারি এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে একটি ডেস্কটপ সবার কাছেই রয়েছে।[১৮]

পিসির আকৃতিগত দিক থেকে ডেস্কটপের ব্যবহার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এখনো একই যেখানে বাড়িতে ব্যবহারকারীদের মধ্যে তা কমে গেছে। পিসি প্রস্তুতকারক এবং খুচরা বিক্রেতারা ল্যাপটপ ব্যবহার ও উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এতে বিনিয়োগও করছেন। প্রথমদিকে নেটবুকগুলোতে (২০০০ দশকের শেষের দিকে) তারপর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আল্ট্রাবুকগুলোতে (২০১১ সালের পর থেকে)। প্রস্তুতকারকরা ভাবছেন ডেস্কটপের চেয়ে ল্যাপটপেই সম্ভবনা বেশি[৪]

প্রকারভেদ

একের-মধ্যে-সব

একটি একের-মধ্যে-সব ডেস্কটপ পিসি কম্পিউটার সিস্টেমের সব উপাদানগুলোকে একটি বাক্সে সন্নিবেশিত করে যাতে করে, বর্তমানের ডেস্কটপের তুলনায়, বাড়তি তার বা ক্যাবলের ঝামেলা এড়ানো যায়। এতে করে কম জায়গা লাগে, বহনসুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলোর বাহিরের বৈদ্যুতিক শক্তি লাগে এবং এগুলোকে অবশ্যই টেবিল বা ডেস্কে বসিয়ে আলাদা কিবোর্ড এবং মাউস লাগিয়ে ব্যবহার করতে হয়। এদিক থেকে এগুলো ল্যাপটপের (যাতে কিবোর্ড, মাউস পয়েন্টার বা টাচ প্যাড এবং ব্যাটারি থাকে) চেয়ে কম বহন সুবিধা সম্পন্ন।

এধরনের একের-মধ্যে-সব কম্পিউটার ১৯৮০ দশকেই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু এগুলো পেশাগত কাজে ব্যবহার করা হত। যেমন কেইপ্রো ২, অসবর্ন ১, টিআরএস-৮০ মডেল ২ এবং কমপেক পোর্টেবল। অনেক বাড়িতে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য কম্পিউটার প্রস্তুতকারী যেমন কমোডর এবং আটারি, মাদারবোর্ড কিবোর্ডের দেয়ালে সেঁটে দেয়, এধরনের সিস্টেমগুলো প্রায়শই টেলিভিশনের সাথে জুড়ে দেয়া হত প্রদশর্নি পাওয়ার জন্য। এ্যপলেরই কয়েকটি জনপ্রিয় একের-মধ্যে-সব কম্পিউটারের মডেল রয়েছে। যেমন ১৯৮০ দশকের মধ্যভাগে আসল মেকিনটোশ এবং ১৯৯০ এবং ২০০০ দশকের শেষেরভাগে আইম্যাক। ২০০০ দশকের প্রথমদিকে, একের-ভিতর-সব নকশায় পরিবর্তন আসে। এসময় ফ্ল্যাট প্যানেলের প্রর্দশনী যোগ করা হয় ২০১২ সালের শেষের দিকে কিছু মডেলে স্পর্ষ দিয়ে চালন ক্ষমতা যোগ করা হয়।

এই রকম কিছু ডেস্কটপ যেমন আইম্যাক জি৪ ল্যাপটপে ব্যবহৃত উপাদান ব্যবহার করে আকৃতি কমানোর জন্য[১৯]। ল্যাপটপের মত কিছু একের-মধ্যে-সব ডেস্কটপ কম্পিউটারও পরবর্তীকালে সম্প্রসারণ করা যায় না, যেহেতু সিস্টেম বাক্সে জায়গা থাকে না (র‍্যাম ও হার্ডডিস্ক ব্যতিক্রম)। এই সমস্যার সমাধানে এখনকার নতুন মডেলগুলো তৈরীর সময় এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে সহজে সম্প্রসারণ করা যায়।[২০]

ল্যাপটপের সাথে তুলনা

ল্যাপটপ

ল্যাপটপের তুলনায় ডেস্কটপের সুবিধা আছে, যেহেতু বিভিন্ন আনুষঙ্গিক অংশ এবং সম্প্রসারণ উপযোগী যন্ত্রগুলো সাধারণ মানের করা হয়, ফলত এগুলো বাজারে পাওয়া যায় এবং দামও কম হয়। উদাহরনসরূপ, মাদারবোর্ডের আকার এবং বসানোর সাধারণ মান হল এটিএক্স, মাইক্রোএটিএক্স, বিটিএক্স ও অন্যান্য। আরও আছে সম্প্রসারণের জন্য স্লট যেমন পিসিআই বা পিসিআই এক্সপ্রেস যেখানে ল্যাপটপে শুধু একটি মিনি পিসিআই স্লট বা একটি পিসি কার্ড বা পিসি এক্সপ্রেস কার্ড স্লট থাকে। ডেস্কটপের লাগানো বা খোলা একদম সহজ ল্যাপটপের তুলনায়। ল্যাপটপের কোন অংশ নতুন করে লাগাতে গেলে ঝামেলা করতে হয় তবে অপটিক্যাল ড্রাইভ, হার্ড ড্রাইভ অথবা নতুন র‍্যাম লাগাতে সমস্যা হয় না। তাই গেম প্রেমীদের এবং বিলাসী কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে ডেস্কটপই জনপ্রিয়।

আরেকটি ডেস্কটপের সুবিধা হল বিদ্যুতের ব্যবহার। ডেস্কটপে বিদ্যুতের ব্যবহারের নকশা ল্যাপটপের মত জটিল নয়, কারণ ডেস্কটপকে বাহিরের দেয়ালের সকেট থেকে বিদ্যুত দেয়া হয়। ডেস্কটপে বেশি জায়গা পাওয়া যায় ফ্যানের জন্য এবং বাতাস আসা যাওয়া করার জন্য। এতে করে তাপ সহজে বের হতে পারে, ঝুকি কমে যায়। দুটি বড় মাপের মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাতা, ইন্টেল এবং এএমডি, ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের জন্য আলাদা মাইক্রোপ্রসেসর তৈরী করেছে তাদের কার্য পরিচালনার সময় বিদ্যুতের ব্যবহার করার উপর ভিত্তি করে। ল্যাপটপের সিপিইউ কম বিদ্যুত ও তাপ উৎপন্ন করে ডেস্কটপের তুলনায়।

বিপরীতভাবে, ল্যাপটপ বহনযোগ্যতা দেয় ডেস্কটপে যা সম্ভব নয়। কারণ এগুলো বড় এবং ভারি হয়। ল্যাপটপ এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয়। এতে কোন বাড়তি বিদ্যুতও লাগে না কারণ ব্যটারি দ্বারা এটি চালিত হতে পারে।

ল্যাপটপে তারবিহিন প্রযুক্তি দেয়া হয় যেমন ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ৩জি যাতে করে ইন্টারনেট ও অন্যান্য যুক্ত করার ব্যবস্থা সহজ হয়। কিন্তু ডেস্কটপে এই সুবিধা অপ্রতুল। বর্তমানে কিছু কিছু ডেস্কটপে এই ধরনের একটি দুটি সুবিধা পাওয়া যায়।

একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের ইউপিএস প্রয়োজন হয় বৈদ্যুতিক উঠা নামা, শর্ট সার্কিট, ব্ল্যাকআউট এবং স্ফুলিঙ্গ প্রভৃতি সমস্যা মোকাবেলার জন্য। তাছাড়া ডেস্কটপের জন্য ইউপিএস হতে হয় ২০-৩০ মিনিট ধরে চলতে পারে এমন ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যটারির, যেগুলো আবার দামি হয়[২১][২২]। ল্যাপটপে এমন সমস্যা হয় না। ল্যাপটপের ব্যাটারি একবার চার্জেই কয়েক ঘণ্টা চলতে পারে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ