থাইল্যান্ডের ভূগোল

থাইল্যান্ড অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মূল ভূখণ্ডের মাঝখানে। এটির মোট আয়তন ৫,১৩,১২০ কিমি (১,৯৮,১২০ মা) হওয়ায় এটি বিশ্বের ৫০ তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস এবং মালয়েশিয়ার সাথে এই দেশটির স্থলভাগের সীমানা ৪,৮৬৩ কিমি (৩,০২২ মা) দীর্ঘ। থাইল্যান্ডের সমাজ ও সংস্কৃতির অনেক দিকই প্রভাবিত হয়েছে দেশটির অক্ষাংশগত অবস্থান দ্বারা। [১] এশিয়া থেকে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর এর একমাত্র স্থলপথটির নিয়ন্ত্রণ এই দেশটির অধিকারে রয়েছে। দেশটিতে একটি একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে যার আয়তন ২,৯৯,৩৯৭ কিমি (১,১৫,৫৯৮ মা)।

থাইল্যান্ডের ভূগোল
থাইল্যান্ডের উপগ্রহ দৃশ্য
থাইল্যান্ডের উপগ্রহ দৃশ্য
মহাদেশএশিয়া
অঞ্চলদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
স্থানাঙ্ক
আয়তন৫০ তম
 • মোট৫,১৩,১২০ কিমি (১,৯৮,১২০ মা)
 • স্থলভাগ99.57%
 • জলভাগ0.43%
উপকূলরেখা৩,২১৯ কিমি (২,০০০ মা)
সীমানা৪,৮৬৩
সর্বোচ্চ বিন্দুডই ইন্থানন
২,৫৬৫ মি (৮,৪১৫ ফু)
সর্বনিম্ন বিন্দুথাইল্যান্ড উপসাগর
০ মি (০ ফু)
দীর্ঘতম নদীকাই নদী
১,০৪৭ কিমি (৬৫১ মা)
বৃহত্তম হ্রদসংগ্খলা হ্রদ
১,০৪০ কিমি (৪০০ মা)
জলবায়ুবেশিরভাগ ক্রান্তীয় সিক্ত এবং শুষ্ক বা সাভানা জলবায়ু
ভূখণ্ডউঁচু পর্বতমালা, একটি কেন্দ্রীয় সমভূমি এবং একটি উচ্চ মালভূমি
প্রাকৃতিক বিপত্তিসমূহখরা, সমুদ্র স্তর বৃদ্ধি, ভূমি ক্ষয়
এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক অঞ্চল২,৯৯,৩৯৭ কিমি (১,১৫,৫৯৮ মা)
থাইল্যান্ডের বিশদ মানচিত্র
থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ায় মৌসুমী বন্যা

অঞ্চলসমূহ

থাইল্যান্ডের ছয়টি ভৌগোলিক অঞ্চলের মানচিত্র

ভূমির গঠন আকৃতি ও নিকাশী সহ দেশটির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং মানুষের সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলির ভিত্তিতে থাইল্যান্ডকে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল ছয়টি ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সেগুলি হ'ল: উত্তর অঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্য অঞ্চল, পূর্ব অঞ্চল, পশ্চিম অঞ্চল এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণ অঞ্চল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যদিও ব্যাংকক ভৌগোলিকভাবে কেন্দ্রীয় বা মধ্য সমভূমির একটি অংশ তবুও অন্য দিক থেকে দেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হিসাবে এই মহানগর অঞ্চলটি একটি পৃথক অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। [১] ছয়টি ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রতিটিই জনসংখ্যায়, মৌলিক সম্পদসমূহে, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের স্তরের দিক দিয়ে পৃথক। [১] অঞ্চলগুলির বৈচিত্র্য আসলে থাইল্যান্ডের প্রাকৃতিক বিন্যাসের সবচেয়ে প্রকাশ যোগ্য বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচিত হয়। [১]

থাইল্যান্ডের দক্ষিণ অঞ্চল

দক্ষিণ থাইল্যান্ড একটি সংকীর্ণ উপদ্বীপের অংশ যেটি জলবায়ু, ভূখণ্ড এবং সম্পদে স্বতন্ত্র। [১] এর অর্থনীতি পর্যটন, পাম তেল এবং রাবার চাষের উপর ভিত্তি গড়ে উঠেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] উদাহরণ হিসাবে বলা যায় পাম আবাদের জন্য ক্রাবি প্রদেশ এ পাম আবাদ ৯৮০,০০০ রাই (১,৫৬৮ কিমি) জমি দখল করেছে যা প্রদেশটির খামার জমির ৫২%। [২] আয়ের অন্যান্য উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে নারকেল চাষ, খনিজ টিন উৎখনন। [১] ঘোরানো পার্বত্য অঞ্চল এবং বৃহৎ নদীর অনুপস্থিতি এই দক্ষিণের অংশটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য। [১] উত্তর-দক্ষিণের পার্বত্য বাধা এবং দুর্ভেদ্য ক্রান্তীয় অরণ্যের কারণে এই অঞ্চলটির প্রাথমিক বিচ্ছিন্নতায় পৃথক রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটাতে দেখা যায়। [১] আন্দামান সাগর ও থাইল্যান্ডের উপসাগর দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রবেশাধিকারের কারণে নাখ সি থামারত কেন্দ্রিক থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম এবং ইসলাম বিশেষ করে মালয়েশিয়ার সীমান্তে পূর্বতন পাত্তানি রাজ্য এ বিস্তার লাভ করেছে। [১]

প্রদেশসমূহ

থাইল্যান্ডের অঞ্চলগুলি রাজনৈতিকভাবে মোট ৭৬ টি প্রদেশে বিভক্ত এবং তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ব্যাংকক যা একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল বিশেষ।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ