নালন্দা জেলা

১৯৭৬ সালে পাটনা জেলা ভেঙে নালন্দা জেলা গঠিত হয়েছিল।^[১]

নালন্দা জেলার আয়তন ২,৩৫৫ বর্গকিলোমিটার (৯০৯ মা^২)।^[২] আয়তনে এই জেলা কানাডার কর্নওয়াল দ্বীপের সমান।^[৩] ফল্গু, মোহানে, জিরায়ন ও কুম্ভারি নদী এই জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নালন্দা জেলা পাটনা বিভাগের অন্তর্গত।

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, নালন্দা জেলার জনসংখ্যা ২,৮৭২,৫২৩।^[৪] জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলা জামাইকা রাষ্ট্রের^[৫] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস রাজ্যের প্রায় সমান।^[৬] ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ১৩৪তম।^[৪] জেলার জনঘনত্ব ১,২২০ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩,২০০ জন/বর্গমাইল)।^[৪] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২১.১৮%।^[৪] নালন্দা জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯২১ জন মহিলা^[৪] এবং সাক্ষরতার হার ৬৬.৪১%।^[৪]

ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নালন্দায় একটি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এটি ভারতের ৪১টি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির অন্যতম। এখানে আর্টিলারি শেল তৈরি হয়।^[৭][৮] ২০০৬ সালে পঞ্চায়েত মন্ত্রক দেশের যে ২৫০টি সর্বাধিক অনগ্রসর জেলার তালিকা প্রস্তুত করে, এই জেলা তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়।^[৯] বিহারের যে ৩৬টি জেলা অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির অধীনে অনুদান পায়, নালন্দা জেলা তার অন্যতম।^[৯]

নালন্দা জেলা তিনটি মহকুমায় বিভক্ত। এগুলি হল: বিহার শরিফ, রাজগির, হিলসা। এই মহকুমাগুলি আবার ২০টি ব্লকে বিভক্ত। এগুলি হল: গিরিয়াক, রাহুই, অজয়পুর মুরসরাই, হরনউত, চণ্ডী, ইসলামপুর, রাজগির, আস্থাওয়ানি সারমেরা, হিলসা, বিহার শরিফ, একাঙ্গসরাই, বেনা, নগরনউসা, কারাই পারসরাই, সিলাও, পারওয়ালপুর, কাতরিসরাই, বিন্দ ও থরথরি।

১৮৭৮ সালে নালন্দায় রাজগির বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গঠিত হয়। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ৩৬ কিমি^২ (১৩.৯ মা^২)।^[১০]

প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ এই জেলার একটি প্রধান পর্যটন আকর্ষণ।

• Nalanda Information Portal

টেমপ্লেট:Patna Division