চিঠি
চিঠি বা পত্র হলো একজনের পক্ষ থেকে অন্যজনের জন্য লিখিত তথ্যধারক বার্তা। চিঠি দুজন বা দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখে; বন্ধু ও আত্মীয়দের আরও ঘনিষ্ট করে, পেশাদারি সম্পর্কের উন্নয়ন করে এবং আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেয়। স্বাক্ষরতা টিকিয়ে রাখতেও একসময় চিঠির অবদান ছিল।[১] প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চিঠি আদানপ্রদান করেছে, ইলিয়াডে তার উল্লেখ ছিল।[২] হিরোডোটাস এবং থুসিডাইডিসের রচনাবলীতেও তা উল্লেখ করা হয়েছে।[৩]
চিঠি লেখার ইতিহাস
ঐতিহাসিকভাবে, চিঠির প্রচলন ছিল প্রাচীন ভারত, প্রাচীন মিশর, সুমের, প্রাচীন রোম, মিশর এবং চীনে, এবং এই ইন্টারনেটের যুগেও এর চল বর্তমান। সতের ও আঠারো শতকে চিঠি লেখা হতো স্ব-শিক্ষার জন্য। চিঠি ছিল পাঠচর্চা, অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা, বিতর্কমূলক লেখা বা সমমনা অন্যদের সাথে আইডিয়া বিনিময়ের পদ্ধতি। কিছু লোক চিঠিকে মনে করতো কেবল লেখালেখি। আবার অন্যরা মনে করে যোগাযোগের মাধ্যম। বাইবেলের বেশ কয়েকটি পরিচ্ছেদ চিঠিতে লেখা। অযক্তিগত, কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক- সবরকম চিঠিই পরবর্তীকালে ঐতিহাসিকগণ প্রাথমিক উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন। কখনোবা চিঠি এতো শৈল্পিক রূপ পায় যে তা সাহিত্যের একটি বর্গ হয়ে ওঠে, যেমন বাইজেন্টাইনে এপিস্টোলোগ্রাফি বা সাহিত্যের পত্র উপন্যাস।[৪]
চিত্রশালা
- আড়াআড়ি ও লম্বালম্বি দুভাবে লিখে চিঠির প্রেরক খরচ বাঁচাতে পারে।
- সিজার বোর্গিয়ার হাতে-লেখা একটি চিঠি।
- সান্তা ক্লজকে লেখা একটি শিশুর চিঠি।
- দি হাউন্ড অব দি বাস্কারভিল সম্বন্ধে আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা একটি চিঠি।
- ১৯৬১ সালে সিয়াটল স্পেস নিডলে আমন্ত্রণপত্র।
- রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগপত্র, ১৯৭৪।
- দ্য লেটার চিত্রকর্ম, ১৮৭৩
আরও দেখুন
- ঠিকানা
- খাম
- পাণ্ডুলিপি
- পত্রমিতা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- উইকিঅভিধানে চিঠি-এর আভিধানিক সংজ্ঞা পড়ুন।
- Letters as historical sources.
- The First English Family Letters at History Today.