পিটার সেলার্স

পিটার সেলার্স (ইংরেজি: Peter Sellers; ৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ - ২৪ জুলাই ১৯৮০) একজন ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, ও সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বিবিসি বেতারের হাস্যরসাত্মক অনুষ্ঠান দ্য গুন শো-এ অভিনয় করেন, একাধিক জনপ্রিয় হাস্যরসাত্মক গানে কণ্ঠ দেন এবং বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী পরিচিত অর্জন করেন। তার অভিনীত তিনটি বিখ্যাত চরিত্র হল দ্য পিঙ্ক প্যান্থার চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের ইনস্পেক্টর জাক ক্লুজো, ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ (১৯৬৪)-এর ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ, এবং ললিতা (১৯৬২)-এর অধ্যাপক ক্লেয়ার কুইল্টি।

পিটার সেলার্স
Peter Sellers
জন্ম
রিচার্ড হেনরি সেলার্স

(১৯২৫-০৯-০৮)৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৫
মৃত্যু২৪ জুলাই ১৯৮০(1980-07-24) (বয়স ৫৪)
পেশাঅভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী
কর্মজীবন১৯৪৮-১৯৮০
দাম্পত্য সঙ্গী
  • অ্যান হাউ
    (বি. ১৯৫১; বিচ্ছেদ. ১৯৬১)
  • ব্রিট একল্যান্ড
    (বি. ১৯৬৪; বিচ্ছেদ. ১৯৬৮)
  • মিরান্ডা কুয়ারি
    (বি. ১৯৭০; বিচ্ছেদ. ১৯৭৪)
  • লিন ফ্রেডেরিক
    (বি. ১৯৭৭; মৃ. ১৯৮০)
সন্তান৩, মাইকেল ও ভিক্টোরিয়া সেলার্স-সহ
পুরস্কারপূর্ণ তালিকা

পোর্টসমাউথে জন্মগ্রহণকারী সেলার্সের মাত্র দুই সপ্তাহ বয়সে সাউথসির কিংস থিয়েটারে মঞ্চে অভিষেক ঘটে। তিনি প্রাদেশিক মঞ্চে সফররত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার পিতামাতার সাথে যেতেন। তিনি শুরুতে ড্রামবাদক হিসেবে কাজ করেন এবং এন্টারটেইনমেন্টস ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে ইংল্যান্ড সফরে যান। তিনি অন্যের অনুকরণ রপ্ত করেন এবং রাফ রিডারের যুদ্ধকালীন গ্যাং শো এন্টারটেইনমেন্ট দলের সাথে ব্রিটেন এবং দূরপ্রাচ্য সফরে যান। যুদ্ধের পর শোটাইম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেলার্সের বেতারে অভিষেক ঘটে এবং এরপর তিনি বিবিসি বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত পরিবেশনা করতেন। ১৯৫০-এর দশকের শুরুতে সেলার্স স্পাইক মিলিগান, হ্যারি সেকোম্ব ও মাইকেল বেন্টিন সফল বেতার ধারাবাহিক দ্য গুন শো-এ অংশ নেন, যা ১৯৬০ সালে সমাপ্ত হয়।

সেলার্স ১৯৫০-এর দশকে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তিনবার একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, তন্মধ্যে ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ (১৯৬৪) ও বিয়িং দেয়ার (১৯৭৯) চলচ্চিত্রের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে এবং দ্য রানিং জাম্পিং অ্যান্ড স্ট্যান্ডিং স্টিল ফিল্ম (১৯৫৯)-এর জন্য একবার শ্রেষ্ঠ জীবন্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে। তিনি আ'ম অল রাইট জ্যাক (১৯৫৯) ও দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ধারাবাহিকের প্রথম চলচ্চিত্র দ্য পিঙ্ক প্যান্থার (১৯৬৩) চলচ্চিত্রের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং আরও তিনটি মনোননয়ন লাভ করেন। ১৯৮০ সালে তিনি তিনি বিয়িং দেয়ার চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং এই বিভাগে পূর্বে আরও তিনটি মনোনয়ন লাভ করেছিলেন। টার্নার ক্লাসিক মুভিজ সেলার্সকে "বিংশ শতাব্দীর শেষভাগের অন্যতম পরিপূর্ণ হাস্যরসাত্মক অভিনেতা" বলে অভিহিত করে।[১]

ব্যক্তিগত জীবনে সেলার্স হতাশা ও অনিশ্চয়তায় ভুগতেন। রহস্যময় ব্যক্তিত্বের অধিকারী সেলার্স প্রায়ই দাবী করতেন তিনি যে চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেন তার বাইরে তার কোন পরিচয় নেই। তার আচরণ প্রায়ই অসাবধানী ও ইচ্ছাবিরুদ্ধ ছিল, এবং তিনি প্রায়ই তার পরিচালক ও সহ-শিল্পীদের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতেন, বিশেষ করে ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন মদপান ও ঔষধ সেবনের কারণে তার শারীরিক ও মাসনিক অবস্থা খারাপ ছিল। সেলার্স চারবার বিয়ে করেন এবং তার দুই স্ত্রী ঘরে তার তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তিনি ১৯৮০ সালে ৫৪ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। ইংরেজ চলচ্চিত্র নির্মাতা বোল্টিং ভ্রাতৃদ্বয় সেলার্সকে "চার্লি চ্যাপলিনের পর এই দেশে সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ হাস্যরসাত্মক প্রতিভাবান" বলে আখ্যায়িত করেন।[২]

জীবনী

প্রারম্ভিক জীবন (১৯২৫-১৯৩৫)

সেলার্স ১৯২৫ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর পোর্টসমাউথের উপশহর সাউথসিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইয়র্কশায়ারে জন্মগ্রহণকারী উইলিয়াম "বিল" সেলার্স (১৯০০-১৯৬২) এবং মাতা অ্যাগনেস ডোরিন "পেগ" (বিবাহপূর্ব মার্কস, ১৮৯২-১৯৬৭)। তারা দুজনেই বিনোদনশিল্পী ছিলেন। পেগ রে সিস্টার্সের দলে কাজ করতেন। রিচার্ড হেনরি নামে তাকে অভিসিঞ্চিত করা হলেও তার পিতামাতা তাকে জন্মের পূর্বেই মারা যাওয়া তার বড় ভাইয়ের নাম পিটার নামে ডাকতেন।[৩] সেলার্স তাদের একমাত্র সন্তান ছিলেন।[৪] পিউগিলিস্ট ড্যানিয়েল মেন্ডোজা (১৭৬৪-১৮৩৬) পেগের আত্মীয় ছিলেন। এক সময় সেলার্স মেন্ডোজার চিত্র তার প্রযোজনা কোম্পানির লোগোতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিলেন।[৫]

প্রারম্ভিক অভিনয় (১৯৩৫-১৯৩৯)

পরিবারের সাথে বিভিন্ন মঞ্চানুষ্ঠানে সফর করে তিনি মঞ্চের কলাকৌশল রপ্ত করেন,[৬] কিন্তু তার পিতা তাকে এই কাজে উৎসাহিত করেননি। ফলে তিনি বিনোদন জগৎ নিয়ে মিশ্র অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সেলার্সের পিতা বিনোদন জগতে সেলার্সের দক্ষতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, এমনকি বলতেন তার পুত্রের প্রতিভা রাস্তার ঝাড়ুদার হওয়ার জন্যও যথেষ্ট নয়। তবে সেলার্সের মা তাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিতেন।[৭]

সেন্ট অ্যালোয়সিয়াস কলেজে পড়াকালীন সেলার্স উদ্ভাবনার দক্ষতা গড়ে তুলেন। তিনি ও তার সে সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্রায়ান কনন দুজনে বেতারের হাস্যরসাত্মক অনুষ্ঠান শুনতেন। কনন স্মরণ করেন যে, "পিটার মানডে নাইট অ্যাট এইট-এর ব্যক্তির অনুকরণ করে বিপুল আনন্দ পেতেন। তার মধ্যে সংলাপগুলো তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ভাবন করার দক্ষতা ছিল। স্কেচগুলোও। আমি কি করতে হবে তার ইঙ্গিত দিতাম এবং তিনি বেতার ব্যক্তিত্বদের অনুকরণ করত এবং তার নিজের উদ্ভাবিত কিছু কণ্ঠেও সংলাপ বলত।"[৮]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে, সেন্ট অ্যালোয়সিয়াস কলেজ খালি করে কেমব্রিজশায়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেলার্সের মা তাকে সেখানে যেতে দেননি,[৯] ফলে ১৪ বছর বয়সেই তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে।[১০] ১৯৪০-এর দশকের শুরুর দিকে তাদের পরিবার ইলফ্রাকম্বের উত্তর ডেভন শহরে চলে যায়, সেখানে সেলার্সের মামা ভিক্টোরিয়া প্যালেস থিয়েটারের ব্যবস্থাপক ছিলেন।[৯] ১৫ বছর বয়সী সেলার্স সেই থিয়েটারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ পান। তিনি ধীরে ধীরে বক্স অফিস কেরানি, প্রবেশক, সহকারী মঞ্চ ব্যবসাথাপক ও আলোক সম্পাতকারী হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।[১১] তাকে কিছু ছোটখাট চরিত্রে অভিনয়েরও প্রস্তাব দেওয়া হত।[১১] মঞ্চের পিছনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি পল স্কোফিল্ডের মত অভিনেতাদের অধ্যয়ন করার সুযোগ পান। ইতোমধ্যে ডেরেক অল্টম্যানের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা হয় এবং তারা একত্রে "অল্টম্যান অ্যান্ড সেলার্স" নামে ইউকুলেলে, গান গাওয়া ও কৌতুক পরিবেশনা সংবলিত সেলার্সের প্রথম মঞ্চ পরিবেশনা চালু করেন।[১১]

যুদ্ধ-পরবর্তী প্রারম্ভিক কর্মজীবন ও দ্য গুন শো (১৯৪৬-১৯৫৫)

১৯৪৮ সালের শেষভাগে বিবিসি থার্ড প্রোগ্রাম হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক থার্ড ডিভিশন প্রচার শুরু করে, এতে অন্যান্যদের মত হ্যারি সেকোম্ব, মাইকেল বেন্টিন ও সেলার্স পরিবেশনা করতেন।[১২] এক সন্ধ্যা সেলার্স ও বেন্টিন হ্যাকনি এম্পায়ার সফরে যান, সেখানে সেকোম্ব পরিবেশন করছিলেন। বেন্টিন সেলার্সকে স্পাইক মিলিগানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।[১৩] এই চারজন ভিক্টোরিয়ার নিকটস্থ বিবিসির কাহিনিকার জিমি গ্র্যাফটনের মালিকানাধীন গ্র্যাফটন্‌স পাবলিক হাউজে মিলিত হন। এই চার কৌতুকাভিনেতা গ্র্যাফটনের কেওজিভিওএস (কিপার অব গুনস অ্যান্ড ভয়েস অব স্যানিটি) ডাবিং করেন।[ক] গ্র্যাফটন পরবর্তীকালে দ্য গুন শো-র শুরুর কয়েকটি পর্ব সম্পাদনা করেছিলেন।[১৫]

প্রথম গুন শো[১৪] প্রচারিত হয় ১৯৫১ সালের ২৮শে মে।[১৬] তাদের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে তা ক্রেজ পিপল নামে প্রচারিত হয়।[৪]সেলার্স ১৯৬০ সালের ২৮শে জানুয়ারি প্রচারিত দ্য গুন শো-এর দশটি ধারাবাহিকের শেষ পর্ব পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।[১৪] সেলার্স চারটি প্রধান চরিত্র - মেজর ব্লাডনক, হারকিউলিস গ্রিটপাইপ-টাইন, ব্লুবটল ও হেনরি ক্রান এবং ১৭টি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৭] ব্রিটেনে ৩৭০,০০০ শ্রোতা নিয়ে শুরু করা অনুষ্ঠানটি ৭ মিলিয়ন শ্রোতা পর্যন্ত পৌঁছায়, এবং একটি সংবাদপত্র এই অনুষ্ঠানকে "সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী হাস্যরসাত্মক অনুষ্ঠান" বলে বর্ণনা করে।[১৮] বিবিসি অনুষ্ঠানটিকে সেলার্সের কর্মজীবনে তারকাখ্যাতি অর্জনে প্রভাব বিস্তারকারী বলে গণ্য করে।[১৯]

চলচ্চিত্রে শুরুর বছরগুলো ও আ'ম অল রাইট জ্যাক (১৯৫৬-৫৯)

সেলার্স চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং বেশ কিছু চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন, যেমন জন অ্যান্ড জুলি (১৯৫৫)-এ পুলিশ কর্মকর্তা।[২০] তিনি ১৯৫৫ সালে আলেকজান্ডার ম্যাকেন্ড্রিক পরিচালিত হাস্যরসাত্মক দ্য লেডিকিলার্স চলচ্চিত্রে আরও বড় চরিত্রে তার আদর্শ অ্যালেক গিনেসের সাথে অভিনয় করেন, তাদের সাথে হের্বের্ত লোম ও সেসিল পার্কারও ছিলেন। সেলার্স হ্যারি রবিনসন নামক এক টেডি বয় চরিত্রে অভিনয় করেন। জীবনীকার পিটার ইভান্স একে সেলার্সের প্রথম ভালো চরিত্র বলে গণ্য করেন।[২১] দ্য লেডিকিলার্স যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেই ব্যবসাসফল হয়,[২২] এবং শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্য বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।[২৩] পরের বছর সেলার্স আরও তিনটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন, সেগুলো হল দ্য ইডিয়ট উইকলি, প্রাইস টুডি; আ শো কলড ফ্রেড; ও সন অব ফ্রেড। অনুষ্ঠানগুলো ব্রিটেনের নতুন আইটিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়।[২৪] ১৯৫৭ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক মাইকেল রেফ ইডিয়ট উইকলি-তে সেলার্সের বৃদ্ধ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে ৩২ বছর বয়সী সেলার্সকে ব্যাসিল ডিয়ারডেনের দ্য স্মলেস্ট শো অন আর্থ চলচ্চিত্রে ৬৮ বছর বয়সী প্রক্ষেপক চরিত্রের জন্য নির্বাচন করেন। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন বিল ট্র্যাভার্স, ভার্জিনিয়া ম্যাকেনামার্গারেট রাদারফোর্ড[২৫] চলচ্চিত্রটি ব্যবসাসফল হয় এবং বর্তমানে যুদ্ধ-উত্তর ব্রিটিশ পর্দায় উপস্থিত কৌতুকাভিনয়ের ছোট ধ্রুপদী কর্ম বলে গণ্য হয়।[২৬] এরপর সেলার্স বাফটা পুরস্কার বিজয়ী দ্য ম্যান হু নেভার ওয়াজ চলচ্চিত্রে উইনস্টন চার্চিল চরিত্রে কণ্ঠ দেন।[২৭] ১৯৫৭ সালের শেষভাগে সেলার্স মারিও জাম্পির অফবিট ব্ল্যাক কমেডি দ্য নেকেড ট্রুথ চলচ্চিত্রে ছদ্মবেশ ধারণের প্রতিভাধর একজন টেলিভিশন তারকা চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন টেরি-টমাস, পেগি মাউন্ট, শার্লি ইটন ও ডেনিস প্রাইস।[২৮]

চলচ্চিত্রের তালিকা

পুরস্কার ও মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত চলচ্চিত্রসমূহ

চলচ্চিত্রবছরভূমিকাপুরস্কার
দ্য রানিং জাম্পিং অ্যান্ড স্ট্যান্ডিং স্টিল ফিল্ম১৯৫৯[খ]মনোনীত – স্বল্পদৈর্ঘ্য বিষয়বস্তু (জীবন্ত) বিভাগে একাডেমি পুরস্কার[২৯]
আ'ম অল রাইট জ্যাক১৯৫৯ফ্রেড কাইটজয়ী – শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার[৩০]
ওয়াল্ট্‌জ অব দ্য টোরেডর্স১৯৬২জেনারেল লিও ফিট্‌জনজয়ী – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে স্যান সেবাস্টিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার[৩১]
ললিতা১৯৬২ক্লেয়ার কুইল্টিমনোনীত – শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার
অনলি টু ক্যান পে১৯৬২জন লুইসমনোনীত – শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার[৩২]
দ্য পিঙ্ক প্যান্থার১৯৬৩ইনস্পেক্টর জাক ক্লুজোমনোনীত – সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার[৩৩]
মনোনীত – শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার[৩৪]
ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ১৯৬৪গ্রুপ ক্যাপ্টেন লিওনেল ম্যানড্রেক/
রাষ্ট্রপতি মার্কিন মাফলি/
ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ
মনোনীত – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার[৩৫]
মনোনীত – শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার[৩৪]
দি ওপটিমিস্টস অব নাইন এল্মস১৯৭৩স্যামজয়ী – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তেহরান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার[৩৬]
দ্য রিটার্ন অব দ্য পিঙ্ক প্যান্থার১৯৭৫ইনস্পেক্টর জাক ক্লুজোজয়ী – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পুরস্কার
মনোনীত – সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার[৩৭]
দ্য পিঙ্ক প্যান্থার স্ট্রাইকস অ্যাগেইন১৯৭৬ইনস্পেক্টর জাক ক্লুজোমনোনীত – সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার[৩৮]
বিয়িং দেয়ার১৯৭৯চান্সজয়ী – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার[৩৯]
জয়ী – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি পুরস্কার[৪০]
জয়ী – সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার[৪১]
জয়ী – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে লন্ডন চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি পুরস্কার
মনোনীত – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার[৪২]
মনোনীত – শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার[৪৩]

টীকা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ