পূর্ব তিমুরের অর্থনীতি

পূর্ব তিমুরের অর্থনীতি বলতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরের অর্থনীতিকে নির্দেশ করে যা পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্র অর্থনীতি। পূর্ব তিমুরের অর্থনীতিকে বিশ্বব্যাংক নিম্ন আয়ের অর্থনীতি হিসাবে চিহ্নিত করেছে।[১] এই দেশটি মানব উন্নয়ন সূচকের নিম্ন স্তর নির্দেশক মানে রয়েছে; মানব উন্নয়ন সূচকে এটি ১৫৮ তম অবস্থানে রয়েছে।[২] দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০%'ই বেকার[৩] এবং ৫২.৯% লোকের দৈনিক আয় ১.২৫ মার্কিন ডলার থেকেও কম।[২] পূর্ব তিমুরের প্রায় অর্ধেক অধিবাসী নিরক্ষর।[২]

২০১০ সালের আদমশুমারিকালীন সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ৮৭.৭% শহুরে এবং ১৮.৯% গ্রামীণ পরিবারে বিদ্যুৎ সরবরাহ রয়েছে, যার সামগ্রিক গড় ৩৬.৭%।[৪]

ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে কয়েক দশকব্যাপী অব্যাহত থাকা স্বাধীনতা সংগ্রামের ফলে দেশটি যুদ্ধ পরবর্তী সমস্যায় ভোগা অব্যাহত থাকে, যা এর অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলো এবং হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে উদ্বাস্তু করেছিলো।[৫]

২০০৭ সালে পূর্ব তিমুরে অনাফসলের কারণে বেশ কিছু অংশে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০০৭ সালের নভেম্বর এগারোটি উপজেলাতে তখনও আন্তর্জাতিক সাহায্য সরবরাহের প্রয়োজন ছিলো।[৬]

পূর্ব তিমুরে কোনও স্বত্বভোগী আইন নেই।[৭]

ইতিহাস

পূর্ব হতে এবং ঔপনিবেশিক কালেও তিমুর দ্বীপটি সুগন্ধি কাঠের জন্য সুপরিচিত ছিল। পর্তুগিজ ঔপনিবেশিক প্রশাসন ওসেনিক এক্সপ্লোয়ার কর্পোরেশনকে অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদন দেয়। তবে, ১৯৭৬ সালে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃক দখলের ফলে এটি হ্রাস পায়। ১৯৮৯ সালে তিমুর গ্যাপ চুক্তির ফলে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এর সম্পদ ভাগ হয়ে যায়।[৮] ১৯৭২ সালে তৎকালীন পর্তুগিজ তিমুরের সমুদ্রসীমার বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ভিত্তিতে উভয় দেশ "ফাঁক" এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠে যৌথ অনুসন্ধানের বিষয়টি নির্ধারণ করে নতুন চুক্তিতে।[৯] "যৌথ" এলাকা থেকে রাজস্ব বিভক্ত করা হয় ৫০% -৫০% হারে। উডসাইড পেট্রোলিয়াম এবং কনোকোফিলিপস ১৯৯২ সালে দুই সরকারের পক্ষ থেকে তিমুর গ্যাপের কিছু উন্নয়ন কাজ শুরু করে।

১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ৭০% অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ইন্দোনেশিয়ান সৈন্য ও স্বাধীনতা বিরোধী মিলিশিয়াদের দ্বারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল[৩] এবং ২,৬০,০০০ মানুষ পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায়। ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প যেটি বেসামরিক উপদেষ্টাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিলো সেটির অধীনে ৫,০০০ শান্তিরক্ষী (৮,০০০ সর্বোচ্চ) এবং ১,৩০০ পুলিশ কর্মকর্তা এই অবকাঠামোগুলি যথাসম্ভব পুনর্নির্মাণ করে। ২০০২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ প্রায় ৫০,০০০ শরণার্থী দেশে ফিরে আসেন।

উন্নয়ন প্রকল্প

তেল-গ্যাস

পূর্ব তিমুরের মূল সম্পদ হলো তেল ও গ্যাস। অস্ট্রেলিয়ার সাথে যৌথভাবে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করছে তারা।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ