বার্ট সাটক্লিফ
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বার্ট সাটক্লিফ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (১৯২৩-১১-১৭)১৭ নভেম্বর ১৯২৩ পনসনবি, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২০ এপ্রিল ২০০১(2001-04-20) (বয়স ৭৭) অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৪) | ২১ মার্চ ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ মে ১৯৬৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ |
বার্ট সাটক্লিফ, এমবিই (ইংরেজি: Bert Sutcliffe; জন্ম: ১৭ নভেম্বর, ১৯২৩ - মৃত্যু: ২০ এপ্রিল, ২০০১) অকল্যান্ডের পনসনবি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট ক্রিকেট তারকা ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে সফলতম খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন বার্ট সাটক্লিফ। এছাড়াও তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব করেন।
বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থাতেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ক্রিকেটার ছিলেন।[১] সেনাবাহিনীতে যোগদানের পূর্বে দুই বছর শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন।[২] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে মিশর ও ইতালিতে নিউজিল্যান্ডীয় সেনাবাহিনীতে কর্মকালীন সময়ে খেলতেন।[৩] বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে জাপানে দায়িত্ব পালনের পর নিউজিল্যান্ডে ফিরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন।[৪]
১৯৩১-৩২ মৌসুমে ওতাগোর সদস্যরূপে ক্রাইস্টচার্চে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে রজার ব্লান্টের মিনিট প্রতি অপরাজিত ৩৩৮ রান তোলার রেকর্ডটি পরবর্তীতে ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে বার্ট সাটক্লিফ ৩৮৫ রান তুলে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ প্রথম-শ্রেণীর ব্যক্তিগত সংগ্রহ হিসেবে নিজের করে নেন।
১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে অকল্যান্ডের সদস্যরূপে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে উদ্বোধনী জুটিতে ডন টেলরের সাথে মাঠে নামেন। উভয় ইনিংসেই তারা দুই শতাধিক রান তুলেন। খেলায় তারা ২২০ ও ২৮৬ রান করে উভয় ইনিংসের উদ্বোধনী জুটিতে দুই শতরান সংগ্রহ করে নতুন বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেন।[৫] প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করেন। খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৩৫ রান তুলেন। তার সহযোদ্ধা ডন টেলরের সংগ্রহ ছিল ৯৯ ও ১৪৩ রান।
২১ মার্চ, ১৯৪৭ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাটক্লিফের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে তার ব্যাটিং ক্রীড়ানৈপুণ্য সকলের নজর কাড়ে। সফরে তিনি চারটি অর্ধ-শতক ও একটি টেস্ট শতক হাঁকান। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। কলকাতায় অনুষ্ঠিত অভিষেক ঘটা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক ঘটা ব্রুস টেলরকে সাথে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৬৩ রান ওঠান। এ ইনিংসে সাটক্লিফের সংগ্রহ ছিল অপরাজিত ১৫১ রান ও ব্রুস টেলর করেছিলেন ১০৫ রান।
১৯৫০-এর দশকের প্রথমার্ধ্বে নিউজিল্যান্ড দলকে চার টেস্টে নেতৃত্ব দেন। তন্মধ্যে তিনটিতেই তার দল হেরে যায় ও একটি টেস্ট ড্রয়ে পরিণত হয়। অবশ্য তার বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবনে নিউজিল্যান্ড দল কোন জয়লাভে সক্ষম হয়নি।
১৯৪৯ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে পাঁচজন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই সালে নব-প্রবর্তিত বর্ষসেরা নিউজিল্যান্ডীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। ১৯৮৫ সালে নববর্ষের সম্মানে তাকে এমবিই পদবীতে ভূষিত করা হয়।[৬] এছাড়াও ১৯৪০-এর দশকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০০০ সালে তাকে দশকের সেরা নিউজিল্যান্ডীয় চ্যাম্পিয়ন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৭] ২০১০ রিচার্ড ব্রুক ‘দ্য লাস্ট এভরিডে হিরো: দ্য বার্ট সাটক্লিফ স্টোরি’ শিরোনামে জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ করেন। ক্রিকেট সোসাইটি নামীয় সংস্থা বইটিকে ২০১১ সালের সেরা ক্রিকেট পুস্তক হিসেবে ঘোষণা করে।[৮] ‘বারক্লেজ ওয়ার্ল্ড অব ক্রিকেট’ সংস্থা বার্টক্লিফকে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম একজন হিসেবে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ও পরিচ্ছন্ন ব্যাটসম্যানরূপে অভিহিত করে।[৯]
১৯৬৩ সালে ‘বিটুইন ওভার্স: মেমোরিজ অব এ ক্রিকেটিং কিউই’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করেন। তখনও তিনি অবসর গ্রহণ করেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণ করে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সাটক্লিফ।[১০]
ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে তার সম্মানার্থে সাবেক বিল ওভাল স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে বার্ট সাটক্লিফ ওভাল নামকরণ হয়।[১১][১২]
পূর্বসূরী ওয়াল্টার হ্যাডলি | নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৫১-৫২ | উত্তরসূরী মার্ভ ওয়ালেস |
|
সর্বকালের সেরা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট একাদশ | |
---|---|
|
সাধারণ | |
---|---|
জাতীয় গ্রন্থাগার | |
অন্যান্য |