বোমা

মানবসভ্যতা ধ্বংসের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র

বোমা ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরী এক ধরনের বিস্ফোরকঅস্ত্রবিশেষ। খুব দ্রুতবেগে অভ্যন্তরীণ শক্তির রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বড় ধরনের কম্পন তরঙ্গের সৃষ্টি করে বিস্ফোরণ ঘটায় ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। কয়েক শতাব্দী ধরে বিশ্বে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। অধিকাংশ বোমাই সাধারণ জ্বালানীর তুলনায় কম শক্তি সঞ্চিত করে। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে পারমাণবিক বোমা

১৯৯৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় উড্ডয়ন প্রদর্শনীতে বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান ৪৭টি ২৩০ কিলোগ্রাম (৫০০ পাউন্ড) ওজনের মার্ক ৮২ বোমা ফেলে।

সচরাচর বোমায় বিস্ফোরকজাতীয় পদার্থ রাখার উপযোগী পাত্রে পরিপূর্ণ থাকে। এটি ধ্বংসাত্মক জিনিস দিয়ে নকশা অনুসারে বসানো হয় কিংবা নিক্ষেপণ করা হয়। গ্রীক শব্দ বোম্বাস (βόμβος) থেকে বোমা শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে যা ইংরেজি বুম শব্দের মাধ্যমে একই অর্থ বহন করে।

ব্যবহার

প্রায়শঃই সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রতিপক্ষীয় শত্রুবাহিনীর লক্ষ্যস্থলে বোমাবর্ষণ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে আত্মঘাতী বোমা হামলা পরিচালনা করে। তদুপরি শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খনির উৎসস্থল নিরূপণে বোমা ব্যবহৃত হয়।

প্রতিক্রিয়া

যে-সকল ব্যক্তি বোমা বিস্ফোরণের কাছাকাছি এলাকায় কোনরূপ আত্মরক্ষার্থ উপকরণবিহীন অবস্থায় অবস্থান করেন তারা চার ধরনের বিস্ফোরণ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। ঐ সকল উপাদান হলো - কম্পনজনিত উচ্চচাপ, খণ্ড-বিখণ্ড, সংঘর্ষ এবং উচ্চতাপ। তবে বোমা নিরোধক ব্যক্তি, সৈনিকদের শারীরিকভাবে আত্মরক্ষার উপকরণ পরিধান করলে ঘটনাস্থল গমনে তেমন প্রভাব পড়ে না।

বোমা বিস্ফোরণের উচ্চচাপে আকস্মিক ও অতি তীব্র পরিবেষ্টিত চাপে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ক্ষতিসহ স্থায়ী ক্ষতি কিংবা মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। পাশাপাশি বিস্ফোরণস্থলের ভূমিতে বিরাট গর্ত, ধ্বংসস্তুপ কিংবা গাছপালা উৎপাটনও হয়ে যায়। জলের নিচে কিংবা সমুদ্রের উপরে মাইন বিস্ফোরণে মানবতাবিরোধী ঘটনা একটি সাধারণ বিষয়।[১]

কম্পন

বিস্ফোরকের কম্পন তরঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় শরীরের অঙ্গচ্যূতির ন্যায় ঘটনা ঘটতে পারে। বোমা আক্রমণের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে শূন্যে নিক্ষিপ্ত করারও সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও, অঙ্গচ্ছেদ, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে।[২]২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেডের মাধ্যমে সৃষ্ট বোমা হামলায় বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ও তার কানের পর্দা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উক্ত হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেন ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

ধণাত্মক ও ঋণাত্মক তরঙ্গ দিয়ে গড়া বিস্ফোরক উপাদানের সাহায্যে কম্পন তরঙ্গ তৈরী হয়। তরঙ্গের উৎসস্থলে অর্থাৎ বিস্ফোরণ স্থলে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে।[৩] ওকলেহোমা সিটিতে বোমা বিস্ফোরণে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে চার হাজার পাউন্ড উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়েছিল।[৪]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ