মাঈ সুখন
মাই সুখন (মৃত্যু ১৮২৪) ছিলেন মিসলের একজন মাঝাইল শাসক। মাই সুখন তার সামরিক নেতৃত্বের জন্য পাঞ্জাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। মাই সুখান ছিলেন মাঝা অঞ্চলের একজন শক্তিশালী শিখ শাসক, যিনি পাঞ্জাব জুড়ে তার স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। তিনি ছিলেন পাঞ্জওয়ার গ্রামের ধিলোন জাট শিখ নেতা সর্দার গুলাব সিং ভাঙ্গির বিধবা, যিনি ১৮০০ সালে লাহোর জেলার ভাসিন গ্রামে মারা গিয়েছিলেন।[১] মিসলের শাসকরা ছিলেন ধিল্লন বংশের জাট যারা ১৭৫০ থেকে ১৮০৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিলেন।
১৮০৫ সালে, যখন লাহোরের শিখ সম্রাট রঞ্জিত সিং-এর বাহিনী পবিত্র শহর অমৃতসর জয়ের অভিযানে ব্যাস্ত ছিল, তখন মাই সুখান ধিল্লনের নেতৃত্বে শিখ রক্ষকদের দল তাদের একটি উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য আটকে রেখেছিল।[২][৩] দীর্ঘ যুদ্ধের পর রঞ্জিত সিং কর্তৃক আত্মসমর্পণের অনুরোধ করা হলে, মাই সুখান শহরের সমস্ত প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেন এবং শহর রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হন। সম্রাট তার সাহসিকতার পুরস্কারস্বরূপ তাকে পাঁচ বা ছয়টি গ্রাম দিয়ে তাকে স্বীকৃতি দেন।[৪] মাঈ সুখনের সাহাসিকতার গল্প পাঞ্জাবের বিস্তৃত অঞ্চলে লোককথা ও কাহিনীর মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
তার ছেলের নাম ছিল গুরদিত সিং ধিলোন। গুরদিত সিং ধিলোনের বয়স যখন মাত্র দশ তখন তার পিতা ও মাই সুখনের স্বামী গুলাব সিং-এর মৃত্যু হয়।[১] ১৮২৪ সালে মাই সুখন মারা যান।[৫]