মাহবুবে আলম
মাহবুবে আলম (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ – ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০) ছিলেন একজন মনোনীত প্রবীণ পরামর্শক এবং বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ১৩ জানুয়ারী ২০০৯ থেকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন।[২] তিনি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ছিলেন। তিনি এর আগে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে ১৫ নভেম্বর ১৯৯৮ থেকে ৪ অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩][৪]
মাহবুবে আলম | |
---|---|
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল | |
কাজের মেয়াদ ১৩ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ | |
নিয়োগদাতা | ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ |
পূর্বসূরী | সালাহউদ্দিন আহমেদ |
উত্তরসূরী | এএম আমিন উদ্দিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [১] মৌছামন্দ্রা, লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ, পূর্ব পাকিস্তান ( বর্তমান বাংলাদেশ) | ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯
মৃত্যু | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (ঢাকা) | (বয়স ৭১)
জাতীয়তা | পাকিস্তানি (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | আইনজীবী |
শিক্ষা
১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ সালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং পরের বছর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে এমএ পাস করেন। এরপর ১৯৭২ সালে তিনি এল.এল.বি সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংবিধান এবং সংসদীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিপিএস) থেকে সাংবিধানিক আইন এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠান এবং পদ্ধতিতে দুটি ডিপ্লোমা ডিগ্রী অর্জন করেন।[১][৫][৬]
কর্মজীবন
মাহবুবে আলম আইন বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পর ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেন এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন এর আগে ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
মাহবুবে আলমের স্ত্রী বিনতা মাহবুব একজন চিত্রশিল্পী। তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে। ছেলে সুমন মাহবুব একজন সাংবাদিক। আর মেয়ে শিশির কণা একজন আইনজীবী।[৭]
মৃত্যু
মাহবুবে আলম ২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সকালে করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আইসিইউতে নেয়া হয়। [৮] তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন।[৯][১০]