মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বা মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এটি স্থানীয় বর্মী ভাষায় তাতমাডো (বর্মী: တပ်မတော်; এমএলসিটিএস: tatma.taw, আইপিএ: [taʔmədɔ̀], আক্ষ. অনু. মহাসেনাবাহিনী) বা সিত-তাত[১৩][১৪][১৫] নামে পরিচিত। মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটি পরিচালনা করে। এটি মিয়ানমার সেনাবাহিনী, মিয়ানমার নৌবাহিনী ও মিয়ানমার বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত। সহকারী বাহিনীগুলির মধ্যে আছে মিয়ানমার পুলিশ বাহিনী, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী, মিয়ানমার উপকূল রক্ষীবাহিনী (কোস্ট গার্ড) এবং গণযোদ্ধা বাহিনীর বিভিন্ন দল।[১৬] ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অনেকগুলি তাৎপর্যপূর্ণ নৃগোষ্ঠীগত বিদ্রোহের সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে চিন, কাছিন, কায়িন, কায়া ও শান অঙ্গরাজ্যগুলিতে। ১৯৬২ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে জেনারেল নে উইন দেশের ক্ষমতা দখল করেন ও বর্মী পন্থায় সমাজতন্ত্র নামের একটি নিরঙ্কুশ স্বৈরতান্ত্রিক সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা করেন। ১৯৮৮ সালে দেশব্যাপী প্রতিবাদের সহিংস নিপীড়নের পরে সামরিক বাহিনী ১৯৯০ সালে মুক্ত নির্বাচনের জন্য সম্মত হয়, কিন্তু সেই নির্বাচনে জাতীয় গণতন্ত্র লীগের বিজয় প্রত্যাখ্যান করে সেটির নেত্রী অং সান সু কি-কে কারাবন্দী করে।[১৭] ১৯৯০-এর দশকে রাখাইন রাজ্যে বর্মী বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও রোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পায়, এর কারণ ছিল মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর উপরে রোহিঙ্গা সংহতি সংস্থার আক্রমণ। এর সূত্র ধরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর দমন-নিপীড়ন এবং ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের জাতিগত গণহত্যা বা জাতিগত নিধন শুরু হয়।

মিয়ানমার সামরিক বাহিনী
(তাতমাডো)
တပ်မတော် (বর্মী)
(আক্ষ.'Grand Army')
Flag of the Armed Forces (Tatmadaw) of Myanmar.svg|border
Flag of the Myanmar Armed Forces
প্রতিষ্ঠাকাল২৭ মার্চ ১৯৪৫ (৭৯ বছর আগে) (1945-03-27)[১]
সার্ভিস শাখা
  •  মিয়ানমারের সেনাবাহিনী
  •  মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  •  মিয়ানমারের বিমান বাহিনী
  •  মিয়ানমার উপকূলরক্ষী বাহিনী
  • Myanmar Police Force
  • Border Guard Forces
প্রধান কার্যালয়Naypyidaw, Myanmar
নেতৃত্ব
Commander-in-Chief Senior General Min Aung Hlaing
Minister of Defence Admiral Tin Aung San
লোকবল
সেনাবাহিনীর বয়স18 years of age
বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিয়োগ18-45 years of age (male)

18-35 years of age (female)

2-3 years (during peacetime)5 years (during emergencies)

সামরিক বাহিনীতে
সেবাদানে সক্ষম
14,747,845 পুরুষ, বয়স 15–49 (2010 est.),
14,710,871 মহিলা, বয়স ১৫-৪৯ (2010 est.)
সেনাবাহিনীতে যোগদানের
উপযুক্ত
10,451,515 পুরুষ, বয়স 15–49 (2010 est.),
11,181,537 মহিলা, বয়স ১৫-৪৯ (2010 est.)
বছরে সামরিক
বয়সে পৌছায়
522,478 পুরুষ (2010 est.),
506,388 মহিলা(2010 est.)
সক্রিয় কর্মিবৃন্দ150,000[৩]
সংরক্ষিত কর্মিবৃন্দ18,998
(23 battalions of Border Guard Force, BGF (7498 personnel),[৪]

46 groups of People's Militia Group, PMG and Regional People's Militia Groups, RPMG (3500 personnel)[৪] five corps of university Training Corp, UTC (8000 personnel)[৫]

ব্যয়
বাজেট$2.7 billion[৬] (2023)
শতকরা জিডিপি4% (2014)
উদ্যোগ
স্থানীয় সরবরাহকারী*Myanmar Directorate of Defence Industries
  • Myanmar Naval Dockyard[৭]
বৈদেশিক সরবরাহকারী Belarus[৮]
 China[৯]
 India[৯]
 Iran[১০]
 Israel[৯][১১]
 North Korea[৯]
 Philippines[৯]
 Russia[৯]
 Ukraine[৯]
সম্পর্কিত নিবন্ধ
মর্যাদাক্রমMilitary ranks of Myanmar


Emblems of the Myanmar Armed Forces' service branches(left to right): Army, Navy & Air Force[note ১][১২]

Parliamentary Seats
တပ်မတော်သား လွှတ်တော်ကိုယ်စားလှယ်များ (বর্মী)
Seats in the Amyotha Hluttaw
৫৬ / ২২৪
Seats in the Pyithu Hluttaw
১১০ / ৪৪০
Seats in the State Administration Council
৯ / ১৮

২০০৮ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আবারও মিয়ানমারের সংবিধান সংশোধন করে এবং ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সামরিক জান্তাপন্থী ঐক্য, সংহতি ও উন্নয়ন দল নামক দলটিকে ক্ষমতায় বসায়। ঐ নির্বাচনটি প্রায় সমস্ত বিরোধী দল বর্জন করেছিল। পরবর্তী অর্ধ-দশকে মিয়ানমারে অনেকগুলি রাজনৈতিক সংস্কার ঘটে যার সূত্র ধরে ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় গণতন্ত্র লীগ আবার বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে।[১৮] ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনেও ঐক্য, সংহতি ও উন্নয়ন দলটি পরাজয় বরণ করলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী নির্বাচন বাতিল করে দেয় এবং ২০২১ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লংঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতিগত নিধন।[১৯][২০][২১] রাজনৈতিক নিপীড়ন, শারীরিক নিগ্রহ, যৌন আক্রমণ, যুদ্ধাপরাধ, বিচার-বহির্ভূত শাস্তি (যার মধ্যে অবিলম্ব মৃত্যুদণ্ড ও শান্তিপূর্ণ মিছিলকারী বেসামরিক ব্যক্তিদের গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত)।[১৯][২২][২৩] মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বহুকাল ধরে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করে চলেছে।[২৪][২৫]

মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বদান করবেন প্রতিরক্ষা পরিষেবার প্রধান সমরনায়ক। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কিছু কিছু কাজের জন্য ১১ জন সদদ্য নিয়ে গঠিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন লাগে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, তবে তিনি জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের সাথে একত্রে কাজ করে সামরিক কাজ অনুমোদন করতে পারবেন। [২৬]

তথ্যসূত্র


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "note" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="note"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ