যাত্রাবাড়ী থানা

১৯৫০ সালে যাত্রাবাড়ী ছিল একটি নিভৃত পল্লী। যাত্রাবাড়ী এলাকাটি একসময় ব্রাক্ষ্মণচিরণ মৌজার অন্তর্ভুক্ত ছিল। যাত্রাবাড়ীসহ বিরাট একটি এলাকা ব্রাক্ষ্মণচিরণ নামে পরিচিত ছিল। ব্রাক্ষ্মণচিরণ এলাকার একটি বাড়িতে যাত্রামন্ডপ ছিল। প্রায়ই সেখানে যাত্রাপালা হতো। একমাত্র যাত্রাই ছিল চিত্তবিনোদনের উৎস। তাই যাত্রার প্রতি লোকজনের আগ্রহ ছিল বেশি। যে বাড়িটিতে যাত্রামন্ডপটি অবস্থিত সেটিকে লোকজন তখন যাত্রাবাড়ী নামে ডাকতো। সেই থেকেই এলাকাটির নাম যাত্রাবাড়ী হিসাবে পরিচিত হয়। ^[১]

ঢাকা শহরের একেবারে পাশেই অবস্থিত ছিল যাত্রাবাড়ী। পাকিস্তান আমলেও যাত্রাবাড়ী ছিল নিভৃত পল্লী। ^[২] তবে সেখানে গ্রামের মতো পরিবেশ ছিল। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও অন্যান্য তরকারি প্রচুর ফলতো সেই এলাকায়। তবে যাত্রাবাড়ীর বর্তমান চিত্র সম্পূর্ণই অন্যরকম।

সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে যাত্রাবাড়ী এলাকার পরিধি। বর্তমানে যাত্রাবাড়ী এলাকাটি উত্তর ও দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী নামে দুভাগে পরিচিত হয়ে থাকে।শুধু তাই নয়, মাতুয়াইল ইউনিয়ন, সারুলিয়া ইউনিয়ন, দনিয়া ইউনিয়ন (একাংশ) বাতিল হয়ে বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত হয়েছে এবং যাত্রাবাড়ী থানা অধীন বর্ধিত এলাকা হচ্ছে শেখদী, কাজলা, মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি, কোনাপাড়া, ডগার (একাংশ), মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া, গোবিন্দপুর, কোনাপাড়া, জঙ্গলবাড়ি শরীফপাড়া, কেরানি পাড়া, রায়েরবাগের একাংশ, ভাঙ্গা প্রেস।

তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা

যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ

শহীদ জিয়া স্কুল এন্ড কলেজ

শেখদি আব্দুল্লাহ মোল্লা স্কুল

মাতুয়াইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

মাতুয়াইল ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মাতুয়াইল দাখিল মাদ্রাসা

মাতুয়াইল আব্দুল লতিফ ভুঁইয়া কলেজ

• বৃহত্তম কবরস্থান : মাতুয়াইল কবরস্থান
• সংবাদ মাধ্যম : ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় ইত্তেফাক পত্রিকার জেনিথ প্যাকেজিং প্রেস, পশ্চিম মাতুয়াইলে জাতীয় সাপ্তাহিক শিকড় সন্ধানে পত্রিকার কার্যালয়।