যুগ্ম তারা

যুগ্ম তারা ব্যবস্থা (ইংরেজিঃ Binary Star System) হলো এক ধরনের তারা ব্যবস্থা যা দুইটি তারার সমন্বয়ে গঠিত যারা একে অপরকে কেন্দ্র করে আবর্তীত হয় (অর্থাৎ তাদের বেরিকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আবর্তীত হয়)। এধরনের তারা ব্যবস্থায় একটি তারাকে অপর তারার সঙ্গি তারা বা কম্পোনেন্ট স্টার বলা হয়। অনেক তারাই দুই বা ততোধিক তারার সমন্বয়ে গঠিত তারা ব্যবস্থার অংশ। এমন তারা ব্যবস্থার উজ্জ্বল তারা তারাটিকে মূখ্য তারা এবং অপর তারাটিকে গৌণ তারা বলা হয়।

লুব্ধক যুগ্ন তারা ব্যবস্থায় লুব্ধক এলুব্ধক বি (নীচে বামে)

যুগ্ন তারার সমার্থক হিসেবে দ্বৈত তারাও ব্যবহার করা হয়, যদিও দৈত তারা বলতে আলোক দ্বৈত তারাও বোঝায়। আলোক দৈত তারাদের এমন নাম কেননা পৃথিবী থেকে দেখলে এদের খুব কাছাকাছি মনে হয়; এরা প্রায় একই দৃষ্টি রেখায় অবস্থিত। যাইহোক, আলোক দ্বৈত তারা সমূহের দ্বৈততা শুধুমাত্র আলোক ক্রিয়ার উপর নির্ভর করে; তারাদ্বয় একে অপরের থেকে বেশ দূরে অবস্থান করতে পারে ও এদের মাঝে কোনো ভৌত সম্পর্ক থাকে না। আলোক দ্বৈত তারা একে অপরের থেকে দূরে অবস্থান করলেও যুগ্ন তারারা একে অপরের বেস কাছাকাছি থাকে। লম্বন মাপন, সঠিক গতি বা বিকিরণ বেগের পার্থক্য থেকে কোনো দ্বৈত তারা আলোক কিনা তা বোঝা যায়।

জ্যোতির্বিদ্যায় যুগ্ন তারা গুরুত্বপূর্ণ কেননা এদের কক্ষপথের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এদের ভর বের করতে পারেন। এথেকে ভর-দীপন সম্পর্ক পাওয়া যায় এবং এই সম্পর্ক থেকে পৃথক ভাবে তারা গুলির ভর পাওয়া যায়।

যদি কোনো যুগ্ন তারা ব্যবস্থায় সঙ্গী দ্বয় একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকে তাহলে মহাকর্ষীয়ভাবে এদের পারষ্পরিক বহি নাক্ষত্রিক পরিবেশের পরিবর্তন হতে পারে যা। কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের যুগ্ন তারা ব্যবস্থায় ভরের আদান-প্রদান হতে পারে যা তাদের বিবর্তনকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে যা একক তারার পক্ষে সম্ভব হয় না।

ইঙ্গ-জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম হার্শেল প্রথম এধরনের তারা আবিষ্কার করেন ও সত্যিকারের যুগ্ন তারার প্রমাণ দেন। [১] তিনিই প্রথম যুগ্ন তারার তালিকা প্রকাশ করেন যা পরবর্তীতে তার পুত্র জন হার্শেল কর্তৃক আবিষ্কৃত আরো কয়েক হাজার তারার মাধ্যমে সম্প্রসারিত হয়। [২] জন মিচেল হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি প্রস্তাবনা করেন যে ভৌতভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত যখন তিনি ১৭৬৭ সালে এই বিতর্ক তোলেন যে, দৈবক্রমে দ্বৈত তারা সমূহের শ্রেণীবন্ধ হওয়ার সম্ভবনা কম। [৩][৪] ১৭৭৯ সালে উইলিয়াম হার্শেল দ্বৈত তারা সমূহ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন এবং এর কিছু পরেই ৭০০ দ্বৈত তারার একটি তালিকা প্রকাশ করেন।[৫]

শ্রেণিবিন্যাস

পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া

যুগ্ন তারাদের পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে এদের চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। চাক্ষুষরূপে, পর্যবেক্ষণের দ্বারা; বর্ণালীবীক্ষণগত ভাবে, বর্ণালীরেখার পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন দ্বারা; আলোকমিতিগত ভাবে, গ্রসনের মাধ্যমে সৃষ্ট উজ্জলতার পরিবর্তন দ্বারা; বা জ্যোতির্মিতিগত ভাবে, অদৃশ্য সঙ্গি কর্তৃক তারার অবস্থানে সৃষ্ট চ্যুতি পরিমাপের দ্বারা। [৬][৭] কোনো যুগ্ন তারা একই সাথে বিভিন্ন শ্রেণিতে থাকতে পারে; যেমন বেশ কিছু বর্ণালীবীক্ষণ যুগ্ন তারা, গ্রসন যুগ্ন তারা শ্রেণিরও অন্তর্ভুক্ত।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোহ

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ