রাউল আলফোন্সিন

আর্জেন্টিনার সাবেক রাষ্ট্রপতি

রাউল রিকার্দো আলফোন্সিন ফুল্কেস (স্পেনীয় ভাষায়: Raúl Ricardo Alfonsín Foulkes) (জন্ম ১৩ই মার্চ, ১৯২৭) ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

রাউল আলফোন্সিন
আর্জেন্টিনার ৪৯তম রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
১০ই ডিসেম্বর, ১৯৮৩ – ৮ই জুলাই, ১৯৮৯
উপরাষ্ট্রপতিবিক্তোর মার্তিনেস
পূর্বসূরীরেইনালদো বিনিয়োনে
উত্তরসূরীকার্লোস মেনেম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৩ই মার্চ, ১৯২৭
চাস্কোমুস, বুয়েনোস আইরেস প্রদেশ
জাতীয়তাআর্জেন্টিনীয়
রাজনৈতিক দলউনিয়ন সিবিকা রাদিকাল
জীবিকাআইনজীবী

আলফোন্সিন বুয়েনোস আইরেস প্রদেশের চাস্কোমুস শহরে জন্ম নেন। তিনি জেনারেল সান মার্তিন সামরিক অ্যাকাডেমিতে (Liceo Militar General San Martin) সামরিক প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫০ সালে লা প্লাতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন। নিজ শহরে ফিরে গিয়ে এল ইম্পার্সিয়াল পত্রিকা চালু করেন। ১৯৪৫ সাল থেকে তিনি মধ্যপন্থী উনিয়ন সিবিকা রাদিকাল (Unión Cívica Radical, সংক্ষেপে UCR) দলের সদস্য ছিলেন। প্রাদেশিক রাজনীতিতে প্রায় এক দশক অংশ নেবার পর ১৯৬৩ সালে জাতীয় আইনসভার সদস্য হন। আর্জেন্টিনায় বেসামরিক শাসনের সময় চেম্বার অফ ডেপুটিজ-এর সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের জন্য দাঁড়ালেও পেরনবাদী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। পরে ১৯৭৬ সালে সামরিক ক্যু-এর মাধ্যমে আর্জেন্টিনা সামরিক শাসনের অধীনে আসে। ১৯৮১ সালে তিনি উনিয়ন সিবিকা রাদিকাল দলের নেতা হন। সামরিক জান্তার শাসনামলে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আলফোন্সিন লা কেস্তিওন আর্হেন্তিনা (La cuestión Argentina) অর্থাৎ "আর্জেন্টিনার প্রশ্ন" নামে ১৯৮১ সালে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন এবং Permanent Assembly for Human Rights গঠন করেন। তিনি সামরিক শাসন ও ফক্‌ল্যান্ড্‌স যুদ্ধের ঘোর বিরোধী ছিলেন। ফক্‌ল্যান্ড্‌স যুদ্ধে আর্জেন্টিনার শোচনীয় পরাজয়ের পর আর্জেন্টিনার সামরিক শাসক ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে ১৯৮৩ সালে নির্বাচন দিলে তিনি পেরনবাদী প্রার্থীকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এসময় তার বিরুদ্ধে অনেকগুলি সামরিক ক্যু-এর চেষ্টা তিনি প্রতিহত করেন এবং আর্জেন্টিনার ভঙ্গুর গণতন্ত্রকে স্থিরতা দেন। সামরিক শাসনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অনেক প্রথম সারির সেনা কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করেন তিনি। তবে সেনাবাহিনীর চাপে পরবর্তীতে তিনি অনেককে ক্ষমা করে দেন। আইএমএফ থেকে অনেক ঋণ নিয়েও তিনি তার দেশকে সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। সংবিধান অনুসারে পরপর দুই মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন নি। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে পেরনবাদী কার্লোস মেনেম জয়লাভ করলে ক্ষমতা হস্তান্তরের ছয় মাস আগেই পদত্যাগ করেন এবং মেনেমকে একটি ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতি রেখে যান।

🔥 Top keywords: রাম নবমীমুজিবনগর দিবসপ্রধান পাতামুজিবনগর সরকারবিশেষ:অনুসন্ধানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশবাংলা ভাষামিয়া খলিফারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)আনন্দবাজার পত্রিকাআবহাওয়ারামপহেলা বৈশাখউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগইসরায়েলইরানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমুজিবনগরইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগক্লিওপেট্রাচর্যাপদভূমি পরিমাপশেখ মুজিবুর রহমানজনি সিন্সকাজী নজরুল ইসলামঈদুল আযহাফিলিস্তিনইউটিউবভারতবিকাশআসসালামু আলাইকুমসৌদি আরববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকামুহাম্মাদ