লি মারভিন
লি মারভিন (ইংরেজি: Lee Marvin; জন্ম: ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪ - ২৯ আগস্ট ১৯৮৭) ছিলেন একজম মার্কিন অভিনেতা। ভিন্নধর্মী কণ্ঠ ও অকালপক্ক সাদা চুলের জন্য পরিচিত মারভিন শুরুর দিকে পার্শ্ব অভিনেতা, বিশেষ করে খলনায়ক, সেনা কর্মকর্তা বা অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতেন।[১] তার প্রথম উল্লেখযোগ্য টেলিভিশন কর্ম ছিল এনবিসির অপরাধমূলক ধারাবাহিক এম স্কোয়াড (১৯৫৭-১৯৬০)-এ গোয়েন্দা লেফটেন্যান্ট ফ্র্যাংক ব্যালিঞ্জার চরিত্রে অভিনয়।
লি মারভিন | |
---|---|
Lee Marvin | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৯ আগস্ট ১৯৮৭ টাসকন, অ্যারিজোনা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৬৩)
সমাধি | আর্লিংটন ন্যাশনাল সেমেটারি |
শিক্ষা | সেন্ট লিও কলেজ প্রিপারেটরি স্কুল |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৫০–১৯৮৬ |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেটি এবেলিং (বি. ১৯৫১; বিচ্ছেদ. ১৯৬৭) পামেলা ফিলি (বি. ১৯৭০) |
সঙ্গী | মিশেল ট্রিওলা (১৯৬৫–১৯৭০) |
সন্তান | ৪ |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | যুক্তরাষ্ট্র |
সেবা/ | United States Marine Corps |
পদমর্যাদা | প্রাইভেট ফার্স্ট ক্লাস |
ইউনিট | ২৪তম মেরিন রেজিমেন্ট, ৪র্থ মেরিন বিভাগ |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-সাইপানের যুদ্ধ |
পুরস্কার | পার্পল হার্ট পদক |
তিনি ১৯৬৪ সালে দ্য কিলার্স চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। ক্যাট বলো (১৯৬৫) চলচ্চিত্রে তার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার, বাফটা পুরস্কার ও রৌপ্য ভাল্লুক অর্জন করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
মারভিন ১৯২৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লামন্ট ওয়াল্টম্যান মারভিন ছিলেন একজন বিজ্ঞাপন নির্বাহী এবং পরে নিউ ইয়র্ক অ্যান্ড নিউ ইংল্যান্ড অ্যাপল ইনস্টিটিটের প্রধান। তার মাতা কোর্টনি ওয়াশিংটন (প্রদত্ত নাম: ডেভিজ) ছিলেন ফ্যাশন ও সৌন্দর্য বিষয়ক লেখক ও সম্পাদক।
মারভিন শৈশবে বেহালা বাজানো শিখেন।[২] কৈশোরে তিনি সপ্তাহান্তে হরিণ, বনবিড়াল, বন্য টার্কি ও ববহোয়াইট শিকারে যেতেন। তিনি ১৯৩০-এর দশকের শেষের দিকে নিউ ইয়র্কের পাউলিংয়ের ক্রিস্টান সোশ্যালিস্ট বোর্ডিং স্কুল মানুমিট স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে কয়েকটি স্কুলে খারাপ ব্যবহারের কারণে বাদ পরার পর তিনি ফ্লোরিডার সেন্ট লিওয়ের ক্যাথলিক স্কুল সেন্ট লিও কলেজ প্রিপারটরি স্কুলে পড়াশোনা করেন।[৩]
সামরিক কর্মজীবন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
মারভিন ১৯৪২ সালের ১২ই আগস্ট ১৮ বছর বয়সে স্কুল ত্যাগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পস রিজার্ভে তালিকাভুক্ত হন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্যাসিফিক থিয়েটারে ৪র্থ মেরিন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।[৪] "আই" কোম্পানি, তৃতীয় ব্যাটলিয়ন, ২৪তম মেরিন, ৪র্থ মেরিন বিভাগের সদস্য হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন তিনি ১৯৪৪ সালের ১৮ই জুন সাইপানের যুদ্ধে মাউন্ট টপোচাউয়ে এক আক্রমণে আহত হন। তিনি একটি মেশিন গানের গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন, যা তার সায়াটিক নার্ভে আঘাত করে[৫] এবং পরে তিনি এক স্নাইপারের গুলিতে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন।[৬] এক বছর চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি ১৯৪৫ সালে ফিলাডেলফিয়ায় প্রাইভেট ফার্স্ট ক্লাস পদ হতে অব্যহতি নেন।[৭]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে লি মারভিন (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লি মারভিন (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে লি মারভিন (ইংরেজি)