লেভিয়াথন (বই)
লেভিয়াথন একটি যুগশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ যার রচয়িতা টমাস হব্স। গ্রন্থটি সর্বপ্রথম ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। ইংরেজি ভাষায় গ্রন্থটির পুরো নাম Leviathan or The Matter, Forme and Power of a Common Wealth Ecclesiasticall and Civil। ১৬৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তে হবস্ ল্যাটিন ভাষায় গ্রন্থটির একটি নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেন। প্রভাবের বিবেচনায় লেভিয়াথন গ্রন্থটি ম্যাকিয়াভেলির দ্য প্রিন্স-এর সঙ্গে তুলনীয়।
লেখক | টমাস হব্স |
---|---|
দেশ | ইংল্যাণ্ড |
ভাষা | English, Latin (Hobbes produced a new version of Leviathan in Latin in 1668:[১] Leviathan, sive De materia, forma, & potestate civitatis ecclesiasticae et civilis. Many passages in the Latin version differ from the English version.[২] |
ধরন | রাজনৈতিক দর্শন |
প্রকাশনার তারিখ | ১৬৫১ |
আইএসবিএন | ৯৭৮-১৪৩৯২৯৭২৫৪ |
এ গ্রন্থে হবস্ পদার্থবিদ্যা ও মানবপ্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এছাড়া এতে নৈতিকতা ও রাজনৈতিক তত্ত্ব গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষিত হয়েছে। গ্রন্থটি রাজনৈতিক চিন্তাধারায় এক বিশেষ আলোড়নের সৃষ্টি করে। এই পুস্তকে মানুষের সঙ্গে রাষ্ট্রের সামাজিক চুক্তিকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। চরম রাজতন্ত্র বা স্বৈরাচার সমর্থনের উদ্দেশ্যেই হবস রাষ্ট্রের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করেছেন।[৩]
প্রথম অংশ মানুষ সম্পর্কে
হবসের মতে মানুষ কোনো প্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করা ছাড়াই প্রাকৃতিক রাজ্যে বসবাস করতো। এমতাবস্থায় ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় মানুষের যাবতীয় কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ হতো। বস্তুত, প্রাকৃতিক রাজ্যের ভয়াবহ পরিবেশে কারও পক্ষে শান্তিপূর্ণ ভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব ছিল না। এমতাবস্থায় কোনো গণশাসকের অস্তিত্ব ছিল না এবং কোনো প্রকার আইন কানুন ছিল না। সেখানে সরকার ও ন্যায়ধর্ম বলতে কিছুই ছিল না। ইহা ছিল মানুষের এক প্রকার নাগরিক ও রাজনৈতিক জীবনের পূর্বাবস্থা।[৩] এই পরিস্থিতিতে মানব জীবন ছিল
নিঃসঙ্গ, দরিদ্র্য, বিশ্রী, পাশবিক ও অত্যন্ত সাময়িক।[৪]