সোল সঙ্গীত
সোল সংগীত হল জনপ্রিয় সংগীত যা ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর শুরুর দিকে আফ্রো-আমেরিকান সমাজে উত্পত্তি লাভ করে। এটি আফ্রো-আমেরিকান গস্পেল সংগীত, ব্লুজ এবং জাজের সংমিশ্রণে তৈরি। সোল সংগীত নাচের জন্য আমেরিকাতে খুবই বিখ্যাত এবং মটন, আটলান্টিক ও স্ট্যাক্স নথির লেবেল্গুলো খুবই প্রভাব ফেলেছিলো বেসামরিক অধিকার আন্দোলনে।[১]
রক এবং রোল হল অব ফেইম অনুযায়ী সোল সংগীতের উত্পত্তি হয়েছে গস্পেল সংগীত এবং ব্লুজের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে।চিত্তাকর্ষক সুর,হাততালি এবং অনিয়মিত দৈহিক নড়ন সোল সংগীতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।অন্য বৈশিষ্ট্যগুলো হল গায়কদের মধ্যে জিজ্ঞাসা ও জবাব এবং সমবেত সংগীত পরিবেশন।এ সংগীতে মাঝেমাঝে তাৎক্ষণিক সংযোজন করা হয় যেমনঃ নানা ধরনের আওয়াজ সংযোজন।সোল সংগীত আফ্রো-আমেরিকান একত্বতার প্রতিফলন ঘটায় এবং আফ্রো-আমেরিকান সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৬০ সালে সোল সংগীত আর এন্ড বি এর পপ তালিকায় আধিপত্য করেছে।কিন্তু ১৯৬৮ সাল থেকে সোল সংগীতের এ ধারাটি ভাঙ্গতে শুরু করেছে।কিছু কিছু সোল শিল্পী ফাংক সংগীতে মনোযোগ দিল আবার কেউ কেউ বাস্তবধর্মী স্লিকার সংগীতে মনোযোগ দিলেন।১৯৭০ এর শুরুর দিকে সোল সংগীত সাইকেডেলিক রক দ্বারা প্রভাবিত হয়।
সোল সংগীতের প্রধান উপধারাগুলো হল ডেট্রয়েট সোল,ডিপ সোল,মেমফিস সোল,ব্রিমিংহাম সোল,নিউ ওরিয়ান্স সোল,শিকাগো সোল,ফিলাডেলফিয়া সোল,নিও সোল এবং হাইপার সোল প্রভৃতি।
উৎস
আফ্রো-আমেরিকানদের মধ্যে সোল শব্দটি ব্যবহৃত হয় তাদের আফ্রো-আমেরিকান হওয়ার অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে।সংগীততত্ত্বিক ব্যারি হ্যানসেন এর মতে,
"যদিও সোল সংগীত আর এন্ড বি এর তালিকায় ছিলো ১৯৫০ এর শুরুর দিকে এবং শুধুমাত্র অতি উত্সাহী কিছু সাদা চামড়ার লোকেরা সোল সংগীত ঐ সময়ে উপভোগ করেছিলো।
বাকীদেরকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল।"
১৯৬০ সালে সুর এবং ব্লুজের নগরায়ণ এবং বাণিজ্যিকীকরণের ফল হল সোল সংগীত।আফ্রো-আমেরিকানদের গর্ব এবং সংস্কৃতির ধারক হল এই সোল সংগীত।আর গস্পেল থেকে উদ্ভূত জাজ স্টাইলই হল সোল জাজ।যেহেতু শিল্পী ও আয়োজকরা আফ্রিকান আমেরিকান অন্য ধারার গান গুলোতে গস্পেল ও সোল জাজের কৌশলগুলো ব্যবহার করছে ,তাই সোল শব্দটি ছাতার মত আফ্রো-আমেরিকান সকল ধারার গানে ছড়িয়ে পড়েছে।ক্লাইড ম্যাকফ্যাটার,হ্যাংক ব্যালার্ড এবং এটা জেমসের রেকর্ডিংগুলো ১৯৫০ সালে সোল সঙ্গীতের উত্থান ঘটিয়েছে।রে চার্লসকে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোল সংগীত শিল্পী হিসেবে গ্ণ্য করা হয় এবং তিনি এত জনপ্রিয় হয়েছেন ১৯৫৪ সালে মুক্তি পাওয়া তার "আই গট আ উইম্যান" সিরিজটির জন্য।সংগীতশিল্পী ববি উইম্যাক বলেছিলেন,"রে ছিল অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং সে সোল সংগীতকে সামনের দিকে নিয়ে গেছে।"
লিটল রিচার্ড এবং জেমস ব্রাউন উভয়েই সোল সংগীত জগতে সমপ্রভাবশালী ছিলেন।ব্রাউনকে "গডফাদার অব সোল মিউজিক" বলা হত এবং রিচার্ড নিজেকেই নিজে "কিং অব রকিং এন্ড রলিন,রিদম এন্ড ব্লুজ সোলইন" হিসেবে প্রচার করত।